চেলসির মিডফিল্ডার জর্জিনিয়ো, প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসি ও বায়ার্ন মিউনিখের স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডভস্কিকে রেখে এবারের ব্যালন ডি’অর পুরস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
২০১৯ সালে রেকর্ড ষষ্ঠবারের মতো ব্যালন ডি’অর পুরস্কার পান মেসি। ৩৪ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড এবারো শক্ত দাবিদার, যিনি ২০২১ সালে আর্জেন্টিনার হয়ে কোপা আমেরিকা জিতেছেন। এছাড়া লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতা ও কোপা আমেরিকার সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন তিনি। সব মিলে, ৪৭ গোল নিয়ে অন্যতম ফেভারিট তিনি। মেসি ফুটবল খেলেছেন ১৭ মৌসুম, এর মধ্যে ১৫ মৌসুমই তিনি ব্যালন ডি’অর পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন! হয়তো এবার সপ্তমবারের মতো হাতে তুলবেন ব্যালন ডি’অর।
পোল্যান্ড স্ট্রাইকার লেভানডভস্কি বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে ৪১ গোল করে ২০২০-২১ মৌসুমে ইউরোপিয়ান গোল্ডেন সু জিতেছেন। এ পথে তিনি দলের হয়ে লিগ শিরোপা জিতেছেন। সব মিলে, ৫০ গোল, ৮ অ্যাসিস্ট আর তিনটি ট্রফি নিয়ে তিনি অন্যতম ফেভারিট।
জর্জিনিয়ো
গত বছর চেলসির হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পর ইতালির হয়ে জিতেছেন ২০২০ ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ
শিরোপা।
২০০৮ সালের পর মেসির বাইরে ব্যালন ডি’অর জিতেছেন শুধু ক্রিস্টিয়ান রোনালদো ও লুকা মডরিচ; এ দুজনই সংক্ষিপ্ত তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন। রোনালদো টানা ১৬ বারের মতো এবং ক্যারিয়ারে ১৭ বারের মতো মনোনীত হয়েছেন।
‘ফ্রান্স ফুটবল’ সাময়িকী প্রতি বছর বিশ্বের সেরা ফুটবলারকে ব্যালন ডি’অর পুরস্কার দিয়ে থাকে। কভিড-১৯ মহামারীর কারণে ২০২০ সালে এ পুরস্কারটি দেয়া হয়নি। আগামী ২৯ নভেম্বর প্যারিসের দু শ্যালে থিয়েটারে এবারের ব্যালন ডি’অর পুরস্কার প্রদান করা হবে।
অনূর্ধ্ব-২১ ক্যাটাগরিতে দেয়া হবে ‘কোপা ট্রফি’, যাতে মনোনয়ন পেয়েছেন বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের জুড বেলিংহাম, ম্যানইউর ম্যাসন গ্রিনউড ও আর্সেনালের বাকায়ো সাকা।
গোলকিপারদের
‘ইয়াসিন ট্রফি’র সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন চেলসির
এদুয়ার্দ মেন্দি, ম্যানসিটির এডারসন, লেস্টার সিটির ক্যাসপার স্মাইকেল ও অ্যাস্টন ভিলার
এমিলিয়ানো মার্তিনেজ।
ব্যালন
ডি’অরের ৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় ১৪ জন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগভিত্তিক
এবং পাঁচজন ইউরোজয়ী ইতালি জাতীয় দলের।
ব্যালন ডি’অর:
১৯৫৬
সাল থেকে প্রতি বছর বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়কে দেয়া হচ্ছে ব্যালন ডি’অর
পুরস্কার। প্রথমবার এ পুরস্কার পান ইংল্যান্ডের স্ট্যানলি ম্যাথিউস। ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত
এটা শুধু ইউরোপিয়ান খেলোয়াড়দেরই দেয়া হতো। এরপর থেকে ইউরোপের ক্লাবে খেলা ফুটবলারদের
আওতায় আনা হয় এবং ২০০৭ সাল থেকে পুরস্কারটা গোটা বিশ্বের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।
ফ্রান্স
ফুটবলের এডিটোরিয়াল স্টাফরা ৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করেছেন। এখান থেকে ভোট দিয়ে
বিজয়ী নির্বাচন করবেন বিশ্বব্যাপী সাংবাদিকরা, প্রতি দেশ থেকে ভোট দেবেন একজন।
২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ফিফার সঙ্গে একীভূত হয়ে যায় ব্যালন ডি’অর। তখন নাম ছিল ফিফা ব্যালন ডি’অর পুরস্কার। যদিও ২০১৬ সাল থেকে ফিফা নিজস্ব পুরস্কার চালু করে।
সংক্ষিপ্ত তালিকা:
সিজার
আজপিলিকুয়েতা, নিকোলো বারেল্লা, করিম বেনজেমা, লিওনার্দো বোনুচ্চি, কেভিন ডি ব্রুইন,
গিওর্গি কিয়েল্লিনি, রুবেন ডিয়াস, জিয়ানলুইজি দোনারুমা, ব্রুনো ফার্নান্দেস, ফিল ফডেন,
আর্লিং ব্রাউট হাল্যান্ড, জর্জিনিয়ো, হ্যারি কেন, এন’গোলা
কান্তে, সাইমন জার, রবার্ট লেভানভস্কি, রোমেলু লুকাকু, রিয়াদ মাহরেজ, লাউতারো মার্তিনেজ,
কিলিয়ান এমবাপ্পে, লিওনেল মেসি, লুকা মডরিচ, জেরার্ড মোরেনো, ম্যাসন মাউন্ড, নেইমার,
পেদ্রি, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, মোহাম্মদ সালাহ, রহিম স্টার্লিং, ও লুইস সুয়ারেজ।