শৈল্পিক বিনোদনের জন্য আমরা সবাই প্রস্তুত

ফিচার প্রতিবেদক

শাহনাজ খুশী ও চঞ্চল চৌধুরীকে দৃশ্য বুঝিয়ে দিচ্ছেন সালাহউদ্দিন লাভলু

হাড়কিপ্টে, সাকিন সারিসুরি, ঘরকুটুমসহ বেশকিছু জনপ্রিয় নাটকে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী। এসব নাটকে পরিচালক ছিলেন সালাহউদ্দিন লাভলু। আবার লাভলু-চঞ্চল জুটি দেখা যাবে টিভি পর্দায়। নতুন ধারাবাহিকের নাট্যকার আবার বৃন্দাবন দাস। ফলে ওটিটির সময়ে লাভলু-চঞ্চল-বৃন্দাবন ত্রয়ী দর্শককে আবার টিভি পর্দায় টানতে যাচ্ছেন বলাই যায়। তার আভাস পাওয়া গেছে চঞ্চল চৌধুরীর ফেসবুক পোস্টে। গতকাল তার ফেসবুক প্রোফাইলে শুটিংয়ের ছবি শেয়ার দিয়ে ক্যাপশনে লিখেছেন, অনেক দিন পর টেলিভিশন ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করছি। তার চেয়ে বড় কথা, জনপ্রিয় ধারাবাহিক হাড়কিপ্টের পর সালাহউদ্দিন লাভলু ভাইয়ের সঙ্গে কোনো ধারাবাহিক নাটকে কাজ করা হয়নি। অনেক বছর পর বৃন্দাবন দাসের লেখা আরেকটি নতুন ধারাবাহিক নাটকের শুটিং শুরু করেছি আমরা। যথারীতি সালাহউদ্দিন লাভলু-বৃন্দাবন দাস জুটির অনেক বড় একটা কাজ হবে ধারাবাহিক নাটক। শৈল্পিক বিনোদনের জন্য আমরা সবাই প্রস্তুত। নানা প্রতিকূলতার ভেতর দিয়ে এগিয়ে যাওয়া বাংলা নাটকের ঐতিহ্য রক্ষায় আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

পোস্টের শেষে দর্শকদের উদ্দেশে লেখেন, সেক্ষেত্রে দর্শকের দায় সুস্থ বিনোদনের পক্ষে থাকা। সব মাধ্যমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে টেলিভিশন নাটক এগিয়ে যাক।

চঞ্চল চৌধুরী পোস্টের সঙ্গে দুটি ছবি আপলোড করেন। একটি ছবিতে দেখা যায় পরিচালক সালাহউদ্দিন লাভলু চঞ্চল চৌধুরী শাহনাজ খুশীকে স্ক্রিপ্ট বুঝিয়ে দিচ্ছেন। আরেকটি ছবিতে চঞ্চল-লাভলুর পাশে দেখা যায় হাসানকে। নাটকের নাম জানাননি মনপুরা খ্যাত অভিনেতা।

এর আগে চঞ্চল চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, হাড়কিপ্টে, সাকিন সারিসুরি, ঘরকুটুমসহ অনেক ধারাবাহিকে আমি লাভলু ভাইয়ের পরিচালনায় অভিনয় করেছি, যে নাটকগুলো দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছিল। অনেক বছর হলো লাভলু ভাই-বৃন্দাবন দাস জুটির দীর্ঘ ধারাবাহিক নেই। আগেই বলেছি, ভালো গল্প, ভালো নির্মাতার কাজ পেলেই টেলিভিশনে কাজ করব। লাভলু ভাইয়ের কাজ সম্পর্কে নতুন করে বলার নেই। নাটকটির স্ক্রিপ্ট বৃন্দাবন দাসের। দর্শক চায় ধরনের কাজ দেখতে। সেই সুযোগ হয়ে উঠছিল না দীর্ঘদিন। আবার সুযোগ হলো। সব মিলিয়ে কাজটি করছি। আশা করছি দর্শকদের আবারো বিনোদিত ধারাবাহিক আমরা উপহার দিতে পারব। নাটকে শুধু নির্মল বিনোদন থাকলেই হয় না, সেই সঙ্গে কিছু বক্তব্যও থাকা উচিত। নাটকে দুটোই রয়েছে। নাম ঠিক না হওয়া ধারাবাহিকটিতে আমি একজন শিক্ষকের চরিত্রে অভিনয় করেছি।

পাশাপাশি বর্তমান নাটকে গ্রামীণ চিত্র ফুটে ওঠার বিষয়ে খুব কম নাটকে গ্রামীণ চিত্র উঠে আসে। আমরা মিশ্র জীবন যাপন করি। অনেকেই এখন গ্রামীণ প্রেক্ষাপটের নাটক নির্মাণ করেন। যারা গ্রামীণ চরিত্রগুলো সম্পর্কে জানেন না, এমনকি গ্রাম সম্পর্কে ভালো ধারণা নেই, তারা গ্রামীণ পটভূমির নাটক বানাবেন কীভাবে? এখন গ্রাম আর শহরের পার্থক্য করা কঠিন হয়ে গেছে। সেই পার্থক্য করে নাটক বানানো সম্ভব হবে তার পক্ষে, যিনি গ্রাম সম্পর্কে জানেন। গ্রামীণ সব চরিত্রই ঠাট্টা-তামাশার নয়। গ্রামীণ নাটক নির্মাণ করা অত্যন্ত কঠিন। গ্রামীণ নাটকের মধ্যে নানা বিষয় সংযুক্ত হচ্ছে, যেগুলো আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে যায় না। কোনটি আমাদের সংস্কৃতি, তা এখন বোঝা মুশকিল।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন