ভ্রাম্যমাণ খাদ্য পরীক্ষাগার হবে প্রতিটি বিভাগে: খাদ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশের আট বিভাগে ভ্রাম্যমাণ ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হচ্ছে। ফলে উপজেলা পর্যায়ে খাদ্য পরীক্ষা করে তা নিরাপদ কিনা তা জনগণকে অবহিত করা সম্ভব হবে। অচিরেই নারায়ণগঞ্জে জাইকার অর্থায়নে এশিয়ার বৃৃহৎ টেস্টিং ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হবে। এতে খাদ্যের মান নির্ণয় করে সনদ প্রদান সহজ হবে। সময় তিনি যার যার অবস্থান থেকে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে ভূমিকা রাখার আহবান জানান।

গতকাল রাজধানীর ইন্টার কন্টিনেন্টাল হোটেলের গ্রান্ড বলরুমে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আয়োজিত নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ বিধি-প্রবিধি সম্পর্কে অবহিতকরণ এবং জনসচেতনতা সৃষ্টিতে গণমাধ্যম শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাত, সংরক্ষণ, বিপণন এবং খাবার হিসেবে গ্রহণের সুঅভ্যাস তৈরির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। জনসচেতনতা প্রচেষ্টাকে আরো সার্থক সফল করতে পারে।

সময় দেশের মানুষের জন্য নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করতে গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, খাদ্যের নিরাপদতা রক্ষা করা এখন সময়ের দাবি। নিরাপদ খাবার নিশ্চিত হলেই একটি সুস্থ, সবল, কর্মঠ এবং মেধাবী জনগোষ্ঠী তৈরি করা সম্ভব হবে। আর সেই লক্ষ্যেই ২০১৩ সালে প্রণয়ন করা হয় নিরাপদ খাদ্য আইন, যা ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হয়।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকারের সভাপতিত্বে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব . মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম এবং চ্যানেল আইয়ের পরিচালক বার্তা সম্পাদক শাইখ সিরাজ বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক . মো. ইকবাল রউফ মামুন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে . মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার কাজটি ধাপে ধাপে এগোচ্ছে। এরই মধ্যে সব জেলায় সচেতনতামূলক কার্যক্রম চলছে। আট বিভাগীয় শহরে নিরাপদ খাবার টেস্টিং ল্যাব স্থাপনের কাজ শেষ পর্যায়ে। খাদ্য উৎপাদন খাদ্য ব্যবস্থাপনায় সম্পৃক্ত সব অংশীজনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে এবং মাঠ পর্যায়ে জনসচেতনতা বাড়াতে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়ন হলে গ্রাহকের কাছে নিরাপদ খাবার পৌঁছে দেয়া আরো সহজ হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম থেকেই নিরাপদ খাদ্য বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়ে শাইখ সিরাজ বলেন, মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার করে কৃষক তার অজান্তেই খাদ্যকে বিষাক্ত করে তুলছেন। আবার প্রয়োজনেরও বেশি সার ব্যবহার করে তিনি মাটির উর্বরা শক্তিও নষ্ট করে ফেলছেন। তিনি উৎপাদক পর্যায়ে সচেতনতা বাড়াতে যৌথভাবে কৃষি, খাদ্য এবং মৎস্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে কার্যক্রম গ্রহণের অনুরোধ জানান।

সভাপতির বক্তব্যে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকার বলেন, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে সমাজে এর যেমন সুফল দেখা দেবে, তেমনি ভুল তথ্য প্রচারণায় সমাজে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে। জনগণের মাঝে খাদ্য নিরাপদতা এবং -সংক্রান্ত আইন, বিধি প্রবিধান সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টিতে গণমাধ্যম কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন