দেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ সম্পর্কে সংশ্লিষ্টদের অবহিত করা এবং এর মাধ্যমে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আয়োজন করা হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট সামিট (আইআইএস) ২০২১ বাংলাদেশ। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) আয়োজনে ২৮ ও ২৯ নভেম্বর রাজধানীর র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্মেলনটি। সম্মেলনের উদ্দেশ্য ও প্রত্যাশা নিয়ে গতকাল বণিক বার্তাসহ আয়োজনের সহযোগী গণমাধ্যমগুলোর সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এমপি, যা সাক্ষাৎকার আকারে তুলে ধরা হলো—
ইনভেস্টমেন্ট সামিটের উদ্দেশ্য কী?
আমরা দুটি
মূল উদ্দেশ্য
সামনে রেখে
আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ
সম্মেলন করছি।
একটি হলো
বাংলাদেশ সম্পর্কে
জানানো। দ্বিতীয়টি
হলো বাংলাদেশে
যে বিনিয়োগের
সুযোগ ও
পরিবেশ রয়েছে
সেটি এবং
বিনিয়োগকারীদের আমরা
কী কী
সুবিধা দিই,
এ বিষয়গুলো
আমরা তুলে
ধরতে চাই।
যাতে এর
মাধ্যমে আমরা
বিনিয়োগ আকর্ষণ
করতে পারি।
প্রধানমন্ত্রী আমাদের
একটি লক্ষ্য
ঠিক করে
দিয়েছেন যে
২০৪১ সালের
মধ্যে আমরা
উন্নত দেশে
পরিণত হতে
চাই। এজন্য
বিনিয়োগের বিকল্প
নেই। উন্নত
দেশে পরিণত
হতে হলে
আমাদের মাথাপিছু
আয় ১২
হাজার ডলারের
বেশি হতে
হবে। এখন
আমরা আড়াই
হাজার ডলারের
ওপরে আছি।
এটাকে ১২
হাজার ডলারের
বেশিতে নিতে
হবে। বর্তমানে
আমাদের বিনিয়োগ
অনুপাতে জিডিপির
যে পরিমাণ
আছে, তা
আরো ৭০
শতাংশ বাড়াতে
হবে। এ
পরিসংখ্যানই বলে
দিচ্ছে, আমাদের
কত বেশি
বিনিয়োগ প্রয়োজন।
সুতরাং আসন্ন
ইনভেস্টমেন্ট সামিট
আমাদের জন্য
খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সার্বিক বিবেচনায়ও
বিনিয়োগ সম্মেলনের
তাত্পর্য অনেক।
আপনারা জানেন,
কিছুদিন আগে
আমরা যুক্তরাষ্ট্রে
রোড শো
করেছি, দুবাইয়ে
করেছি, সুইজারল্যান্ডে
করেছি এবং
সম্প্রতি লন্ডনের
রোড শোয়
প্রধানমন্ত্রী নিজে
উপস্থিত ছিলেন।
ফ্রান্সেও ব্যবসায়ীদের
সঙ্গে কথা
বলেছি। আমি
নিজেও উজবেকিস্তানে
গিয়েছি। সব
কথার এক
কথা, বাংলাদেশ
যে এখন
একটা নতুন
বাংলাদেশ হয়ে
গড়ে উঠেছে,
এটা সবাইকে
জানাতে হবে।
ইনভেস্টমেন্ট সামিটও
তারই অংশ।
এ সামিটে
আমরা শুধু
যে বিদেশী
বিনিয়োগ আনব
তা নয়,
দেশীয় বিনিয়োগও
আমাদের প্রয়োজন।
এ দুই
শ্রেণীই আমাদের
টার্গেট।
এ সম্মেলনের মাধ্যমে বিনিয়োগ আকর্ষণ নিয়ে
কোনো লক্ষ্যমাত্রা ঠিক হয়েছে?
আসলে এ ধরনের সম্মেলনের লক্ষ্যমাত্রা সেভাবে ঠিক করা হয় না। সম্মেলন থেকে কত বিনিয়োগ এল সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। বরং বিনিয়োগকারীদের আমাদের দেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ ও সুবিধা সম্পর্কে ধারণা দেয়া এবং প্রচার করাটাই মূল কাজ। বিনিয়োগ আসা তো চলমান একটি প্রক্রিয়া। প্রতিদিন কিন্তু আমরা বিনিয়োগের প্রস্তাব পাচ্ছি। প্রতিদিনই কিছু না কিছু বিনিয়োগ হচ্ছে। যেমন ধরুন প্রতিদিনই রফতানি হচ্ছে। বছরের শেষে এসে আমরা বলি, এ পরিমাণ রফতানি হয়েছে। তেমনি বিনিয়োগ আসাটাও চলমান প্রক্রিয়া। আর বিনিয়োগ সম্মেলন হলো প্রচার কার্যক্রমের অংশ।
যেহেতু আমাদের
ইনভেস্টমেন্ট টু
জিডিপির রেশিও
কম, এটাকে
বৃদ্ধির জন্যই
আমরা এতসব
উদ্যোগ নিয়েছি।
যেমন ধরুন
আপনি একটি
ভালো প্রডাক্ট
তৈরি করেছেন,
কিন্তু মার্কেটিং
না করায়
সেটা বাজারজাত
করতে পারেননি।
নতুন বাংলাদেশে
আমরা যা
যা করেছি
বা বিনিয়োগের
জন্য যে
একটি অনুকূল
পরিবেশ সৃষ্টি
করেছি, এটা
আমরা প্রচার
করতে পারিনি।
বিশ্বকে জানাতে
পারিনি। বিনিয়োগকারীদের
আমরা বলতে
পারিনি, তোমরা
আমাদের দেশে
বিনিয়োগ করো,
তাহলে তোমরা
ভালো মুনাফা
পাবে। সে
সুযোগ আমাদের
হয়নি। একটি
দেশে বিনিয়োগ
করতে হলে
বিনিয়োগকারীরা যেসব
দিক দেখেন,
সেসব দিকে
আমরা ভালো
করেছি। কিন্তু
সেটা আমরা
প্রচার করতে
পারিনি। এর
দুটো দৃষ্টিভঙ্গি
আছে। একটা
হলো আমি
অনুকূল পরিবেশ
তৈরি করতে
পেরেছি কি
পারিনি। যেমন
বিদ্যুৎ। আমরা
বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
তার মানে
বিদ্যুতে কোনো
সমস্যা নেই।
একজন বিনিয়োগকারী
বিদ্যুৎ, পানি,
গ্যাস ও
জমির সুবিধা
চায়। এর
মধ্যে জমির
বিষয়টি সবচেয়ে
জটিল ছিল।
বিশেষ অর্থনৈতিক
অঞ্চলের পরিকল্পনায়
এটাও আমরা
সমাধান করেছি।
আমরা ১০০টি
ইকোনমিক জোন
করছি। হাই-টেক
পার্ক করছি।
তারপর আসে
অবকাঠামোর কথা।
আমাদের রাস্তাঘাটের
ব্যাপক উন্নয়ন
হয়েছে। বন্দরেরও
উন্নয়ন হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের
ধারণক্ষমতা বাড়ানো
হয়ছে। আমরা
পায়রা বন্দর
করেছি। মাতারবাড়ী
বন্দর করেছি।
এয়ারপোর্টে আমাদের
তৃতীয় টার্মিনাল
হচ্ছে। একজন
বিনিয়োগকারী সে
দেশী কিংবা
বিদেশী হোক,
বিনিয়োগের আগে
এ বিষয়গুলোই
সে বিবেচনা
করে। দ্বিতীয়ত
আসে পণ্য
বাজারজাতের বিষয়।
যেহেতু আমাদের
ক্রয়ক্ষমতা বাড়ছে,
তার মানে
বাজারজাত করা
নিয়েও বিনিয়োগকারীকে
ভাবতে হবে
না।
এত কিছু
করা হচ্ছে,
তার পরও
আমাদের বিনিয়োগ
কম। এর
কারণ হলো
আমরা আমাদের
মার্কেটিং করতে
পারিনি। এখন
এ বিষয়ে
আমরা জোর
দিচ্ছি। এই
যে আমাদের
সম্মেলন করা
হচ্ছে। রোড
শো হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী যখনই
বিদেশে যান,
তখন তিনি
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে
সভা করেন।
তিনি নিজে
ব্যবসায়ীদের দাওয়াত
দেন বাংলাদেশে
বিনিয়োগ করার
জন্য। আমি
আশাবাদী যে
যখনই আমাদের
তথ্যগুলো প্রচার
পাবে, মার্কেটিংটা
নিশ্চিত হবে
তখনই বাংলাদেশের
জিডিপি টু
ইনভেস্টমেন্ট রেশিও
বাড়বে। এরই
মধ্যে আমরা
এটা দেখতেও
শুরু করেছি।
কারণ বিনিয়োগ
হচ্ছে। না
হলে তো
প্রবৃদ্ধি সম্ভব
ছিল না।
বাংলাদেশের অর্থনীতির
মূল চালিকাশক্তি
হলো বেসরকারি
খাত। তারা
বিনিয়োগ করছে।
এখন অনেক
বিশেষ অর্থনৈতিক
অঞ্চল আছে,
যেখানে বলা
হচ্ছে জায়গা
নেই। কারণ
তা এরই
মধ্যে পূরণ
হয়ে গেছে।
জিডিপি টু
ইনভেস্টমেন্ট রেশিওটা
আমাদের কম
আছে। কিন্তু
বিনিয়োগ আমাদের
এখানে হচ্ছে।
শিগগিরই আমরা
দেখতে পাব
যে অনেক
নতুন বিনিয়োগ
আসছে। অনেক
আগ্রহ আমরা
পাচ্ছি। এর
মধ্যে জাপান,
কোরিয়া, চীন,
ভারত, যুক্তরাষ্ট্র,
ইউরোপ থেকেও
আমরা আগ্রহ
পাচ্ছি। বিনিয়োগের
অনুকূল পরিবেশ
সম্পর্কে মানুষ
যত জানতে
পারছে, ততই
বাংলাদেশে বিনিয়োগের
আগ্রহ সৃষ্টি
হচ্ছে।
সামিটে আলোচনায় কারা অংশ
নেবেন? বিশ্বের বড় ও
গুরুত্বপূর্ণ কোন
কোন কোম্পানিকে সামিটে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে?
সম্মেলনের যে
কাঠামো তৈরি
হয়েছে, সেখানে
ভিন্ন ভিন্ন
খাতের ওপর
১২টি প্যানেল
আলোচনার ব্যবস্থা
করা হয়েছে।
এ আলোচনাগুলো
যাতে ফলপ্রসূ
হয়, এমন
উদ্যোগও নেয়া
হয়েছে। খাতসংশ্লিষ্টরাই
আলোচনাগুলোয় অংশ
নেবেন। যেমন
সামিটে কৃষি
প্রক্রিয়াজাত, চামড়া
ও চামড়াজাত
পণ্য, পোশাক,
জ্বালানি—এ
রকম ভিন্ন
ভিন্ন খাতের
বিষয়ে প্যানেল
আলোচনা হবে।
এখন পর্যন্ত
যতটুকু সাড়া
পাওয়া গিয়েছে
তাতে আমরা
দেখেছি বড়
বড় কোম্পানির
প্রতিনিধিরা নিবন্ধন
করেছেন। যারা
এরই মধ্যে
বাংলাদেশে বিনিয়োগ
করে ফেলেছেন,
তাদের সম্প্রসারণের
আগ্রহের বিষয়গুলোও
সম্মেলনে গুরুত্ব
পাবে। যেমন
কোরিয়া থেকে
যে কোম্পানিগুলো
আসছে, তারা
এখন বাংলাদেশে
ফোন বানাচ্ছে।
আগে তারা
শুরু করেছিল
রেফ্রিজারেটর দিয়ে।
অর্থাৎ হোয়াইট
গুডস দিয়ে।
একটা পর্যায়ে
অন্য পণ্য
বানাতে শুরু
করেছে। কিছু
নতুন কোম্পানি
আছে আবার
পুরনো কোম্পানিও
আছে। যেমন
বাটা, লিভার
ব্রাদার্স যুগ
যুগ ধরে
বাংলাদেশে বিনিয়োগ
করেছে, ব্যবসা
করেছে। সব
ধরনের প্রতিষ্ঠানই
সামিটে অংশ
নেবে। আমরা
সাড়া ভালো
পাচ্ছি।
সম্মেলনটা কোম্পানি
ফোকাস করে
নয়, দেশকে
ফোকাস করেছি।
আমরা এটিকে
বড় পরিসরে
করতে চেয়েছি।
কোম্পানি ফোকাসও
করা হচ্ছে।
সেটা অন্যভাবে।
ওয়ান টু
ওয়ানে বড়
বড় কোম্পানি
আছে—অ্যাপল
আছে, জাপানিজ
কোম্পানিগুলোর সঙ্গে
কথা হয়েছে,
স্যামসাংয়ের সঙ্গে
কথা হয়েছে,
কোরিয়ার হুন্দাই
কোম্পানি আসছে।
জাপান থেকে
গাড়ি নির্মাণের
কথা বলা
হচ্ছে। ইলেকট্রিক
গাড়ি সম্পর্কে
কথা বলা
হচ্ছে। আরেকটা
জিনিস আমরা
চেষ্টা করছি,
চিপ ম্যানুফ্যাকচারিং
সম্পর্কেও আমরা
দেখছি তা
করা যায়
কিনা। প্রযুক্তি
স্থানান্তরের বিষয়েও
কথা বলা
হচ্ছে। ডিজিটাল,
তথ্যপ্রযুক্তির মতো
বিষয়গুলোয় অনেক
কাজ আছে।
পাশাপাশি দেখছি
কৃষি প্রক্রিয়াজাত।
এ খাতেও
আমরা অনেক
বেশি জোর
দিচ্ছি। আমরা
এতদিন কৃষি
খাত বলতাম।
খাতটিকে পরিবর্তন
করে কৃষি
ব্যবসা বলা
শুরু করতে
হবে। এর
ওপর ফোকাস
দিতে হবে।
এটা করা
খুবই সহজ।
কারণ বিশ্বের
শীর্ষ চাল
উৎপাদনকারী হিসেবে
বলুন বা
সবজি অথবা
মাছ উৎপাদনকারী
হিসেবে বলুন,
সবকিছুতেই আমাদের
সফলতা আছে।
কৃষি খাতকে
আমরা যদি
কৃষি ব্যবসায়ে
পরিবর্তন করতে
পারি, এটাও
আমাদের জন্য
বড় সুযোগ
হিসেবে ধরা
দেবে।
সাম্প্রতিক সময়ে
ধারাবাহিকভাবে বিনিয়োগ প্রচারণামূলক কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে। এ কর্মসূচিগুলো থেকে তাত্ক্ষণিকভাবে কোনো সাড়া
পাওয়া গিয়েছে?
যতগুলো কর্মসূচি
অনুষ্ঠিত হয়েছে,
সবগুলো থেকে
ভালো সাড়া
পেয়েছি। অনেক
কোম্পানি এসেছে।
যখন একটি
কোম্পানি বিনিয়োগ
করতে আসে,
আগে তারা
সম্ভাব্যতা যাচাই
করে। এতদিন
তো এ
বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে
আসেওনি, দেখেওনি।
কিন্তু অনেকে
এখন এসে
এখানে সমীক্ষা
করছে। আইটি
খাতে এরই
মধ্যে একটি
কোম্পানি এখানে
ডাটা সেন্টার
করতে চেয়েছে।
হাই-টেক
পার্কে গিয়ে
তারা জমি
নিতে চাচ্ছে,
বলেছে ডাটা
সেন্টার করবে।
একজন নতুন
বিনিয়োগকারী যখন
আসবে, প্রথমে
তারা সে
দেশে গিয়ে
গোটা বিষয়টি
বোঝার চেষ্টা
করবে। আমরা
গিয়ে বাংলাদেশ
সম্পর্কে জানিয়েছি।
এখন তারা
সশরীরে এসে
যদি বেজায়
করতে চায়
তাহলে তাকে
বেজায় যেতে
হবে, বিডায়
আসতে হবে।
সশরীরে তারা
আসবে, দেখবে।
এখন আমরা
আগ্রহ অনেক
দেখতে পাচ্ছি।
এ আগ্রহ
বিনিয়োগে রূপান্তর
হওয়াও শুরু
হয়ে গিয়েছে।
অনেক নতুন
নতুন খাতে
বিদেশী বিনিয়োগ
ছাড়া দেশী
বিনিয়োগেরও অনেক
উৎসাহ আমরা
দেখতে পাচ্ছি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের
তথ্য বলছে,
মূলধনি যন্ত্রের
আমদানি অনেক
বেড়েছে। এ
বৃদ্ধিই নির্দেশ
করে যে
বিনিয়োগ বাড়ছে।
বিনিয়োগের একটা
প্রক্রিয়া আছে।
প্রক্রিয়াটি এখন
চলছে। এখন
যদি বৃহৎ
একটি বিনিয়োগ
হতো তাহলে
আমরা বলতাম।
যেমন সম্প্রতি
সফট ব্যাংক
বিকাশে বিনিয়োগ
করেছে। এটা
বড় খবর।
এটা কেন
করেছে? নিশ্চয়ই
তারা বাংলাদেশে
বিনিয়োগের অনুকূল
পরিবেশ পেয়েছে।
এ রকম
আরো বিনিয়োগ
হয়েছে। আলিবাবার
মতো কোম্পানি
দারাজে বিনিয়োগ
করেছে। তথ্যপ্রযুক্তি
খাতে স্টার্টআপগুলোতেও
বিনিয়োগ আসছে।
এখন আমরা
কৃষি প্রক্রিয়াজাত
খাতে বিনিয়োগ
প্রত্যাশা করছি।
খাদ্য প্রক্রিয়াজাত
খাতে মধ্যপ্রাচ্যের
বড় কোম্পানিগুলো
আগ্রহ প্রকাশ
করছে। তারা
প্রাথমিক পরীক্ষা
করছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা
করেই তারা
বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত
নেবে। প্রক্রিয়াটি
শুরু হয়ে
গেছে। অন্যান্য
অনেক খাতে
আগ্রহ দেখা
যাচ্ছে, যেমন—বিল্ডিং
ম্যাটেরিয়ালস। সাম্প্রতিক
সময়ে প্রচারণামূলক
কর্মসূচির মাধ্যমে
বিনিয়োগের অনেক
আগ্রহ সৃষ্টি
হয়েছে। আশা
করি বিনিয়োগ-সংশ্লিষ্ট
উদ্যোগগুলোর ফল
আমরা পাব।
এক কথায়
বিনিয়োগ সম্মেলন থেকে প্রত্যাশা কী?
প্রত্যাশা হলো প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নতুন যে বাংলাদেশ তৈরি করতে পেরেছি, এ নতুন বাংলাদেশে যে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ আছে, এ সম্পর্কে যত বেশি সম্ভব প্রচারণা করা এবং সর্বোচ্চসংখ্যক মানুষকে যেন এ বিষয়গুলো জানাতে পারি, সেটাই এ সামিটের মূল উদ্দেশ্য।