বাংলাদেশকে জিততে দিলেন না আসালঙ্কা ও রাজাপাকসে

ক্রীড়া প্রতিবেদক

শারজাহতে আজ দিনটি বাংলাদেশের হতে দিলেন না চারিথ আসালঙ্কা ও ভানুকা রাজাপাকসে। অনবদ্য ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে নেন এ দুজন। একটি সময় হারের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা লংকানরা শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট ও ৭ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয়।


মোহাম্মদ নাইম শেখ (৫২ বলে ৬২) ও মুশফিকুর রহিমের (৩৭ বলে ৫৭) হাফ সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭১ রান তুলে শ্রীলংকাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল বাংলাদেশ। যদিও রাজাপাকসে ও আসালঙ্কার ৮৬ রানের পার্টনারশিপ বাংলাদেশকে হতাশ করে। ভানুকা ৩১ বলে ৫৩ ও আসালঙ্কা ৪৯ বলে ৮০ রান করেন। এর আগে পাথুম নিশাঙ্কার সঙ্গেও ৬৯ রানের পার্টনারশিপ গড়েন আসালঙ্কা।


একটি পর্যায়ে শ্রীলংকার প্রয়োজন ছিল ৪৮ বলে ৮২ রান, হাতে ছিল ৫ উইকেট। মুস্তাফিজুর রহমানের তিন ওভার ও সাকিব আল হাসানের দুই ওভার বাকি থাকায় ম্যাচটা হেলে ছিল বাংলাদেশের দিকেই। কিন্তু এরপর ভোজবাজির মতো সব পাল্টে গেল। দুই ওভার থেকে ৩১ রান তুলে নিল সিংহলিজরা। বিশেষ করে, সাইফউদ্দিনের করা ১৬তম ওভার থেকেই এল ২২ রান। এরপর আস্কিং রেটটা লংকানদের হাতের নাগালে চলে যায় এবং শেষ পর্যন্ত ৭ বল অব্যবহূত থাকে তাদের।


বাংলাদেশের এই হারের পেছনে বড় অবদান রেখেছেন ফিল্ডার লিটন কুমার। তিনি দু দুটি ক্যাচ মিস না করলে ম্যাচের ফল ভিন্ন হতে পারতো। ১৩ রানে জীবন পান রাজাপাকসে, যিনি পরে করেন ৫৩, আর ৮০ রান করা আসালঙ্কা জীবন পান ৬৩ রানে।


হার শেষে বাংলাদেশ দলনায়ক মাহমুদউল্লাহ বলেন, আমি ভেবেছিলাম ১৭১ রান আমরা রক্ষা করতে পারব। লিটন ও নাইম আমাদের খুব ভালো সূচনা এনে দেয়। নাইমই মূলত ইনিংসটি ধরে রাখে। মুশফিক দুর্দান্ত একটি ইনিংস খেলেছে। দশম ওভার পর্যন্ত আমরা ম্যাচে ছিলাম। এরপর সবকিছু আমাদের বিপক্ষে চলে যায়। পরের ম্যাচে ভুলগুলো শুধরে নেব আমরা। আইপিএল দেখে আমরা এখানে একজন বাড়তি স্পিনার খেলানোর পরিকল্পনা করি। স্পিনাররা ভালোই বোলিং করেছে, যদিও আমরা বেশ কিছু সুযোগ নষ্ট করেছি।

ইতিবাচক দিকও দেখছেন মাহমুদউল্লাহ। তিনি বলেন, এই ম্যাচটি আমাদের ব্যাটিংকে জাগিয়ে তুলবে। আমরা এখন পরের ম্যাচের দিকে তাকিয়ে আছি।


৮০ রানের ইনিংস খেলে বাংলাদেশের স্বপ্নটা চূরমার করে দেন চারিথ আসালঙ্কা। দলকে জেতানোর আনন্দ প্রকাশ করে তিনি বলেন, দেশকে জেতানো ইনিংস খেলে আমি অনেক খুশি। এ মুহূর্তে আমি অনেক আনন্দিত। দেশে আমার বন্ধুরাও অনেক খুশি, তারা সব সময় আমাকে সমর্থন জুগিয়েছে। প্রথম বল মোকাবেলা করার সময়ই আমি বুঝে নেই, এটি ভালো পিচ এবং আমি তখন সহজাত খেলাটা খেলার চেষ্টা করি। রাজাপাকসেও দুর্দান্ত একটি ইনিংস খেলে ম্যাচের গতি পাল্টে দেয়। আমি যে ইনিংসটা খেলেছি পরের ম্যাচেই এমন ইনিংস খেলতে চাইব।


টি২০ ক্রিকেটে এ নিয়ে মুখোমুখি লড়াইয়ে ১২ ম্যাচে ৮ টিতেই জিতল শ্রীলংকা, বাংলাদেশ জিতেছে ৪টি। 

 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন