সিরিয়ার উপকূলীয় প্রদেশ লাতাকিয়াসহ কিছু এলাকার বিস্তৃত বনভূমিতে অগ্নিসংযোগে জড়িত থাকার দায়ে ২৪ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা গতবছর ওই এলাকাগুলোর বনাঞ্চলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন। এতে ৩জনের মৃত্যু হয় এবং বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল পুড়ে যায়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও কাতারের সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, দাবানলের ওই ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছিল। পুড়ে গিয়েছিল হাজার হাজার হেক্টর (একর) বন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে সিরিয়ার বিচার মন্ত্রণালয়।
রাষ্ট্রীয় অবকাঠামো, সরকারি এবং বেসরকারি সম্পত্তি ধ্বংসে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ মেলায় গত বুধবার অভিযুক্ত ২৪ ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। একই অভিযোগে আরো ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, চারজনকে অস্থায়ী শাস্তি এবং পাঁচ নাবালককে ১০ থেকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলেও জানায় দেশটির বিচার মন্ত্রণালয়। অভিযুক্তদের নাম পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। এ ছাড়া কোথায় বা কীভাবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে তাও জানানো হয়নি।
খবরে আরো বলা হয়, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরের শুরুতে লাতাকিয়া, টারটাস এবং হোমস প্রদেশে দাবানলের ঘটনা ঘটে। এ সময় ২৮০টি শহর ও গ্রামে লাগা ১৮৭টি আগুনের ঘটনায় ১৩ হাজার হেক্টর (৩২ হাজার একর) কৃষিজমি ও ১১ হাজার হেক্টর বনভূমি আগুনে পুড়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৩৭০টি ঘরবাড়ি।
লাতাকিয়া এলাকায় অবস্থিত প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পৈত্রিক বাড়িও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ছাড়া রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তামাক কোম্পানির সঞ্চয়স্থান হিসেবে ব্যবহৃত ভবনের একটি অংশ ধসে পড়ে।
গ্রেফতারের পর অভিযুক্তরা ওই তিন প্রদেশসহ বেশ কয়েকটি স্থানে আগুন ধরিয়ে দেয়ার ব্যাপারে স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন বলেও জানায় মন্ত্রণালয়। এজন্য একটি প্রস্তুতি সভাও করেছিলেন তারা। আল জাজিরা জানিয়েছে, মৃত্যুদণ্ডের এ ঘটনাটিকে ‘মর্মান্তিক’ বলে মন্তব্য করেছেন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সিরিয়া গবেষক সারা কায়ালি।