ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোয় পণ্য রফতানিতে বাণিজ্য সুবিধা পায় বাংলাদেশ। এ সুবিধা ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) মর্যাদা থেকে উত্তরণের পরও ১২ বছরের জন্য অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে। ইইউ প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনায় এ অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
গতকাল বিজিএমইএর গুলশান অফিসে সংগঠনটির সভাপতি ফারুক হাসানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি মিরান আলী।
বিজিএমইএ জানিয়েছে, স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি ক্যাটাগরি) থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশের জন্য বাণিজ্য সুবিধা ১২ বছর অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ সম্প্রসারণ বাংলাদেশকে মসৃণভাবে এলডিসি থেকে উত্তরণ এবং উত্তরণ-পরবর্তী চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণেও সহায়তা করবে।
সাক্ষাত্কালে ফারুক হাসান নবনিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূতকে পোশাক শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি, শিল্পের চ্যালেঞ্জগুলো, সুযোগ ও সম্ভাবনা এবং ভবিষ্যৎ অগ্রাধিকারমূলক করণীয়গুলো সম্পর্কে অবগত করেন। তিনি কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন, শ্রমিকদের কল্যাণ প্রভৃতি ক্ষেত্রে শিল্পের অনন্য অর্জনগুলোও তুলে ধরেন। ফারুক হাসান জিএসপি রেগুলেশনে জিএসপি প্লাসের একটি অন্যতম শর্ত ৭ দশমিক ৪ শতাংশ ন্যূনতম আমদানি সীমা (ইমপোর্ট থ্রেশোল্ড) শর্তটি বাদ দেয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
ফারুক হাসান বলেন, এ পদক্ষেপ বাংলাদেশের এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর জিএসপি প্লাস সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন করার পথ সুগম করবে। তিনি আরো আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাংলাদেশের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ সমর্থন এবং সহযোগিতা প্রদান, বিশেষ করে তৈরি পোশাক শিল্প খাতে সহযোগিতা প্রদান আগামী দিনগুলোয়ও অব্যাহত থাকবে।
