শাওমির কারখানা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সালমান এফ রহমান

বাংলাদেশকে প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনে হাব গড়ে তোলার আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল শাওমির স্মার্টফোন সংযোজন কারখানার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সালমান এফ রহমান ছবি: নিজস্ব আলোকচিত্রী

শুধু স্মার্টফোন নয়, বাংলাদেশকে সব ধরনের প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনের হাব হিসেবে গড়ে তুলতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। এদেশ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রযুক্তি পণ্য রফতানি করারও আহ্বান জানান তিনি। রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল বাংলাদেশে চীনা প্রতিষ্ঠান শাওমির স্মার্টফোন সংযোজন কারখানার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সালমান এফ রহমান বলেন, তরুণ নেতৃত্ব শাওমির মতো তরুণ কোম্পানির ওপর আমাদের যথেষ্ট বিশ্বাস রয়েছে। এমন নতুন প্রজন্মের সব কোম্পানি উদ্যোক্তাই হচ্ছে বাংলাদেশের একেকটা সফলতা। ডিজিটাল বাংলাদেশ উদ্যোগের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে শাওমির প্রথম উৎপাদন ইউনিট স্থাপনে আমরা অংশীদার হতে পেরে অনেক আনন্দিত। আমরা বিশ্বাস করি, অংশীদারিত্বের মাধ্যমে দেশের তরুণদের জন্য আরো সুযোগ সৃষ্টি হবে। বৈশ্বিকমানের ইলেকট্রনিকস ম্যানুফ্যাকচারিং ইকোসিস্টেম প্রতিষ্ঠা হবে। বাংলাদেশে এমন সূর্যোদয়ের জন্য শাওমিকে স্বাগত।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহেমদ পলক, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র প্রমুখ। ভিডিও বার্তার মাধ্যমে ডাক টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার শুভেচ্ছা জানান।

অনুষ্ঠানের শুরুতে শাওমি বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার জিয়াউদ্দিন চৌধুরী বলেন, শাওমি বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষস্থানীয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড। ভারত, চীন ভিয়েতনামে উৎপাদিত স্মার্টফোনের মতোই একই মানসম্পন্ন স্মার্টফোন বাংলাদেশের কারখানাতেও তৈরি হবে। এজন্য কোটি ডলার বিদেশী বিনিয়োগ পরিকল্পনা রয়েছে। ধাপে ধাপে এক হাজারের বেশি কর্মসংস্থান হবে। তিনি জানান, বাংলাদেশ থেকে লাইফস্টাইল পণ্য, বিশেষ করে স্মার্ট জুতা রফতানির হাব হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে শাওমি।

প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহেমদ পলক তার বক্তব্যে বলেন, ২০০৪ সালে স্যামসাং বাংলাদেশে ১০০ কোটি ডলারের বিনিয়োগের প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল। তবে তত্কালীন বিএনপি-জামায়াত সরকারের অসহযোগিতা অনৈতিক প্রস্তাবের কারণে তারা বিনিয়োগটি সরিয়ে নেয়। ২০০৭ সালে স্যামসাং সেই বিনিয়োগ করে ভিয়েতনামে। গত বছর পর্যন্ত ভিয়েতনামে স্যামসাংয়ের কারখানায় লাখ ৬০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। তাদের কারখানা থেকে রফতানির পরিমাণ হাজার ২০০ কোটি ডলার। স্যামসাংয়ের বিনিয়োগটি সে সময়ে এলে আজকে বাংলাদেশের চেহারা অন্য রকম হতে পারত বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে স্মার্টফোনের ৯৪টি খুচরা যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। বর্তমানে ১৫৪টি খুচরা যন্ত্রাংশে আমদানি শুল্ক শতাংশ। সে জন্যই দেশে একের পর এক স্মার্টফোন সংযোজন কারখানা হচ্ছে। দেশের বাজারে বছরে চার কোটি মুঠোফোনের চাহিদা রয়েছে। তার মধ্যে ৭০ শতাংশই বাংলাদেশে উৎপাদিত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, শাওমির জন্য স্মার্টফোন সংযোজন করবে ডিবিজি টেকনোলজি বিডি লিমিটেড। গাজীপুরের ভোগড়ায় ৫৫ হাজার বর্গফুট আয়তনের কারাখানাটিতে বছরে ৩০ লাখ স্মার্টফোন উৎপাদন করবে শাওমি বাংলাদেশ। এরই মধ্যে কারখানাটিতে শাওমি ব্র্যান্ডের রেডমি সিরিজের স্মার্টফোন সংযোজন শুরু হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন