সাত বছরের সর্বোচ্চে দুগ্ধপণ্যের বৈশ্বিক দাম

বণিক বার্তা ডেস্ক

মাসের প্রথম নিলামে অপরিবর্তিত থাকার পর আবারো বেড়েছে দুগ্ধপণ্যের বৈশ্বিক দাম। সর্বশেষ নিলামে মূল্যসূচকে উত্থান ঘটেছে দশমিক শতাংশ। এর মাধ্যমে দুগ্ধপণ্যের দাম সাত বছরের সর্বোচ্চে উঠে এসেছে। ননিযুক্ত গুঁড়ো দুধের দাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ২৫ শতাংশ।

প্রতি মাসে দুবার দুগ্ধপণ্যের বৈশ্বিক বাজার নিয়ে নিউজিল্যান্ডে সবচেয়ে বড় নিলাম বসে। ফন্টেরা কো-অপারেটিভ গ্রুপ নিলামের আয়োজন করে। বিশ্বের বড় বড় দুগ্ধপণ্য প্রতিষ্ঠান নিলামে অংশ নেয়। গত মঙ্গলবার সর্বশেষ আন্তর্জাতিক নিলাম অনুষ্ঠিত হয়।

নিলামে দুগ্ধপণ্যের গড় দাম উঠেছে টনপ্রতি হাজার ৬১ ডলার। এবারের নিলামে ১৭৭ জন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান অংশ নেন। এর মধ্যে ১১৭ জন সর্বোচ্চ দামে দুগ্ধপণ্য কিনতে সক্ষম হন। নিলামে সর্বোচ্চ ৩১ হাজার ৮১৫ টন দুগ্ধপণ্য সরবরাহ করা হয়। এর মধ্যে বিক্রি হয়েছে ২৭ হাজার ৮৩৬ টন। ২০১৪ সালে গুঁড়ো দুধের চাহিদা রেকর্ড দাম বাড়াতে সাহায্য করে। ২০১৭ সালে মাখনের চাহিদায় উল্লম্ফন বাজারকে চাঙ্গা করে তোলে। তবে বছর বেশির ভাগ দুগ্ধপণ্যের চাহিদাই ঊর্ধ্বমুখী। ফলে লাফিয়ে বাড়ছে দাম।

সর্বশেষ নিলামের তথ্যে দেখা গেছে, সব পণ্যেরই দাম বেড়েছে। জিডিটি নিলামে সবচেয়ে প্রভাবশালী পণ্য ননিযুক্ত গুঁড়ো দুধ (ডব্লিউএমপি) পণ্যটি থেকে সরাসরি লাভবান হন খামারিরা। জিডিটি প্রাইস ইনডেক্স অনুযায়ী, ডব্লিউএমপির দাম এর আগের নিলামের তুলনায় দশমিক শতাংশ বেড়েছে। প্রতি টন ডব্লিউএমপির গড় দাম উঠেছে হাজার ৮০৩ ডলার পর্যন্ত, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি। এদিকে ননিবিহীন গুঁড়ো দুধের (এসএমপি) দাম দশমিক শতাংশ বেড়েছে। প্রতি টনের দাম দাঁড়িয়েছে হাজার ৪০১ ডলারে। আগের নিলামের তুলনায় ল্যাকটোজের দাম দশমিক শতাংশ বেড়ে টনপ্রতি হাজার ২৫৮ ডলারে উন্নীত হয়েছে। মাখনের দাম দশমিক শতাংশ বেড়ে প্রতি টন লেনদেন হয়েছে হাজার ১১১ ডলারে। চেডার পনির বিক্রি হয়েছে হাজার ৪২৬ ডলার মূল্যে, যা  আগের নিলামের তুলনায় দশমিক শতাংশ বেশি।

ওয়েস্টপ্যাক নিউজিল্যান্ড ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কৃষি অর্থনীতিবিদ নাথান প্যানি বলেন, বর্তমানে দুগ্ধপণ্যের বৈশ্বিক দাম স্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। পাঁচ বছরের গড়ের তুলনায় ২০ শতাংশ ওপরে রয়েছে দাম।

এএসবি ব্যাংকের অর্থনীতিবিদ নেট কেইল বলেন, নিউজিল্যান্ডে চলতি মৌসুমে দুগ্ধপণ্যের উৎপাদন নিম্নমুখী। এটি মূল্যবৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকা রাখছে। গত মৌসুমের তুলনায় দুগ্ধপণ্যের উৎপাদন দশমিক থেকে শতাংশ কমতে পারে। উৎপাদনে চলমান নিম্নমুখিতা বৈশ্বিক বাজারদর আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

দুগ্ধপণ্যের বৈশ্বিক নিলামে ধারাবাহিক দরপতনে ছেদ পড়ে আগস্টে। একটানা আট নিলামে নিম্নমুখী থাকার পর ওই মাসের শেষ নিলামে প্রথমবারের মতো দাম বাড়ে। তবে মূল্যবৃদ্ধির মাত্রা ছিল স্বল্প। সেপ্টেম্বরের প্রথম নিলামে মূল্যসূচকে বড় পরিবর্তন দেখা দেয়। আগের নিলামের তুলনায় দাম বাড়ে শতাংশ। তবে চলতি মাসের প্রথম নিলামে দাম স্থিতিশীল ছিল। এদিকে ফন্টেরা কো-অপারেটিভ গ্রুপ নিলাম কেন্দ্রে ডব্লিউএমপির স্বাভাবিক সরবরাহ মাত্রা কমিয়ে আনার সিদ্ধান্তে অটল। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, চলতি মৌসুমে অত্যন্ত জোরালো চাহিদা এবং তরল দুধের সরবরাহ বৃদ্ধির প্রত্যাশা উৎপাদন বৃদ্ধির সক্ষমতা সীমিত করছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন