রাজউকের সাবেক গাড়িচালকের অবৈধ সম্পদ, দুদকের মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেড় কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অবসরপ্রাপ্ত গাড়িচালক তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গতকাল দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-- সংস্থাটির উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. আব্দুল জলিল আকন্দ দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে নিজ নামে ৩৪ লাখ ১৮ হাজার ১৯৮ টাকার স্থাবর সম্পদ কোটি ১০ লাখ ৫৬ হাজার ৪১৭ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট কোটি ৪৪ লাখ ৭৪ হাজার ৬১৫ টাকার ঘোষণা প্রদান করেন। কিন্তু সম্পদ বিবরণী যাচাইয়ের সময় তার নামে গাড়ি ক্রয় বাবদ ১০ লাখ ২০ হাজার ৯১১ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ২৩ লাখ ২৮ হাজার ৩৭৯ টাকার স্থাবর অস্থাবর সম্পদ গোপনের তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া দুদকের অনুসন্ধানে তার নামে ৫৭ লাখ ৮৮ হাজার ৩৬০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া গেছে।

এজাহারে আরো বলা হয়, জলিলের স্ত্রী জাহানারা বেগমের দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে নিজ কন্যাদের নামে ৫২ লাখ ৬৪ হাজার ৪৩৮ টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদ নিজ নামে কোটি ২৬ লাখ ৬৭ হাজার ৪৩৯ টাকার অস্থাবর সম্পদের হিসাব দেন। সম্পদ বিবরণী যাচাইয়ের সময় জাহানারা বেগমের পূবালী ব্যাংকের কুড়িল বিশ্বরোড শাখায় ৩০ হাজার ৬৮৯ টাকা, তিনটি গাড়ি ক্রয় বাবদ লাখ ১৪ হাজার ৮২৬ টাকা, লাখ ৫৪ হাজার ৯১২ টাকা লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং মাটি কাটার ভেকু মেশিনের ক্রয় বাবদ ১২ লাখ টাকাসহ মোট ২৭ লাখ ৫০ হাজার ৪২৭ টাকার অস্থাবর সম্পদ গোপন করেছেন।

এছাড়া অনুসন্ধানের সময় জাহানারা বেগমের নামে কোটি ৭৯ লাখ ৩১ হাজার ৮৭৭ টাকা মূল্যের স্থাবর অস্থাবর সম্পদ অর্জনের সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়। দুদকের অনুসন্ধানে কোটি ২৮ লাখ হাজার ৭১৫ টাকার গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায়। তার বিরুদ্ধে কোটি ১০ লাখ ২৪ হাজার ৪২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া যায়।

মামলায় সবমিলিয়ে স্বামী-স্ত্রীর বিরুদ্ধে মোট কোটি ৬৮ লাখ ১২ হাজার ৪০২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৬ () ২৭() ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর () দণ্ডবিধি ১০৯ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন