দীর্ঘ ১৮ মাস বন্ধ থাকার পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খুলছে আজ। সকাল ১০টা থেকে শিক্ষার্থীরা হলে প্রবেশ করতে পারবেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক ড. আজিজুর রহমান।
এদিকে শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলগুলোতে অভ্যর্থনা জানাতে চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। হল প্রাধ্যক্ষদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, করোনা ও ডেঙ্গু—এ দুটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে হলগুলো প্রস্তুত করেছেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ মখদুম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আরিফুর রহমান জানান, করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে প্রথমত স্বাস্থ্যবিধি যেমন—হাত ধোয়া, মাস্ক পরিধান করা ও শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশ করানো হবে। এছাড়া ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার সম্ভাবনা থাকায় হলের অভ্যন্তরসহ চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। এছাড়া চকোলেট, ফুল দিয়ে অভিবাদন জানানো হবে বলে জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হল প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক জুলকার নায়েন বলেন, শিক্ষার্থীদের হলে ফেরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। হলগুলোর ফটকে করোনা সচেতনতামূলক ব্যানার-ফেস্টুন লাগানো হয়েছে। এছাড়া হাত ধোয়ার জন্য প্রত্যেকটি হলের সামনে বেসিন বসানো হয়েছে। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক সরবরাহ করা হবে।
এদিকে হলে ওঠার পর কোনো শিক্ষার্থী করোনা আক্রান্ত হলে তার আইসোলেশনের জন্য প্রত্যেকটি হলে আইসোলেশন রুমের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহার হলেও এমন আইসোলেশন কক্ষের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুস্তাক আহমেদ।
এদিকে ছাত্রী হলের গণরুম সম্পর্কে জানতে চাইলে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শর্মিষ্ঠা রায় বলেন, গণরুমগুলোতে শিক্ষার্থীরা থাকতে পারবে। তাদের স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত কোনো সমস্যা যাতে না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে।
হলে প্রবেশ করতে শিক্ষার্থীদের করোনার টিকার ন্যূনতম এক ডোজ গ্রহণ বাধ্যতামূলক করেছে প্রশাসন। সেক্ষেত্রে টিকা গ্রহণের সনদ জমা দিতে হবে শিক্ষার্থীদের।
টিকা নেয়া না থাকলে হলে প্রবেশের আগে টিকা নেয়ার সুযোগ থাকছে শিক্ষার্থীদের। ১৭ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসিতে টিকা নিতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।
