অপরিশোধিত পাম অয়েল

চলতি বছর রফতানিতে ধসের আশঙ্কায় ইন্দোনেশিয়া

বণিক বার্তা ডেস্ক

চলতি বছর ইন্দোনেশিয়ার অপরিশোধিত পাম অয়েল (সিপিও) রফতানিতে ধস নামার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সিপিওর দাম বাড়তে থাকায় শীর্ষ ক্রেতা দেশ ভারত পরিশোধিত পাম অয়েলজাত পণ্য ক্রয়ে আগ্রহী হয়ে উঠছে। এটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে ইন্দোনেশিয়ার রফতানিতে। দেশটির পাম অয়েল অ্যাসোসিয়েশন (জিএপিকেআই) তথ্য জানিয়েছে।

এক কনফারেন্সে জিএপিকেআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট টোগার সিতাঙ্গাং বলেন, চলতি বছর সিপিও রফতানি গত বছরের তুলনায় ৫৪ দশমিক শতাংশ কমতে পারে। গত বছর ইন্দোনেশিয়া ৭১ লাখ ৭০ হাজার টন সিপিও রফতানি করেছিল। বছর রফতানি আরো বেড়ে ৭৫ লাখ টনে পৌঁছার পূর্বাভাস দিয়েছিল জিএপিকেআই। তবে নতুন পূর্বাভাসে রফতানির পরিমাণ অর্ধেকেরও বেশি কমিয়ে আনা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, বছর শেষে সিপিও রফতানির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ৩২ লাখ ৭০ হাজার টনে।

চলতি বছর সিপিওর দাম রেকর্ড সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। ফলে সিপিওর পরিবর্তে পরিশোধিত পাম অয়েলকে বেশি লাভজনক বলে মনে করছেন ভারতের ব্যবসায়ীরা। তারা বর্তমানে পাম অয়েলজাত পণ্যই বেশি ক্রয় করছেন। কারণেই জিএপিকেআই রফতানি পূর্বাভাস কমিয়েছে। সিতাঙ্গাং বলেন, আমদানি করে নিজস্ব প্লান্টে প্রক্রিয়াকরণের পরিবর্তে সরাসরি প্রক্রিয়াজাত পণ্য আমদানি করাই বর্তমানে বেশি লাভজনক।

তবে শুধু সিপিও রফতানি কমলেও পরিশোধিত এবং অপরিশোধিত মিলিয়ে রফতানি বাড়ার সম্ভাবনা দেখছে পাম অয়েল অ্যাসোসিয়েশন। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, গত বছর ইন্দোনেশিয়া সব মিলিয়ে কোটি ৪০ লাখ ১০ হাজার টন পাম অয়েল রফতানি করেছিল। বছর রফতানি দশমিক শতাংশ বেড়ে কোটি ৪৪ লাখ ২০ হাজার টনে পৌঁছতে পারে। এক্ষেত্রে পরিশোধিত পাম অয়েল রফতানি বাড়বে ২১ দশমিক শতাংশ। জিএপিকেআই বলছে, মোট রফতানি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে পরিশোধিত পাম অয়েল। তবে এর আগে প্রতিষ্ঠানটি কোটি ৭৫ লাখ টন পাম অয়েল রফতানির প্রত্যাশা করেছিল। কিন্তু অপরিশোধিত পাম অয়েল রফতানিতে ধসের আশঙ্কায় সে প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে না।

বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশে দেশে করোনার প্রভাব কাটছে। অর্থনীতির পুনরুদ্ধার ঘটছে। বাড়ছে পাম অয়েলের চাহিদা। কিন্তু সে তুলনায় সরবরাহ না থাকায় হু হু করে বাড়ছে দাম। চলতি বছর পাম অয়েলের দাম বেশ কয়েকবার রেকর্ড ভেঙেছে।

এদিকে সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো জানিয়েছেন, অপরিশোধিত পাম অয়েল রফতানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে দেশটির সরকার। বিপরীতে পরিশোধিত পণ্য রফতানিতে মনোযোগ বাড়ানো হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন