টানা লেনদেন কমতির দিকে রয়েছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই)। গত সপ্তাহে এক্সচেঞ্জটিতে মোট ৬ হাজার ৪৩ কোটি টাকার লেনদেন হয়। যেখানে আগের সপ্তাহে লেনদেন ছিল ৯ হাজার ৬২ কোটি টাকা। সেই হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর লেনদেন কমেছে ৩ হাজার ১৯ কোটি টাকার বেশি বা প্রায় ৩৩ দশমিক ৩২ শতাংশ।
এদিকে লেনদেনের পাশাপাশি ডিএসইর বাজার মূলধনও কমেছে। গত সপ্তাহে লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার বেশি। সপ্তাহ শেষে যা কমে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকায়। সেই হিসাবে সপ্তাহ শেষে বাজার মূলধন কমেছে ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
এদিকে গত সপ্তাহে টাকার অংকে ডিএসইর গড় লেনদেনও কমেছে। গত সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইর গড় লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৫১০ কোটি টাকা। যেখানে আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন ছিল ১ হাজার ৮১২ কোটি টাকা।
খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৫ দশমিক ৬ শতাংশ নিয়ে শীর্ষে অবস্থানে রয়েছে ব্যাংক খাত। ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত।
লেনদেন ও বাজার মূলধনের পাশাপাশি ডিএসইর সূচক কমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৬৭ দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৩১ শতাংশ কমে ৭ হাজার ৭৬ দশমিক ২৩ পয়েন্টে নেমেছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ৭ হাজার ২৪৩ দশমিক ২৭ পয়েন্টে।
নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ সপ্তাহের ব্যবধানে ১৯ দশমিক ৮০ পয়েন্ট বা দশমিক ৭৩ শতাংশ কমে ২ হাজার ৬৯৯ দশমিক ৩৪ পয়েন্টে নেমেছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ২ হাজার ৭১৯ দশমিক ১৪ পয়েন্টে। ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ৪৯ দশমিক ২৭ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ১৪ শতাংশ কমে ১ হাজার ৫১৮ দশমিক ১৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ১ হাজার ৫৬৭ দশমিক ৪৪ পয়েন্টে।
দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে প্রায় ২২৯ কোটি টাকার লেনদেন হয়। আগের সপ্তাহে যা ছিল
৩২৫ কোটি টাকা। গত সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ২০ হাজার ৬৯৩ দশমিক ৩৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহে ছিল ২১ হাজার ১১৬ দশমিক ৭২ পয়েন্টে। আলোচ্য সময়ে সিএসইতে মোট ৩৩৫টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৪১টির। কমেছে ২৮৬টির। আর অপরিবর্তিত ছিল ৮টির শেয়ারদর।
