ফ্লাইট বাড়াচ্ছে এশিয়ার উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থাগুলো

বণিক বার্তা ডেস্ক

চলতি বছরে কয়েক হাজার কোটি ডলার লোকসান গুনেছে এশিয়ার উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থাগুলো। কভিডজনিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে কিছু দেশে কভিড-সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা শিথিলের কারণে ফিরতে শুরু করেছে ভ্রমণ চাহিদা। ফলে এশিয়ার অঞ্চলের এয়ারলাইনসগুলোর ফ্লাইট টিকিট বিক্রির সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। খবর রয়টার্স।

এশিয়ার ট্রাভেল এজেন্সি উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থাগুলো জানায়, বর্তমানে তারা বুকিং ভ্রমণসংক্রান্ত বিভিন্ন অনুসন্ধানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে দেখছেন। কয়েক মাসের লকডাউনের পর মালয়েশিয়া ভিয়েতনাম তাদের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পুনরায় চালু করার ফলে এমনটা দেখা যাচ্ছে। সময় ভারত তার অভ্যন্তরীণ ভ্রমণের ব্যাপারে বিধিনিষেধ শিথিল করেছে। অন্যদিকে সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ফিজি কভিড টিকার কয়েকটি নির্দিষ্ট দেশের পূর্ণ ডোজ গ্রহণকারী পর্যটকদের জন্য কোয়ারেন্টিনমুক্ত ভ্রমণ সুবিধা উন্মুক্ত করেছে।

চলতি বছরের শেষ নাগাদ পর্যন্ত এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ চাহিদা পুনরুদ্ধারে কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছে না বলে জানিয়েছে এয়ারলাইন ইন্ডাস্ট্রি গ্রুপ ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ) চলতি বছরে উড়োজাহাজ পরিবহন খাতে হাজার ১২০ কোটি ডলার লোকসানের পূর্বাভাস দিয়েছে আইএটিএ, যা গত বছরের তুলনায় ২৪০ কোটি ডলার কম। বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা শিথিলের পর এয়ারএশিয়া গ্রুপ, ভিয়েটজেট এভিয়েশন, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস, ফিজি এয়ারওয়েজ এবং কান্তাস এরই মধ্যে তাদের সক্ষমতা বাড়িয়েছে।

অ্যাসোসিয়েশন অব এশিয়া-প্যাসিফিক এয়ারলাইনসের মহাপরিচালক সুবাস মেনন বলেন, গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে কয়েকটি ব্যতিক্রম বাদে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের সব সরকারই কভিডকালীন স্থবির নীতিমালা থেকে স্বাভাবিক কার্যক্রমের দিকে ঝুঁকছে। অঞ্চলটিতে কভিড টিকা প্রদানের হারও আগের তুলনায় বাড়তে শুরু করেছে।

বিভিন্ন দেশে কভিড-সংক্রান্ত বিভিন্ন বিধিনিষেধ শিথিল করার পরও আন্তর্জাতিক অভ্যন্তরীণ ভ্রমণ চাহিদা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে আরো দীর্ঘপথ পাড়ি দিতে হবে। আইএটিএ ধারণা করছে, কভিড-১৯ মহামারীর ফলে ২০২০-২২ সালে বৈশ্বিক উড়োজাহাজ পরিবহন শিল্প ২০ হাজার কোটি ডলার সমপরিমাণ লোকসানের সম্মুখীন হবে। ২০২০ সালে এশিয়া অঞ্চলের উড়োজাহাজ পরিবহন শিল্পের লোকসানের পরিমাণ দাঁড়ায় হাজার কোটি ডলার। চলতি বছরের আগস্টে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের পরিমাণ ২০১৯ সালের একই সময়ের তুলনায় মাত্র শতাংশ ছিল।

যদিও বিধিনিষেধে কিছু শিথিলতা আনা হয়েছে। এটি তুলনামূলক ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন হচ্ছে। চলতি বছর থাইল্যান্ডে আনুমানিক লাখ বিদেশী পর্যটক আগমনের লক্ষ্যমাত্রা অনুমান করা হয়েছে, যা ২০১৯ সালের তুলনায় চার কোটি পর্যটক কম। মূলত যেসব পর্যটক তাদের অবসরকালীন ভ্রমণের জন্য বিদেশে ভ্রমণের জন্য উৎসাহী তাদের লক্ষ্য করে এটা ধারণা করা হয়েছে।

ভিয়েতনামের ব্যয়সাশ্রয়ী উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থা ভিয়েটজেট বিনা মূল্যে কিছু একক গন্তব্যের অভ্যন্তরীণ টিকিট প্রদান করছে। তবে এক্ষেত্রে যাত্রীদের ট্যাক্স অন্যান্য ফি বহন করতে হবে। অন্যদিকে মালয়েশিয়ার এয়ারএশিয়া তাদের ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে নির্ধারিত ভাড়া ১২ রিঙ্গিত ( ডলার ৮৮ সেন্ট) কমিয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন