বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠানে বিএসইসি চেয়ারম্যান

বীমার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা দেয়া সম্ভব

নিজস্ব প্রতিবেদক

কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কিংবা অন্য কোনো কারণে হঠাৎ করেই কোনো কোম্পানি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কিংবা কোম্পানি ব্যবসায় বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। ধরনের ঘটনায় সেই কোম্পানিটির বিনিয়োগকারীরা ক্ষতির মুখে পড়েন। এক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষার দিকটি বীমার মাধ্যমে নিশ্চিত করা সম্ভব বলে মনে করছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। তিনি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) আয়োজিত বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ ২০২১-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথা বলেন।

বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় বীমা ধারণা শীর্ষক সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান, ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী সালমা নাসরীন এবং এক্সচেঞ্জটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূঁইয়া। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ডিএসইর চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, সামনে বন্ড মার্কেট অনেক বড় হবে। এটি জনপ্রিয় হওয়ার আগ পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা দিতে হবে। তা না হলে ভালো কোনো রিটার্ন আসবে না। আপনি যদি গ্রাহককে খুশি করতে না পারেন, তাহলে সে কেন আপনার কাছে আসবে? বন্ড মার্কেটকে জনপ্রিয় করতে এবং বন্ডে বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা বীমা উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সঙ্গে একটি প্রোডাক্ট ডিজাইন করেছি। এটা হয়তো সামনে আইডিআরএ চেয়ারম্যান আলোচনা করে সবার সামনে নিয়ে আসবেন। বন্ডের ব্যবসা হচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকার। তাই বন্ডে বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা দিতে পারলে এটি জনপ্রিয় হবে এবং কোম্পানিগুলোও কমিশন থেকে অনেক আয় করতে পারবে।

পুঁজিবাজার বীমা নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে উল্লেখ করে বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, আমাদের নতুন নতুন পণ্য নিয়ে আসতে হবে। পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা দেয়ার জন্য আমাদের কী করণীয়, সেটা নিয়ে কাজ করতে হবে। এজন্য যে শুধু নিয়ন্ত্রক সংস্থাকেই কাজ করতে হবে, তা নয়। বিষয়ে বিভিন্ন সংগঠনও কাজ করতে পারে। সবাইকে চিন্তা করতে হবে কীভাবে কাজ করলে দেশের পুঁজিবাজার বীমা খাত লাভবান হবে। যখন পুঁজিবাজার বীমা খাতে হাজার হাজার কোটি টাকার টার্নওভার হবে, তখন সরকারের রাজস্ব বাড়বে। এতে করে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে জীবনযাত্রার মান বাড়বে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন