ডব্লিউটিওর পূর্বাভাস

মহামারীপূর্ব প্রবৃদ্ধির ধারায় বৈশ্বিক পণ্য বাণিজ্য

বণিক বার্তা ডেস্ক

বিশ্ব অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের পুনরুত্থান পণ্য বাণিজ্যকে মহামারীপূর্ব প্রবৃদ্ধির ধারায় নিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) সম্প্রতি ২০২১ ২০২২ সালের জন্য করা বাণিজ্য পূর্বাভাসে তথ্য জানিয়েছে।

সংস্থাটি জানায়, ডব্লিউটিও বর্তমানে প্রত্যাশা করছে চলতি বছর বৈশ্বিক পণ্য বাণিজ্যে ১০ দশমিক শতাংশ প্রবৃদ্ধি আসবে। এটি গত মার্চে করা শতাংশ প্রবৃদ্ধির তুলনায় বেশি। এছাড়া ২০২২ সালে বাণিজ্যে আরো দশমিক শতাংশ সম্প্রসারণ ঘটবে, যা এর আগের তুলনায় শতাংশ বেশি।

গত বছর করোনা মহামারীর কারণে বিশ্বজুড়ে সব ধরনের পণ্য বাণিজ্যে পতন দেখা দেয়। তবে বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক থেকে বাণিজ্যে গতির সঞ্চার হয়। এখন পর্যন্ত ধারা অব্যাহত আছে। কভিড-১৯ সংকট-পূর্ববর্তী দীর্ঘমেয়াদি ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরছে পণ্য বাণিজ্য। ফলে প্রবৃদ্ধির মাত্রা সহনশীল থাকবে বলে মনে করছেন বাজার-সংশ্লিষ্টরা।

ডব্লিউটিওর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরবরাহজনিত ইস্যুগুলোর মধ্যে বাজারে সেমিকন্ডাক্টর সংকট, দেশে দেশে বন্দরগুলোতে তীব্র জটসহ নানা বিষয় সরবরাহ চেইনে সংকোচন ঘটাতে পারে। তবে সর্বোপরি বিশ্ববাজারে এসব বিষয় বড় ধরনের প্রভাব তৈরি করবে না। তারা জানান, বর্তমানে বহুমুখী সংকটের পরিবর্তে করোনা নিজেই বিশ্ববাজারে মন্দার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় হুঁশিয়ারি।

ডব্লিউটিওর মহাপরিচালক এনগোজি ওকনজো আইওয়ালা বলেন, মহামারীর লড়াইয়ে বাণিজ্য একটি সংকটাপন্ন বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এর পরও এমন প্রবৃদ্ধি জানান দিচ্ছে যে বর্তমানে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য পণ্য বাণিজ্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

তবে বর্তমানে টিকার অসম বণ্টন বিশ্ব অর্থনীতিকে বিচ্ছিন্নতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অসমতা যত বেশি দীর্ঘায়িত হবে, তত বেশি কভিড-১৯-এর প্রাণঘাতী ধরনের উদ্ভব ঘটবে। ফলে স্বাস্থ্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির যে ধারা শুরু হয়েছে তা আবারো থমকে যেতে পারে।

ডব্লিউটিও এক বিবৃতিতে জানায়, গত পূর্বাভাসের তুলনায় বর্তমানে পণ্য বাণিজ্যে ইতিবাচক চিত্র দেখা গেছে। তবে নেতিবাচক প্রভাবগুলো এর চেয়েও শক্তভাবে বাজারকে আঁকড়ে ধরতে পারে। এসব প্রভাবের মধ্যে অন্যতম বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনে প্রতিবন্ধকতা কভিড-১৯ প্রকোপ।

এদিকে বিবৃতি অনুযায়ী, যখন বৈশ্বিক বাণিজ্য ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে তখনই বাণিজ্যে আঞ্চলিক অসমতা তীব্র হচ্ছে। চলতি বছর এশিয়া অঞ্চলে পণ্য আমদানি ২০১৯ সালের তুলনায় দশমিক শতাংশ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। অথচ স্বল্প উন্নত দেশগুলোতে আমদানি দশমিক শতাংশ কমতে পারে।

পূর্বাভাস বলছে, এক বছরের ব্যবধানে দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতে পণ্য রফতানি দশমিক , উত্তর আমেরিকার দেশগুলোতে দশমিক , ইউরোপের দেশগুলোতে দশমিক , কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোতে দশমিক , আফ্রিকার দেশগুলোতে , মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এবং এশিয়ার দেশগুলোতে ১৪ দশমিক শতাংশ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।

অন্যদিকে দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতে পণ্য আমদানি ১২ দশমিক , উত্তর আমেরিকার দেশগুলোতে ১৯ দশমিক , ইউরোপের দেশগুলোতে দশমিক , কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোতে ১৩ দশমিক , আফ্রিকার দেশগুলোতে ১১ দশমিক , মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে দশমিক এবং এশিয়ার দেশগুলোতে ১০ দশমিক শতাংশ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন