সাম্প্রতিক সময়ের অস্বাভাবিক শেয়ারদর বৃদ্ধি ও শেয়ারের লেনদেন বাড়ার পেছনে কোনো ধরনের মূল্যসংবেদনশীল তথ্য নেই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের কোম্পানি ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস লিমিটেডের। দর বৃদ্ধির কারণ জানতে চেয়ে গত ৩ অক্টোবর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পাঠানো চিঠির জবাবে এ তথ্য জানিয়েছে কোম্পানিটি।
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, এ বছরের ৮ জুন ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৩১ টাকা ২০ পয়সা। এদিন কোম্পানিটির মাত্র ৯৫ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এর পর থেকেই শেয়ারটির দর ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী। এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। এর মধ্যে এ বছরের ২১ জুন ১৫ লাখ, ১৯ সেপ্টেম্বর ২৩ লাখ, ২৯ সেপ্টেম্বর ১৬ লাখ এবং সর্বশেষ গতকাল কোম্পানিটির ১০ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে। গতকাল লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারদর দাঁড়িয়েছে ৬১ টাকা ৪০ পয়সা। এ সময়ে শেয়ারটির দর বেড়েছে প্রায় ৯৭ শতাংশ। অবশ্য দুই কার্যদিবস ধরে কোম্পানিটির শেয়ারদর কিছুটা নিম্নমুখী।
সাধারণত কারণ ছাড়াই কোনো কোম্পানির শেয়ারদর বাড়লে স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে সেই কোম্পানির কাছে চিঠি পাঠিয়ে শেয়ারদর বাড়ার পেছনে কোনো ধরনের মূল্যসংবেদনশীল তথ্য রয়েছে কিনা জানতে চাওয়া হয়। তবে ইউনিক হোটেলের শেয়ারদর গত কয়েক মাসে প্রায় দ্বিগুণ হলেও এ বিষয়ে স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে কোম্পানিটির কাছে কোনো কারণ জানতে চাওয়া হয়নি। এ বিষয়ে বণিক বার্তায় সংবাদ প্রকাশের পর গতকাল স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে দর বৃদ্ধির কারণ জানতে চেয়ে চিঠি পাঠানো এবং এ বিষয়ে কোম্পানির জবাব-সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করা হয়।
সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২০-২১ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির আয় হয়েছে ৫০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। যেখানে এর আগের বছরের একই সময়ে আয় হয়েছিল ১৫২ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির আয় কমেছে ১০২ কোটি টাকা। ২০২০-২১ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির ৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা কর-পরবর্তী লোকসান হয়েছে। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে ৩৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা মুনাফা হয়েছিল। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান (ইপিএস) হয়েছে ১৯ পয়সা।