চিপসহ যন্ত্রাংশ ঘাটতিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। মহামারী শুরুর পর থেকেই এ পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে অটোমোবাইল শিল্প। এমন পরিস্থিতিতেও রেকর্ড গাড়ি বিক্রি করেছে টেসলা। ফলে ইতিহাসের সর্বোচ্চ প্রান্তিকভিত্তিক মুনাফার দেখা পায় মার্কিন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। খবর এপি।
চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ১৬২ কোটি ডলার মুনাফার দেখা পেয়েছে টেসলা ইনকরপোরেটেড। এর মাধ্যমে সংস্থাটি দ্বিতীয় প্রান্তিকে ১১৪ কোটি ডলারের পুরনো রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে গেছে। গত বছরের এ সময়ে ৩৩ কোটি ১০ লাখ ডলারের তুলনায় এ মুনাফার পরিমাণ প্রায় পাঁচ গুণ বেশি।
ফ্যাক্টসেট অনুসারে, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১ হাজার ৩৭৬ কোটি ডলার আয়েরও একটি রেকর্ড তৈরি করেছে টেসলা। যদিও আয়ের পরিমাণ ওয়াল স্ট্রিটের পূর্বাভাস ১ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের চেয়ে কম।
স্টকভিত্তিক ক্ষতিপূরণের মতো বিশেষ আইটেম বাদ দিয়ে ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক টেসলার শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১ ডলার ৮৬ সেন্ট। যেখানে শেয়ারপ্রতি ১ ডলার ৬২ সেন্ট আয়ের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল। সম্প্রতি প্রধান নির্বাহী ইলোন মাস্ক সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় ক্যালিফোর্নিয়া থেকে টেক্সাসের অস্টিনে সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
শেয়ারহোল্ডারদের কাছে এক বিবৃতিতে টেসলা বলেছে, চিপ ঘাটতি, বন্দরে পণ্যজট ও ব্ল্যাকআউটসহ বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ আমাদের কারখানাগুলোর কার্যক্রমে প্রভাব ফেলেছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে টেসলা বলেছিল, তৃতীয় প্রান্তিকে রেকর্ড ২ লাখ ৪১ হাজার ৩০০ ইউনিট গাড়ি সরবরাহ করা হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই এ বিপুল সংখ্যক যানবাহন সরবরাহ করা হয়েছে। এ সময়ে জেনারেল মোটরস ও ফোর্ডসহ চিপ এবং যন্ত্রাংশ ঘাটতির কারণে একাধিকবার কারখানা বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে। এর আগে ইলোন মাস্ক বলেছিলেন, টেসলা তার উৎপাদন কার্যক্রম ঠিক রাখতে বিকল্প সরবরাহকারীদের থেকে চিপের ব্যবস্থা করতে সক্ষম হয়েছে।
গত বছরের এ সময়ে ১ লাখ ৪০ হাজার গাড়ি সরবরাহ করছিল। ফলে তৃতীয় প্রান্তিকে সংস্থাটির বিক্রি বেড়েছে ৭২ শতাংশ। চলতি বছরের এখন পর্যন্ত টেসলা ৬ লাখ ২৭ হাজার ৩০০ ইউনিট গাড়ি বিক্রি করেছে। যেখানে গত বছরজুড়ে সংস্থাটি ৪ লাখ ৯৯ হাজার ৫৫০ ইউনিট গাড়ি বিক্রি করেছিল।
এদিকে তৃতীয় প্রান্তিকে গাড়ি বিক্রি বাড়লেও গড় বিক্রয়মূল্য ৬ শতাংশ কমেছে। কারণ টেসলা তার কম ব্যয়বহুল মডেল থ্রি ও মডেল ওয়াই এবং কম দামি মডেল এস ও এক্স গাড়ি বেশি বিক্রি করেছে।