৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত হিসাব বছরের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের (পিজিসিবি)। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস বেড়েছে ৩৮ শতাংশ। এদিকে সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে গতকাল এ তথ্য জানিয়েছে কোম্পানিটি।
তথ্যমতে, সমাপ্ত হিসাব বছরে পিজিসিবির ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ৭৪ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৩ টাকা ৪৩ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির ইপিএস বেড়েছে ১ টাকা ৩১ পয়সা বা ৩৮ দশমিক ১৯ শতাংশ। ৩০ জুন ২০২১ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১২০ টাকা ৬৭ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময় শেষে যা ছিল ৯৯ টাকা ৭৬ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। সমাপ্ত হিসাব বছরের ঘোষিত লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য আগামী ২৯ জানুয়ারি ভার্চুয়াল মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ধরা হয়েছে ৬ ডিসেম্বর।
সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২১-২২ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) পিজিসিবির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৮২ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময় শেষে যা ছিল ২ টাকা ৯৪ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১২৬ টাকা ২০ পয়সা।
৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে পাওয়ার গ্রিড। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ৪৫ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৫ টাকা ৩৯ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। ৩০ জুন প্রতিষ্ঠানটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১১০ টাকা ৩৯ পয়সা।
২০০৬ সালে শেয়ারবাজারে আসা পাওয়ার গ্রিডের অনুমোদিত মূলধন ১০ হাজার কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৭১২ কোটি ৭২ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১ হাজার ৯১০ কোটি ৪১ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৭৫ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ১৪
দশমিক ৯০ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী ও বাকি ১০ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
ডিএসইতে গতকাল পাওয়ার গ্রিড শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ৫৭ টাকা ৩০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ৪০ টাকা ৪০ পয়সা ও ৭৩ টাকা ৭০ পয়সা।