বিডিসিএসও প্রসেসের বার্ষিক সম্মেলন

সংস্থাগুলোকে নীতিমালাভিত্তিক ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন এবং মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত সরকার, জাতিসংঘ সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে একটি স্বচ্ছ ও নীতিমালাভিত্তিক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে হবে। কারণ এটি স্থানীয় জাতীয় এনজিও-সিএসও বিকাশের সহায়ক। 

গতকাল এক ভার্চুয়াল সেমিনারে বক্তারা এসব অভিমত প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ এনজিও-সিএসও কো-অর্ডিনেশন প্রসেসের (বিডিসিএসও প্রসেস) বার্ষিক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন আয়েজিত ‘একটি কার্যকর নাগরিক সমাজ গঠনের লক্ষ্যে নীতিমালাভিত্তিক অংশীদার নির্বাচনের স্বচ্ছ প্রক্রিয়া’ শীর্ষক সেমিনারে স্থানীয় এনজিও ও সিএসওর জন্য দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা নিশ্চিত করার জন্য দাবি জানানো হয়। 

স্থানীয় ও জাতীয় প্রায় ৬০০ এনজিও-সিএসওর নেটওয়ার্ক বিডিসিএসও আয়োজিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন নারীপক্ষের শিরীন হক, প্রধান অতিথি ছিলেন জেনেভাভিত্তিক গ্লোবাল মেন্টরশিপ ইনিশিয়েটিভের প্রতিষ্ঠাতা স্ম্রুতি প্যাটেল। কোস্ট ফাউন্ডেশনের মো. মজিবুল হক মনির ও ফেরদৌস আরা রুমীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন এডাবের একেএম জসিম উদ্দিন, ইপসার আরিফুর রহমান, সিসিএনএফ ও পালসের আবু মুর্শেদ চৌধুরী, আইসিডিএর আনোয়র জাহিদ, তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থার খোন্দকার ফারুক আহমেদ, জিবিএসএসের মাসুদা ফারুখ রত্না, দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থার রফিকুল ইসলাম এবং বিএনএনআরসির এএইচএম বজলুর রহমান। দেশের বিভিন্ন এলাকার তৃণমূল এনজিও-সিএসও নেতারা এতে বক্তব্য রাখেন। 

শিরীন হক বলেন, নেপাল কখনই কোনো বিদেশী শক্তির উপনিবেশ ছিল না, মূলত সেই চেতনায় শক্তিশালী হয়েই তারা নিয়ম তৈরি করেছে যে, কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থা, তা জাতিসংঘ বা আইএনজিও যা-ই হোক না কেন, স্থানীয় সরকার বা স্থানীয় এনজিওর অংশীদারিত্ব ছাড়া সরাসরি মাঠ পর্যায়ে কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারবে না। বাংলাদেশী স্থানীয় এনজিওগুলো এখন যথেষ্ট পরিপক্ব হয়েছে। এ কারণেই সরকারসহ সব পক্ষের উচিত বিদেশী সহায়তানির্ভর মানবিক ও উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে একটি অংশীদারিত্ব নীতিমালা প্রণয়ন করা।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন