প্রথমার্ধে মুনাফা থেকে লোকসানে ওয়েস্টার্ন মেরিন

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) মুনাফা থেকে লোকসানে নেমেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১২ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যেখানে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৯৫ পয়সা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে তথ্য জানা গেছে।

তথ্যমতে, সমাপ্ত হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে পয়সা, আগের হিসাব বছরে যেখানে ইপিএস ছিল ৪৯ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ৩২ পয়সা।

৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড। এর মধ্যে দশমিক শতাংশ নগদ বাকি দশমিক শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৮৬ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল টাকা ৭৫ পয়সা। হিসাবে সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস কমে টাকা ৮৯ পয়সা বা ৬৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ। ৩০ জুন ২০২০ শেষে প্রতিষ্ঠানটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ২৪ টাকা পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৩০ টাকা ২৬ পয়সা।

২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড। ২০১৮ হিসাব বছরে ২০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল তারা। এছাড়া ২০১৭ হিসাব বছরে শতাংশ নগদ লভ্যাংশের পাশাপাশি ১২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।

২০১৪ সালে শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের অনুমোদিত মূলধন ৬০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ২৩৫ কোটি ২০ লাখ ৪০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ২৬১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ২৩ কোটি ৫২ লাখ হাজার ৭৬৯। এর মধ্যে ৩০ দশমিক শূন্য শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ১৬ দশমিক ৯৯ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী বাকি ৫৩ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।

ডিএসইতে গতকাল ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের শেয়ারের সর্বশেষ সমাপনী দর ছিল ১২ টাকা ১০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির দর টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১৭ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারটির মূল্য আয় অনুপাত বা পিই রেশিও ১৪ দশমিক শূন্য , হালনাগাদ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যা ১০০ দশমিক ৮৩।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন