ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শনকালে সালমান এফ রহমান

রফতানি খাতে ইলেকট্রনিকস শিল্প গার্মেন্টসকে ছাড়িয়ে যাবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বেসরকারি শিল্প খাতের জন্য সরকার অনুকূল পরিবেশ তৈরি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, ইলেকট্রনিকস প্রযুক্তি খাতে ওয়ালটন সরকারের সৃষ্ট এসব সুযোগ কাজে লাগাতে পেরেছে। তাদের প্রডাক্ট ডাইভারসিটি অনেক। তারা বিভিন্ন ধরনের পণ্য উৎপাদন করছে। তারা সব ধরনের যন্ত্রাংশও তৈরি করছে। ওয়ালটন যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে আমি নিশ্চিত শিগগিরই রফতানি খাতে ইলেকট্রনিকস শিল্প গার্মেন্টস শিল্পকে ছাড়িয়ে যাবে। গতকাল গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন সালমান এফ রহমান। সময় তিনি এক লাখ ওয়ালটন ফ্রিজ রফতানির সাফল্য উদযাপনে বিশালাকার কেক কাটেন।

সালমান এফ রহমান বলেন, বাংলাদেশী পণ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রফতানি হচ্ছে। তবে ভারতে বাংলাদেশী পণ্য রফতানির পরিমাণ অন্যান্য দেশের তুলনায় কম। আমি বিষয়টি নিয়ে ভারতের সঙ্গে কথা বলব। ভারত আমাদের থেকে পণ্য নিলে তাদের লাভ বেশি।

সময় তিনি বাংলাদেশে ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস পেপালের যাত্রা নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, এতদিন পেপাল নিয়ে আমরা চেষ্টা করেছি। আগামী ডিসেম্বরে বাংলাদেশে সেটিও চালু হচ্ছে। এতে আমাদের দেশের ফ্রিল্যান্সারদের দীর্ঘদিনের জটিলতা কেটে যাবে।

ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শনকালে সালমান এফ রহমানের সঙ্গে ছিলেন আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম. শাহ আলম সরোয়ার, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প বিনিয়োগ উপদেষ্টার একান্ত সচিব জাহিদুল ইসলাম ভূঞা প্রমুখ।

গতকাল সকালে সালমান এফ রহমানসহ অন্যান্য অতিথি ওয়ালটনের কারখানা কমপ্লেক্সে পৌঁছলে তাদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান এসএম শামছুল আলম, পরিচালক এসএম রেজাউল আলম, এসএম মঞ্জুরুল আলম, সাবিহা জারিন অরনা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) গোলাম মুর্শেদ।

সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুরের পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ শফিক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মামুন সরদার, ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের ডিএমডি হুমায়ূন কবীর আলমগীর আলম সরকার, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ডিএমডি লিয়াকত আলী ভুঁইয়া, ওয়ালটনের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী পরিচালক কর্নেল (অব.) শাহাদাত আলম, উদয় হাকিম, তানভীর রহমান, আনিসুর রহমান মল্লিক, ফিরোজ আলম, ইউসুফ আলী, মোস্তফা নাহিদ হোসেন, আমিন খান ইয়াসির আল ইমরান, আন্তর্জাতিক ব্যবসা ইউনিটের প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড কিম, নির্বাহী পরিচালক শাহজাদা সেলিম, আবদুল্লাহ আল মামুন, জাহিদুল আলম, শাহজালাল হোসেন লিমন, মহসিন আলী মোল্লা প্রমুখ।

পরিদর্শন শেষে সালমান এফ রহমান আরো বলেন, ওয়ালটন যখন বলে মেড ইন বাংলাদেশ তখন সেটা সত্যিই মেড ইন বাংলাদেশ। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য অর্জনে আরঅ্যান্ডডি (গবেষণা উন্নয়ন) খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওয়ালটন এক্ষেত্রে ব্যাপক কাজ করছে। বাংলাদেশী প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে তাদের আরঅ্যান্ডডি খুবই সমৃদ্ধ।

ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের এমডি সিইও গোলাম মুর্শেদ বলেন, ইলেকট্রনিকস শিল্পই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। ওয়ালটন পণ্য এখন বিশ্বের ৪০টি দেশে রফতানি হচ্ছে। দেশের রেফ্রিজারেটর মার্কেটের ৭৫ শতাংশ ওয়ালটনের। এসির প্রায় ৫০ শতাংশ আর টিভির ৪০ শতাংশ মার্কেট ওয়ালটনের। এর অর্থ মানুষ ওয়ালটন পণ্যের প্রতি আস্থা ভরসা রাখছে।

এর আগে কারখানা প্রাঙ্গণে পৌঁছে অতিথিরা প্রথমে ওয়ালটনের বিশাল কর্মযজ্ঞের ওপর নির্মিত ভিডিও ডকুমেন্টারি উপভোগ করেন। এরপর অতিথিরা ওয়ালটনের সুসজ্জিত প্রডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টার ঘুরে দেখেন। পরে তারা ওয়ালটনের মেটাল কাস্টিং, কম্প্রেসর, রেফ্রিজারেটর, এয়ার কন্ডিশনার, এলইডি টেলিভিশন, কম্পিউটার ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, হোম অ্যাপ্লায়েন্সসহ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়া সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন