খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক বাণিজ্য পূর্বাভাস বাড়িয়েছে আইজিসি

বণিক বার্তা ডেস্ক

চলতি বছর বৈশ্বিক উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি বাড়বে খাদ্যশস্য সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা ছবি: লিংকন জার্নাল স্টার

খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক বাণিজ্য বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল গ্রেইন কাউন্সিল (আইজিসি) আগের পূর্বাভাসের তুলনায় বাণিজ্য ৫০ লাখ টন বাড়বে বলে জানায় সংস্থাটি। সম্প্রতি আইজিসির গ্রেইন মার্কেট রিপোর্টে তথ্য উঠে আসে।

প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি ২০২১-২২ বিশ্বজুড়ে খাদ্যশস্য বাণিজ্যের পরিমাণ দাঁড়াবে ৪২ কোটি ১০ লাখ টনে। সেপ্টেম্বরে দেয়া পূর্বাভাসে ৪১ কোটি ৬০ লাখ টনের পূর্বাভাস দিয়েছিল আইজিসি। এদিকে শুধু নতুন পূর্বাভাসে বাড়লেও গত বছরের তুলনায় বাণিজ্য কমতে পারে। ২০২০-২১ মৌসুমে বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৪২ কোটি ৭০ লাখ টন।

বিশ্বব্যাপী খাদ্যশস্যের ঊর্ধ্বমুখী উৎপাদন বাণিজ্য বৃদ্ধিতে প্রভাবকের ভূমিকা পালন করছে। চলতি বছর খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক উৎপাদন ২২৯ কোটি টনে পৌঁছতে পারে। আগের পূর্বাভাসে ২২৮ কোটি ৯০ লাখ টন উৎপাদনের কথা জানিয়েছিল আইজিসি।

খাদ্যশস্যের বাণিজ্য বৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকা রাখবে গম। প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি মৌসুমে কৃষিপণ্যটির বাণিজ্য ১৯ কোটি ৪০ লাখ টনে পৌঁছবে। আগের পূর্বাভাসে ১৯ কোটি ১০ লাখ টন বাণিজ্যের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল। এছাড়া গত বছরের তুলনায়ও পণ্যটির বাণিজ্য বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নিয়ে টানা তিন বছরের মতো শস্যটির বৈশ্বিক বাণিজ্যে প্রবৃদ্ধি আসবে। খাদ্যশস্যটির উৎপাদন দাঁড়াবে ৭৮ কোটি ১০ লাখ টনে। আগের পূর্বাভাসের তুলনায় উৎপাদনের পরিবর্তন আনেনি আইজিসি। তবে গত বছরের তুলনায় উৎপাদন ৮০ লাখ টন বাড়বে। 

এদিকে চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্র ব্রাজিলে রেকর্ড পরিমাণ সয়াবিন উৎপাদনের প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। ফলে তেলবীজটির উৎপাদন গত পূর্বাভাসের তুলনায় কোটি ৪০ লাখ টন বেড়ে ৩৮ কোটি টনে উন্নীত হবে। প্রধান উৎপাদন অঞ্চল উত্তর দক্ষিণ আমেরিকার পাশাপাশি এশিয়ায়ও উৎপাদন বাড়তে পারে। এক বছরের ব্যবধানে উৎপাদনে প্রবৃদ্ধি আসবে শতাংশ। উৎপাদন উল্লম্ফনে ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হবে প্রধান রফতানিকারক দেশগুলো। সয়াবিনের বৈশ্বিক বাণিজ্য গত বছরের তুলনায় শতাংশ বাড়তে পারে।

আইজিসি বলছে, ২০২০-২১ মৌসুমে বিশ্বজুড়ে ১৬ কোটি ২০ লাখ টন গম লেনদেন হয়েছে। মৌসুমে বাণিজ্যের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৭ কোটি টনে। যদিও নতুন পূর্বাভাসে বাণিজ্যের পরিমাণ ১০ লাখ টন কমিয়েছে আইজিসি।

এদিকে এশিয়া অঞ্চলে জাহাজীকরণ বাড়ায় চাল বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বাণিজ্যের পরিমাণ দাঁড়াবে কোটি ৮০ লাখ টন। খাদ্যশস্যটির উৎপাদন দাঁড়াবে ৫১ কোটি ৩০ লাখ টনে, যা আগের পূর্বাভাসের তুলনায় ১০ লাখ টন বেশি। 

নতুন পূর্বাভাসে ভুট্টার বৈশ্বিক বাণিজ্য কমবে বলে জানিয়েছে আইজিসি। বছর বিশ্বজুড়ে ১৭ কোটি ৮০ লাখ টন ভুট্টার বাণিজ্য হবে। আগের পূর্বাভাসে বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৭ কোটি ৯০ লাখ টন। শুধু নতুন পূর্বাভাসেই নয়, গত বছরের তুলনায়ও পণ্যটির বাণিজ্য কমবে বলে মনে করছে ইন্টারন্যাশনাল গ্রেইন কাউন্সিল। ওই সময় বিশ্ববাজারে ১৮ কোটি ৯০ লাখ টন ভুট্টা বেচাকেনা হয়েছিল।

এদিকে খাদ্যশস্যের ব্যবহার পূর্বাভাসও বাড়িয়েছে আইজিসি। প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, বছর বিশ্বজুড়ে ২২৯ কোটি ১০ লাখ টন খাদ্যশস্য ব্যবহার করা হবে। আগের পূর্বাভাসে ব্যবহারের পরিমাণ ছিল ২২৮ কোটি ৮০ লাখ টন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন