ক্যানালিসের প্রতিবেদন

তৃতীয় প্রান্তিকে ভারতে স্মার্টফোন বিক্রি কমেছে ৫ শতাংশ

বণিক বার্তা ডেস্ক

সাশ্রয়ী ফোন নির্মাণে উপকরণ ও সাপ্লাই চেইন সংকটে ভারতের স্মার্টফোন বাজারে প্রভাব পড়েছে ছবি: গিজমোচায়না

চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে ভারতের স্মার্টফোন বিক্রি আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে কমেছে শতাংশ। বাজার বিশ্লেষক সংস্থা ক্যানালিসের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে তথ্য উঠে এসেছে। সাশ্রয়ী ফোন নির্মাণে উপকরণ সাপ্লাই চেইন সংকটে জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ভারতে স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছে কোটি ৭৫ লাখ ইউনিট।

গত বছরের চেয়ে স্মার্টফোন বিক্রি কমলেও চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের চেয়ে দেশটিতে স্মার্টফোন বিক্রি বেড়েছে ৪৭ শতাংশ। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসায় তৃতীয় প্রান্তিকে স্মার্টফোন বিক্রি বেড়েছে। গত বছর অবশ্য দুই প্রান্তিকের শ্লথগতির পর তৃতীয় প্রান্তিকে রেকর্ড স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছিল, যার বিপরীতে জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে স্মার্টফোন বিক্রি শতাংশ কমেছে।

গত প্রান্তিকে স্মার্টফোন বিক্রিতে শীর্ষে রয়েছে শাওমি। ভারতে কোটি ১২ লাখ ইউনিট স্মার্টফোন বিক্রি করেছে চীনা স্মার্টফোন নির্মাতা জায়ান্টটি। এতে ভারতের স্মার্টফোন বাজারের ২৪ শতাংশ শেয়ার এখন শাওমির। স্যামসাং বিক্রি করেছে ৯১ লাখ ইউনিট। ১৯ শতাংশ বাজার শেয়ার দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক প্রযুক্তি জায়ান্টটির। ৮১ লাখ স্মার্টফোন বিক্রির মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভিভো। চতুর্থ স্থানে থাকা রিয়েলমির স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছে ৭৫ লাখ ইউনিট এবং ৬২ লাখ ইউনিট স্মার্টফোন বিক্রি করে পঞ্চম স্থানে অপো।

ক্যানালিসের বিশ্লেষক সানিয়াম চৌরাশিয়া বলেন, টিকাদান কর্মসূচি চাঙ্গা হওয়ায় ভারতের অর্থনীতিতে ইতিবাচক হাওয়া বইছে। জুনের শেষের দিক থেকে ভারতে স্মার্টফোনের চাহিদা চাঙ্গা হয়েছে, যা চলতি উৎসব মৌসুমে বহাল থাকবে। ছুটির মৌসুম শুরুর আগেই বাজারে পুরনো স্টকের ফোনগুলো ছেড়ে দিয়েছে স্মার্টফোন কোম্পানিগুলো। তবে সাশ্রয়ী ফোনগুলো নির্মাণে যে সাপ্লাই চেইন সংকট উপকরণ স্বল্পতার মুখোমুখি হতে হয়েছে, তার প্রভাব পড়েছে নতুন স্মার্টফোন নির্মাণ সরবরাহে। চতুর্থ প্রান্তিকেও যে সংকট বহাল থাকবে তা স্পষ্ট। উচ্চ উপকরণ লজিস্টিকস ব্যয় বৃদ্ধির পাশাপাশি কনটেইনার স্বল্পতায় স্মার্টফোনের খুচরা দাম বাড়তে পারে।

জশ শাহ নামে ক্যানালিসের অপর এক রিসার্চ অ্যানালিস্ট বলেন, ভারতের বাজারে নিজেদের অবস্থান সুসংহত করতে মরিয়া স্মার্টফোন নির্মাতা কোম্পানিগুলো। বিভিন্ন ধরনের পণ্য আনা থেকে শুরু করে চালান ভ্যালু বৃদ্ধির মতো বিভিন্ন কৌশল গ্রহণ করছে তারা। যেমন শাওমি তাদের এমআই ১১ সিরিজের মাধ্যমে প্রিমিয়াম সেগমেন্টে তাদের বাজার শেয়ার বাড়াচ্ছে। অ্যাপল যেমন গত সেপ্টেম্বরে তাদের আইফোন ১৩ বাজারে আনার আগে বিভিন্ন প্রমোশনাল কর্মসূচির মাধ্যমে আইফোন ১২ বিক্রি করেছে। অন্যদিকে সাশ্রয়ী ফাইভজি ফোনের মাধ্যমে বাজারে নিজেদের অবস্থান মজবুত করার চেষ্টা চালিয়েছে রিয়েলমি। এছাড়া অনলাইন প্লাটফর্মেই নিজেদের ৭০ শতাংশ স্মার্টফোন বিক্রি করেছে চীনা কোম্পানিটি। শুধু রিয়েলমি ফাইভজি ফোনটিই অনলাইনে ১০ লাখ ইউনিট বিক্রি করেছে তারা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন