পিপিপিতে নির্মাণ হচ্ছে না ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি (পিপিপি) পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের প্রস্তাব পাস হয় ২০১৩ সালে। তবে পিপিপিতে না করে বিদ্যমান চার লেনবিশিষ্ট ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক প্রশস্তকরণ এবং উভয় পাশে পৃথক সার্ভিস লেন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি পিপিপি পদ্ধতিতে নির্মাণের কার্যক্রম বাতিলের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন হয়েছে।

গতকাল দুপুরে অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে অনলাইনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সামসুল আরেফিন সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি-ভিত্তিক নির্মাণ প্রকল্প বাতিলের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ফলে এটা আর পিপিপিতে হবে না।

এটি বাতিল হলো কেন এমন প্রশ্নে মো. সামসুল আরেফিন বলেন, একটা ফিজিবিলিটি স্টাডি ছিল। সেজন্য টাকা খরচ হয়েছে। তবে গচ্চা যায়নি। যেকোনো কাজের তো ফিজিবিলিটি স্টাডি করতে হবে। এটি নিয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে, সেখানে বলা হয় ফিজিবিলিটি স্টাডি হয়েছে। যেহেতু জাতীয় মহাসড়কগুলো চার লেনে উন্নীত করা হবে এবং পাশে সার্ভিস লাইন নির্মাণ করা হবে। সারা দেশে এটা হচ্ছে। সেজন্য সরকার এটি করবে, এটাই হচ্ছে মূল সিদ্ধান্ত। মূল কথা হলো, আগে এটা পিপিপিতে হওয়ার কথা ছিল। এখন পিপিপিতে হচ্ছে না, তবে সেখানে চার লেনের মহাসড়ক হবে, এটাই মূল সিদ্ধান্ত।

অতিরিক্ত সচিব মো. সামসুল আরেফিন জানান, হাতিরঝিল-রামপুরা সেতু-বনশ্রী-শেখের জায়গা-আমুলিয়া-ডেমরা মহাসড়ক (চিটাগাং রোড মোড় এবং তারাব লিংক মহাসড়কসহ) পিপিপি ভিত্তিতে চার লেনে উন্নতকরণের প্রস্তাবটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। রামপুরা-আমুলিয়া-ডেমরা মহাসড়ক চার লেনে উন্নতকরণ প্রকল্পটি পিপিপি ভিত্তিতে বাস্তবায়নে ২০১৬ সালের ২৭ জানুয়ারি সিসিইএ সভায় নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়।

এছাড়া গতকাল ৪৬৯ কোটি ৯২ লাখ ৬১ হাজার ৫০০ কোটি টাকায় ৯০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোরস ডিপোকে (সিএমএসডি) তিনটি লটে ১১৭ কোটি ৪১ লাখ টাকায় ২০ লাখ নভেল করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ কিট কেনা হবে। পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষকে খুলনা শিপইয়ার্ডের কাছ থেকে ১৩১ কোটি ৭৩ লাখ ৪১ হাজার ৮৯৬ টাকায় দুটি ৭০ টনের বোলার্ড পুল টাগবোট এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সেবা কেনা হবে।

২০২৬ সাল থেকে প্রকল্প শুরু হবে। ২০২২ শিক্ষাবর্ষে তৃতীয়, চতুর্থ পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা ইংরেজি ভার্সনের পাঁচটি লটে বিনা মূল্যের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই সরবরাহের দরপ্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় কমিটি। জাতীয় শিক্ষাক্রম পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কোটি লাখ ৬৪ হাজার ৮৩০ টাকায় বই ছাপাবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন