বিদেশী শ্রমিক ও পর্যটকদের জন্য খুলছে মালয়েশিয়া

বণিক বার্তা ডেস্ক

কর্মী সংকট মোকাবেলায় সীমান্ত খুলে দিতে যাচ্ছে মালয়েশিয়া। পাশাপাশি আগামী মাস থেকে পূর্ণ ডোজের টিকা নেয়া পর্যটকরা কোয়ারেন্টিন ছাড়াই ভ্রমণের সুযোগ পাবেন। তবে এক্ষেত্রে তারা কেবল ল্যাংকাউইয়ের উত্তরের রিসোর্ট দ্বীপে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।

এপির খবরে বলা হয়েছে, আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে মালয়েশিয়া সরকার বিদেশী পর্যটকদের জন্য ল্যাংকাউই খুলে দিচ্ছে। ২০২০ সালের মার্চের পর প্রথমবারের মতো পর্যটকদের স্বাগত জানাতে যাচ্ছে দেশটি। এছাড়া দেশের বাকি অংশ খুলে দেয়ার তিন মাস আগেই খুলে দেয়া হচ্ছে রিসোর্ট দ্বীপ।

দেশের ৯৪ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ককে কভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকার আওতায় আনার পরই এমন ঘোষণা দিল মালয়েশিয়া। এখন পর্যন্ত দেশটির মোট জনসংখ্যার ৭২ শতাংশ নাগরিক টিকা পেয়েছেন। দেশটিতে সংক্রমণের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। আগস্টে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ২০ হাজার থেকে কমে সাত হাজারে দাঁড়িয়েছে। মালয়েশিয়ায় মোট ২৪ লাখ মানুষ কভিডে সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত এবং ২৮ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি এয়াকুব বলেন, শুধু কয়েকটি দেশের পর্যটকরা ল্যাংকাউই ভ্রমণের সুযোগ পাবেন এবং শিগগিরই সে তালিকা প্রকাশ করা হবে। দেশে প্রবেশের তিনদিন আগে এবং থাকার সময় তাদের কভিড-১৯ পরীক্ষা করতে হবে। পর্যটকদের অবশ্যই অন্তত ৮০ হাজার ডলারের বীমা কাভারেজ থাকতে হবে, ন্যূনতম তিনদিন দেশে অবস্থান করতে হবে এবং স্থানীয় ট্যুর গাইডকে কাজে লাগাতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এছাড়া সরকার বাগান খাতে বিদেশী কর্মী নিতে সম্মত হয়েছে। তাদের অবশ্যই পূর্ণ ডোজের টিকা নিতে হবে, আসার তিনদিন আগে কভিড-১৯ পরীক্ষা করতে হবে এবং সাতদিনের কোয়ারেন্টিন থাকতে হবে। অভিবাসী শ্রমিক কোটা এবং অন্যান্য শিল্পের জন্য বিদেশী কর্মী নেয়ার তারিখগুলো নিয়ে কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।

দেশটির কর্মকর্তারা বলছেন, শিগগিরই ৩২ হাজার বিদেশী কর্মীর প্রথম ব্যাচ নেয়া হবে। স্থানীয়দের আরো বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে গত বছরের জুনে বিদেশী কর্মী নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তবে নিষেধাজ্ঞা দেশটিতে তীব্র শ্রম ঘাটতির জন্ম দেয়।

মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি জানিয়েছে, ২০১৮ সালে বিদেশী কর্মীর সংখ্যা ১৯ লাখ থেকে কমে ১১ লাখে দাঁড়িয়েছে। বাগান খাতে ৭০ হাজার, রাবার গ্লাভ শিল্পে ২৫ হাজার, আসবাব শিল্পে ৩০ হাজার, নির্মাণ খাতে দুই লাখ, শিল্পোৎপাদনে ২৫ হাজার, পরিষেবায় ৪৫ হাজার প্লাস্টিক খাতে ছয় হাজার বিদেশী কর্মী প্রয়োজন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন