ঋণ পরিশোধ এড়াতে কিউবা-প্যারিস ক্লাবের চুক্তি

বণিক বার্তা ডেস্ক

ঋণদানকারী দেশগুলোর জোট প্যারিস ক্লাবের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে কিউবা। চুক্তির মাধ্যমে আগামী বছরের নভেম্বর পর্যন্ত বার্ষিক ঋণ পরিশোধ থেকে মুক্তি পেয়েছে ক্যারিবিয়ান দেশটি। সংশ্লিষ্ট পাঁচ দেশের কূটনীতিক তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, কমিউনিস্ট পরিচালিত দেশটি মারাত্মক বৈদেশিক মুদ্রার সংকটে ভুগছে। এমন পরিস্থিতিতে ঋণ পরিশোধে সাময়িক মুক্তি দিতে সম্মত হয়েছে প্যারিস ক্লাব।

২০১৫ সালে হাভানার সঙ্গে ঐতিহাসিক চুক্তিতে পৌঁছেছিল প্যারিস ক্লাব। সেই চুক্তির আওতায় হাজার ১১০ কোটি ডলার বৈদেশিক ঋণের মধ্যে দেশটির সরকার ৮৫০ কোটি ডলারের ঋণমুক্তি পেয়েছিল। বাকি অর্থ ২০৩৩ সালের মধ্যে বার্ষিক কিস্তিতে পরিশোধ করার কথা ছিল। তবে ২০১৯ সালে আংশিক অর্থ পরিশোধের পর ২০২০ সালে খেলাপি হয়েছিল দেশটি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, একটি সংশোধিত চুক্তির রূপরেখা নিয়ে গত জুনে দুপক্ষ সম্মত হয়েছিল। ওই রূপরেখায় ২০২২ সালে পুনরায় ঋণ পরিশোধ শুরু এবং পরিশোধের সময়সূচি সমন্বয় করার আহ্বান জানানো হয়েছিল।

তবে চুক্তি নিয়ে কিউবার সরকার প্যারিস ক্লাব কোনো মন্তব্য করেনি। গত জুনে দুপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছিল, ২০১৫ সালের ব্যবস্থার অধীনে চুক্তি কিউবার ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তবে ঋণ পরিশোধের পরিমাণে কোনো হেরফের হয়নি।

কূটনীতিকদের অনুমান, চলতি বছরসহ কিউবা ২০ কোটি ডলার ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে। তবে এক্ষেত্রে কিউবাকে কোনো শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে কিনা তা স্পষ্ট নয়।

চলতি সপ্তাহে ক্যারিবীয় দেশটি জানিয়েছে, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকার মাধ্যমে কিউবা ৯৯ দশমিক শতাংশ নাগরিককে অন্তত এক ডোজ টিকা দিয়েছে। পাশাপাশি কভিডজনিত নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর আগামী নভেম্বরের মাঝামাঝিতে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য সীমান্ত খুলে দেয়ার পরিকল্পনা করছে দেশটি। ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের দেশটি অনেক বেশি আন্তর্জাতিক পর্যটননির্ভর। অর্থনীতির চাকা চালু রাখতে এবং বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে নগদ অর্থের একটি বড় অংশ আসে পর্যটন খাত থেকে।

নতুন চুক্তির আওতায় ২০২০ সালের সুদ মওকুফ করা হয়েছে। এর আগে ২০১৮ সালে মোট হাজার ৮৫০ কোটি ডলার বৈদেশিক ঋণের কথা জনিয়েছিল কিউবা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন