কুমিল্লা নগরীর নানুয়া দীঘির পাড়ের একটি পূজামণ্ডপে কোরআন শরিফ রাখার ঘটনার মূল অভিযুক্ত ইকবাল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে গতকাল কড়া পুলিশি পাহারায় তাকে কুমিল্লায় নেয়া হয়। আজ এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে।
কুমিল্লা জেলা পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, কুমিল্লায় পূজামণ্ডপের ঘটনায় সিসিটিভির ফুটেজে ধরা পড়া ব্যক্তিই কক্সবাজারে আটক হওয়া ইকবাল হোসেন। গতকাল দুপুর থেকেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, কুমিল্লা থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার দিনভর ইকবাল কক্সবাজারের সুগন্ধা বিচে এলোমেলোভাবে ঘোরাফেরা করেন। এ সময় কথাবার্তার একপর্যায়ে নোয়াখালী থেকে সুগন্ধা বিচে বেড়াতে যাওয়া তিন তরুণের সঙ্গে ইকবালের এক ধরনের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে ইকবাল নিজের পালিয়ে থাকার সমস্যার কথা তাদের জানান। এ কথা জানার পর সেদিন রাতেই তরুণরা কক্সবাজার পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ দ্রুত তাকে গ্রেফতার করে। খবর পেয়ে রাতেই কক্সবাজার পৌঁছে কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি দল। কক্সবাজার পুলিশের কাছ থেকে ইকবালকে বুঝে পাওয়ার পর কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাকে কুমিল্লায় নেয়া হয়।
কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ জানান, তদন্তের স্বার্থে এখন ইকবাল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানানো হবে।
এর আগে ১৩ অক্টোবর নগরীর নানুয়া দীঘির পাড় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনাকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা শুরু হয়। এ সময় কুমিল্লা নগরের কয়েকটি পূজামণ্ডপে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় পাঁচটি, সদর দক্ষিণ মডেল থানায় দুটি, দাউদকান্দি মডেল থানায় একটি, দেবিদ্বার থানায় একটিসহ মোট নয়টি মামলা হয়।