আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১ শুরু হচ্ছে আগামীকাল রোববার। উদ্বোধনী দিনই মাঠে নামছে বাংলাদেশ। ওমানের আল আমরাতে মাহমুদউল্লাহদের প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড। এদিন আরেক ম্যাচে স্বাগতিক ওমান খেলবে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে।
বিশ্বকাপ
আসরটা দুই পর্বে বিভক্ত। প্রথম পর্বে দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে লড়াই করবে ৮টি দল, যেখান থেকে সুপার টুয়েলভ পর্বে উত্তীর্ণ হবে সেরা চার দল। প্রথম পর্বে ‘এ’ গ্রুপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে শ্রীলংকা, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও নামিবিয়া। আর ‘বি’ গ্রুপে লড়বে বাংলাদেশ, স্কটল্যান্ড, ওমান আর পাপুয়া নিউগিনি। ‘বি’ গ্রুপের সবগুলো ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ওমানে, আর ‘এ’ গ্রুপের লড়াই হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে।
আইসিসি
র্যাংকিংয়ের শীর্ষ আট দল আগেই সুপার টুয়েলভ পর্বে জায়গা নিশ্চিত করেছে। দলগুলো হলো—অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলংকা। প্রথম পর্ব থেকে সেরা চারটি দল তাদের সঙ্গে যোগ দেবে সুপার টুয়েলভ পর্বে। সুপার টুয়েলভ পর্বে দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে লড়াই করবে ১২টি দল; যেখান থেকে শীর্ষ চার দল খেলবে সেমিফাইনালে। ২৩ অক্টোবর থেকে মূল পর্বের খেলা হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। ১৪ নভেম্বর দুবাইয়ে ফাইনাল।
প্রথম
ম্যাচে মাঠে নামার আগে আয়ারল্যান্ড ও শ্রীলংকার বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচে হেরেছে বাংলাদেশ দল। যদিও দলের সঙ্গে থাকা নির্বাচক হাবিবুল বাশার জানালেন, এ দুটি হারের পরও প্রথম ম্যাচের জন্য প্রস্তুত বাংলাদেশ। তিনি বলেন, আমরা এর আগে বেশ ভালো ক্রিকেট খেলে এসেছি দেশের মাঠে সিরিজে। দলও যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। প্রস্তুতি ম্যাচ প্রস্তুতি ম্যাচই, সেটা নিয়ে খুব বেশি বিচার করতে চাচ্ছি না। অবশ্যই আমাদের খুব ভালো ধারণা হয়ে গেছে, বিশ্বকাপে কীসের মুখোমুখি হতে পারি। কত বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারি। আমার মনে হয় আমরা প্রস্তুত। যখন প্রাথমিক রাউন্ডের খেলা শুরু হবে, সেরা পারফরম্যান্সটাই আমরা দেখাতে পারব বলে মনে করি।
প্রস্তুতি ম্যাচগুলোয় অবশ্য
দলের কয়েকজন সেরা খেলোয়াড়কে পায়নি বাংলাদেশ। সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে বাশার বলেন, আমাদের মূল একাদশ ছিল না। মুস্তাফিজ মাত্র আইপিএল থেকে ফিরল, সাকিবকে পাইনি, অধিনায়ক (মাহমুদউল্লাহ) কোনো ম্যাচ খেলতে পারেনি। সব মিলিয়ে মূল একাদশ পাইনি। আমরা খানিটা পরখ করেছি। দেখার ছিল, বাকিরা সুযোগটা কেমন নিতে পারে।
অভিজ্ঞতা,
ঐতিহ্য আর বর্তমান ফর্মের বিচারে ‘বি’ গ্রুপে ফেবারিট বাংলাদেশ। যদিও স্কটিশ কোচ শেন বার্জার এই তত্ত্বে বিশ্বাসী নন। তিনি বলেন, আমরা জানি, নিজেদের সেরাটা খেলতে পারলে আমরা সব দলকেই বিপাকে ফেলতে পারব। সংক্ষিপ্ততম সংস্করণ সব দলকেই কাছাকাছি নিয়ে আসে। যদি নিজেদের সেরাটা দিতে পারি, যে কোনো দলকে হারাতে পারি আমরা, তা বাংলাদেশ হোক বা ওমান ও পাপুয়া নিউগিনি। গ্রুপ ম্যাচগুলোয় বাংলাদেশকে আমরা পিএনজি বা ওমানের চেয়ে ওপরে কোথাও দেখি না। আমরা জানি, সব দলই আমাদের দিকে তেড়ে আসবে (জয়ের জন্য)। তবে আমরা তাদের সবার জন্যই হব সবচেয়ে বড় ম্যাচ। আমরা প্রস্তুত।
স্কটিশদের আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে
সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স। গত ১০ দিনে সংযুক্ত আরব আমিরাতে চারটি ম্যাচ খেলে তারা জয় পেয়েছে সবকটিতেই। এর মধ্যে গত ৫ অক্টোবর তারা হারায় আয়ারল্যান্ডকে, যে দলের কাছে পরে প্রস্তুতি ম্যাচে হেরে যায় বাংলাদেশ। এরপর স্কটিশরা হারায় পাপুয়া নিউগিনি, নেদারল্যান্ডস ও নামিবিয়াকে। সঙ্গতকারণেই স্কটিশ কোচ বাংলাদেশকে হারানোর স্বপ্ন দেখতেই পারেন।
তিনি
আরো বলেন, বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের মতো মানসম্পন্ন দলের বিপক্ষে লড়াইয়ের আগে আমাদের দুর্দান্ত ছন্দ দিয়েছে নেদারল্যান্ডস, নামিবিয়ার বিপক্ষে জয়গুলো। চাপের সঙ্গে পরিচিত হয়েছি আমরা, বড় মুহূর্তগুলো জয়ের অভ্যাস গড়েছি। ভুলও করেছি, তবে গত এক মাসে সত্যিই ভালো ক্রিকেট খেলেছি আমরা।