নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির পেছনে একটি মহল কাজ করেছে —এফবিসিসিআই সভাপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানোর পেছনে একটি মহল কাজ করেছে। তাদের কারসাজিতেই নিত্যপণ্যের দামে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। ঢালাওভাবে সব ব্যবসায়ীকে দোষারোপ না করে অসাধু ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

গতকাল এফবিসিসিআইয়ের আয়োজনে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর মজুদ, আমদানি, সরবরাহ মূল্য পরিস্থিতি বিষয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি কথা বলেন। সভায় বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা অংশ নিয়ে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণসহ বিভিন্ন অব্যবস্থাপনার কথা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, আমরা ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে এসেছি কারো গালি শুনতে নয়। আপনা-আপনি পেঁয়াজের দাম আকাশ ছোঁয়া হয়নি। দাম বাড়ানোর পেছনে একটি মহল কাজ করেছে। তাদের কারসাজিতেই দাম বেড়েছিল। আমদানিতে শুল্ক কমানোর ঘোষণা দেয়ার পর পরই পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১৫ টাকা কমে এসেছে। মাত্র একদিনের ব্যবধানে ১৫ টাকা কমার মানে কী? এর মানে দাঁড়ায়, দাম বাড়ানোর পেছনে কারসাজি ছিল।

মো. জসিম উদ্দিন বলেন, পেঁয়াজের দাম নির্ধারণে বাজারে একটা সমস্যা ছিল। এটি না হলে একদিনে এত টাকা দাম কমে না। আমরা সম্মানের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করতে চাই, কোনো কারসাজির প্রশ্রয় মানা হবে না। ব্যবসায়ীদের যদি কোনো সমস্যা থেকে থাকে আমাদের জানান। আমরা আলোচনার মাধ্যমে আপনাদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।

অনুষ্ঠানে পাইকার আড়তদার পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বলেন, আমদানির একটা বড় অংশ প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে আসে। সেখানে সম্প্রতি অতিবৃষ্টি আর বন্যায় পেঁয়াজ নষ্ট হয়েছে। আমাদের দেশেও এর প্রভাব পড়েছে। তবে শুল্ক কমানোর ঘোষণার একদিনের মাথায় দাম কমা নিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতির প্রশ্নের যৌক্তিক উত্তর দিতে পারেননি পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ব্যবসায় লাভ-লোকসানের হিসাব থাকে। তাই বলে সুযোগ পেলেই দাম বাড়াবেন এটা হতে পারে না। এসব কারণে কতিপয় ব্যবসায়ী কিছু অর্থ পেলেও প্রকৃতপক্ষে আমাদের (ব্যবসায়ী) জন্য খুবই অসম্মানজনক।

শ্যামবাজার কারওয়ান বাজার অপেক্ষা অন্যান্য কাঁচাবাজারে দাম ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেশি রাখা হয়, এর কারণ কী? এমন প্রশ্নে ব্যবসায়ীরা জানান, এলাকাভেদে দোকান ভাড়া বেশি। গুলশান আর কারওয়ানবাজারের ভাড়ার পার্থক্য অনেক। এলাকাভেদে দোকান ভাড়া, বিদ্যুতের ইউনিটপ্রতি মূল্য বেশি ট্রেড লাইসেন্সের খরচ বৃদ্ধিকে দায়ী করেন তারা। সময় এফবিসিসিআই সভাপতি জানান, বিদ্যুৎ খরচ, ট্রেড লাইসেন্সসহ যেসব কারণে খরচ বেড়েছে, সে বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন