চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) মুনাফা বেড়েছে ভিসা ইনকরপোরেটেডের। কভিডজনিত বিপর্যয় কাটিয়ে ব্যবসা ও ভোক্তারা ব্যয়ের দিকে ঝুঁকে পড়ায় বিপুল পরিমাণ মুনাফার দেখা পেয়েছে পেমেন্ট জায়ান্টটি। খবর এপি।
সান ফ্রান্সিসকোভিত্তিক সংস্থাটি জানিয়েছে, ৩০ সেপ্টেম্বর শেষ হওয়া প্রান্তিকে ভিসার মুনাফার পরিমাণ ৩৫৮ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। শেয়ারপ্রতি এ নিট আয়ের পরিমাণ ১ ডলার ৬৫ সেন্ট। যেখানে গত বছরের একই সময়ে সংস্থাটির মুনাফার পরিমাণ ছিল ২১৪ কোটি ডলার কিংবা শেয়ারপ্রতি ৯৭ সেন্ট।
এককালীন সামঞ্জস্য বাদে ভিসা শেয়ারপ্রতি ১ ডলার ৬২ সেন্ট আয় করেছে। আয়ের পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪২ শতাংশ বেশি। ফ্যাক্টসেট অনুসারে, বিশ্লেষকরা শেয়ারপ্রতি ১ ডলার ৫৫ সেন্ট আয়ের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন।
কভিডজনিত মন্দায় ভ্রমণ ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হওয়ায় গত বছর ভিসার উপার্জন বাধাগ্রস্ত করেছিল। সেই সময় ভিসার ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ডের ব্যয়ে পতন হয়েছিল। বিশ্বজুড়ে অর্থনীতিগুলো পুনরায় চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কার্ড পেমেন্টের পরিমাণও বাড়ছে।
ভোক্তা ও ব্যবসা মিলিয়ে তৃতীয় প্রান্তিকে ভিসার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ২ লাখ ৭৪ হাজার ৩০০ কোটি ডলার ব্যয় হয়েছে। মুদ্রার ওঠা-নামার জন্য ১৭ শতাংশ সামঞ্জস্য করা হয়েছে। ক্রেডিট কার্ডের পাশাপাশি ডেবিট কার্ডেও দুই অংকের প্রবৃদ্ধির দেখা পেয়েছে সংস্থাটি।
প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহীরা জানিয়েছেন, তারা পর্যবেক্ষণ করছেন যে মহামারীটি ভোক্তাদের আচরণে একটি স্থায়ী পরিবর্তন এনেছে। মহামারীর আগের তুলনায় বর্তমানে আরো বেশি ভোক্তা অনলাইন বা তাদের স্মার্টফোনের মাধ্যমে জিনিসপত্র কিনতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন। এক্ষেত্রে বেশির ভাগই ক্রেডিট কিংবা ডেবিট কার্ড ব্যবহার করা হচ্ছে। অন্যদিকে মুদি দোকান, কফিশপ ও বারগুলোয় নগদ অর্থ প্রদানের প্রবণতা বেশি ছিল।
ভিসার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও চেয়ারম্যান আল কেলি বলেন, মহামারীটি নগদকে আরো ডিজিটাইজড করেছে। মহামারীর আগে আমরা যেখানে ছিলাম, বর্তমানে তার চেয়ে আরো ভালো অবস্থানে আছি।