দেশে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত কমেছে। একই সঙ্গে কমেছে মৃত্যুও। গতকাল সর্বশেষ আরো চারজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রায় সাড়ে ১৭ মাস পর মৃত্যুর সংখ্যা চারে নেমেছে। সর্বশেষ আরো ২৩২ জনের শরীরে প্রাণঘাতী ভাইরাসটির সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল বিকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সরকারের করোনা-বিষয়ক তথ্য বিশ্লেষণে জানা যায়, গতকালের চেয়েও কম রোগীর মৃত্যু হয়েছিল ২০২০ সালের ৬ মে। সেদিন তিনজনের মৃত্যু হয়। এরপর দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা এত নিচে নামেনি কখনো। একই সঙ্গে গতকালের শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দেড় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে সর্বশেষ ২০২০ সালের ১৪ এপ্রিল ২০৯ জনের দেহে ভাইরাসটির সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১৭ হাজার ১০০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ পর্যন্ত দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১৫ লাখ ৬৭ হাজার ১৩৯ জন। আর মারা গেছে ২৭ হাজার ৮০৫ জন। সর্বশেষ নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বিবেচনায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
গতকাল পাঁচ বিভাগে কোনো মৃত্যু ঘটেনি। এ বিভাগগুলো হলো রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ। মৃত চারজনের মধ্যে দুজন ঢাকা বিভাগের এবং একজন করে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। এদিকে সর্বশেষ আরো ৫৬৪ জন করোনা রোগী সুস্থ হওয়ায় মোট সুস্থতার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৬৪৬ জনে।
গত ৩১ আগস্ট দেশে করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা ১৫ লাখ অতিক্রম করে। এর আগে ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জন রোগী শনাক্ত হয়। আর গত ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুর সংখ্যা ২৭ হাজার অতিক্রম করে। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট দুইদিনই সর্বোচ্চ ২৬৪ জন করে করোনা রোগীর মৃত্যু হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে শতাধিক দেশে ভাইরাসটির সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে গেল বছরের ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
