৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরের জন্য ২২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের পর্ষদ সভা। সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৫০ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৩ টাকা ৬৪ পয়সা। সেই হিসাবে প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস কমেছে ১৪ পয়সা বা ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যমতে, সমাপ্ত হিসাব বছরের ৩০ জুন শেষে তিতাস গ্যাসের শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৭২ টাকা ৫৭ পয়সা। আলোচ্য হিসাব বছরের ঘোষিত লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য আগামী ২৫ নভেম্বর ভার্চুয়াল মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। লভ্যাংশ নির্ধারণ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ধরা হয়েছে ১১ নভেম্বর।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ২৬ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে তিতাস গ্যাস। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ৩ টাকা ৬৪ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৪ টাকা ৭০ পয়সা। ৩০ জুন ২০২০ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৭১ টাকা ৩৯ পয়সা। তার আগের হিসাব বছরের জন্যও একই হারে নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। এছাড়া ২০১৮ ও ২০১৭ হিসাব বছরের জন্য যথাক্রমে ২৫ ও ২২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।
২০০৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া তিতাস গ্যাসের অনুমোদিত মূলধন ২ হাজার কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৯৮৯ কোটি ২২ লাখ ২০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৫ হাজার ৮৯৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৯৮ কোটি ৯২ লাখ ২১ হাজার ৮৩১টি। এর মধ্যে সরকারের হাতে রয়েছে ৭৫ শতাংশ শেয়ার। বাকি শেয়ারের মধ্যে ১৫ দশমিক ১৩ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক, দশমিক ৫৪ শতাংশ বিদেশী ও ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
ডিএসইতে গতকাল শেয়ারটির সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ৪০ টাকা ৪০ পয়সা। ওই দিন শেয়ারটি ৩৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৪৩ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেন হয়। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ৩০ টাকা ও ৪৭ টাকা ৬০ পয়সা।