বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা-শ্রমভাবনা

ড. মো. আবু তাহের

বঙ্গবন্ধু শয়নে-স্বপ্নে, চিন্তায়-সাধনায়, কর্মে-আচরণে বাংলার মানুষের কল্যাণ চেয়েছেন। রাজনীতির শুরু থেকে শেষ দিন পর্যন্ত সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য বাংলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে বেড়িয়েছেন। নেতৃত্ব দিয়েছেন দেশের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে। বিভিন্ন ভাষণে, কার্যকলাপে এমনকি লেখনী বক্তৃতার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা-শ্রমভাবনার যে স্বরূপগুলো প্রতিফলিত হয়েছে তা আজও প্রাসঙ্গিক।

এটা সত্য যে মানবসভ্যতার মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে মানুষ। তারাই ইতিহাসের আসল নির্মাতা সভ্যতা-সংস্কৃতিকে দিয়েছে উত্কর্ষ দৃশ্যমান নান্দনিকতা। তাদের হাতেই রচিত হয় একটি দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের ভিত্তি। বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থায় উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়তে হলে দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত করতে হবে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ জাতি গঠনে সবসময় শিক্ষার ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। বস্তুত বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাভাবনা তার রাজনৈতিক দর্শন থেকে উৎসারিত, যা নিম্নোক্ত উদ্ধৃতি থেকে সুস্পষ্ট। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন বঙ্গবন্ধুর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় নবগঠিত আওয়ামী মুসলিম লীগের ম্যানিফেস্টোতে শিক্ষা সম্পর্কে বলা হয়,

রাষ্ট্রের প্রত্যেকের শিক্ষার অধিকার প্রতিষ্ঠিত করিতে হইবে। শিক্ষা ব্যবস্থা রাষ্ট্রের হাতে থাকিবে এবং প্রত্যেক নারী-পুরুষের পক্ষে শিক্ষা বাধ্যতামূলক করিতে হইবে। দেশের সর্বত্র মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করিয়া শিক্ষা সহজলভ্য করিতে হইবে। উচ্চতর শিক্ষা বিশেষ করিয়া কারিগরি শিক্ষার জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী শিক্ষাকেন্দ্র খুলিতে হইবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে সরকারি বৃত্তির সাহায্যে উচ্চশিক্ষাকে উৎসাহিত করিতে হইবে। মাতৃভাষাকে শিক্ষার বাহন করিতে হইবে।    

বঙ্গবন্ধু ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। যুক্তফ্রন্টের ২১ দফা কর্মসূচির ১০ নং দফায় দলের শিক্ষানীতি সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে: () দেশের সর্বত্র প্রাথমিক অবৈতনিক বাধ্যতামূলক শিক্ষা প্রবর্তন করা হইবে () শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল সংস্কার করিয়া শিক্ষাকে বৈজ্ঞানিক উপায়ে কার্যকরী করিয়া বেসরকারি বিদ্যালয়সমূহের বর্তমান ভেদাভেদ উঠাইয়া দিয়া একই পর্যায়ভুক্ত করিয়া সকল বিদ্যালয়সমূহে সরকারি সাহায্যপুষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হইবে এবং শিক্ষকদের উপযুক্ত বেতন ভাতার ব্যবস্থা করা হইবে।

১৯৬২ সালে শরিফ কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত শিক্ষা রিপোর্টের বিরুদ্ধে পূর্ব বাংলার ছাত্রসমাজ যে আন্দোলন গড়ে তোলে বঙ্গবন্ধু এতে নিরবচ্ছিন্নভাবে সমর্থন জুগিয়ে যান। সত্তরের নির্বাচনী ইশতেহারে বঙ্গবন্ধু সর্বজনীন শিক্ষা ব্যবস্থা, মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষা শিক্ষায় অধিকতর বরাদ্দের বিষয়টি বেশ জোরালোভাবে উপস্থাপন করেন। ডিসেম্বর ১৯৭০ সালের জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে রেডিও-টেলিভিশনে প্রদত্ত ভাষণে বঙ্গবন্ধু তার শিক্ষাভাবনা সুস্পষ্টভাবে জাতির সামনে তুলে ধরেন। তিনি বলেন,

সুষ্ঠু সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য শিক্ষা খাতে পুঁজি বিনিয়োগের চেয়ে উত্কৃষ্ট বিনিয়োগ আর কিছু হতে পারে না। ১৯৪৭ সালের পর বাংলাদেশে প্রাথমিক স্কুলের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার পরিসংখ্যান একটা ভয়াবহ সত্য। আমাদের জনসংখ্যার শতকরা ৮০ জন অক্ষরজ্ঞানহীন। প্রতি বছর ১০ লাখের বেশি নিরক্ষর লোক বাড়ছে। জাতির অর্ধেকের বেশি শিশুকে প্রাথমিক অক্ষর গ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। শতকরা ১৮ জন বালক জন বালিকা প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করছে। জাতীয় উৎপাদনের শতকরা কমপক্ষে ভাগ সম্পদ শিক্ষা খাতে ব্যয় হওয়া প্রয়োজন বলে মনি করি। কলেজ স্কুল শিক্ষকদের, বিশেষ করে প্রাথমিক শিক্ষদের বেতন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করতে হবে। নিরক্ষরতা দূরীকরণসহ বছর বয়স্ক শিশুদের বাধ্যতামূলক অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষাদানের জন্য একটা ক্রাশ প্রোগ্রাম চালু করতে হবে। মাধ্যমিক শিক্ষার দ্বার সকল শ্রেণীর জন্য উন্মুক্ত থাকবে। দ্রুত মেডিকেল কলেজ কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়সহ নয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ দারিদ্র্য যাতে উচ্চশিক্ষার জন্য মেধাবী ছাত্রদের অভিশাপ না হয়ে দাঁড়ায়, সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে।

ইতিহাস পর্যালোচনা করতে দেখা যায়, শেখ মুজিব পাকিস্তান আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন এই ভেবে যে এতে পূর্ব বাংলার সাধারণ মানুষের আর্থসামাজিক মুক্তি সুনিশ্চিত হবে। কিন্তু বাস্তবে পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টির পর তার স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়। তাই বাঙালিদের সাথে নিয়ে তিনি নতুনভাবে যাত্রা করেন স্বাধীনতার স্বর্ণদিগন্তের দিকে। সভ্যতার ইতিহাসে তিনি সর্বপ্রথম ব্যক্তি, যিনি ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদের প্রজ্বলন ঘটিয়ে সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ স্বাধীন জাতি ভাষা রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেন।

স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের প্রণীত সংবিধানে সর্বজনীন অবৈতনিক বাধ্যতামূলক শিক্ষা প্রদানকে রাষ্ট্রের দায়িত্ব হিসেবে নির্ধারণ করে দিয়ে বঙ্গবন্ধু বস্তুত শিক্ষা যে একটি মৌলিক অধিকার তা সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে গেছেন। সবার জন্য শিক্ষা ব্যতীত জাতীয় উন্নতি অগ্রগতির যে উপায় নেই, তা তিনি গভীরভাবে উপলব্ধি করেছিলেন। লক্ষ্যে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ বাস্তবায়ন শুরু করেন। উচ্চশিক্ষা প্রসারের জন্য বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন প্রতিষ্ঠা ১৯৭৩ অধ্যাদেশ প্রণয়ন করা হয়েছিল, যাতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিতসহ শিক্ষকরা চিন্তার স্বাধীনতা মুক্তবুদ্ধিচর্চার সুযোগ পায়। এসব কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি দীর্ঘকালীন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ১৯৭২ সালের ২৬ জুলাই বিশিষ্ট বিজ্ঞানী . কুদরাত--খুদাকে সভাপতি অধ্যাপক কবীর চৌধুরীকে সদস্য সচিব করে ১৮ সদস্যবিশিষ্ট একটি শিক্ষা কমিশন গঠন করা হয়। ওই কমিশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু বলেন, একটি সমাজতান্ত্রিক দেশের উপযোগী নাগরিক তৈরির জন্য যে ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা প্রয়োজন, কমিশনের উচিত সে ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা সুপারিশ করা। এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু একটি বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণের জন্য বৈষম্যহীন শিক্ষা ব্যবস্থা চান, তার প্রতিফলন ঘটে। শিক্ষা বঙ্গবন্ধুর কাছে এতই গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে তিনি একে সমাজ-দেশ গঠনে উত্কৃষ্ট বিনিয়োগ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

. কুদরাত--খুদার নেতৃত্বে গঠিত কমিশন বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে দেশের শিক্ষা সামগ্রিক পরিস্থিতি অণুবীক্ষণ, জনগণের কাছ থেকে শিক্ষার বিদ্যমান পরিস্থিতি তাদের মতামত নিয়ে গভীর বিশ্লেষণ পর্যবেক্ষণপূর্বক ১৯৭৪ সালের ৩০ মে রিপোর্টটি বঙ্গবন্ধু সরকারের কাছে পেশ করে। রিপোর্টে বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাভাবনা বেশির ভাগই প্রতিফলিত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু রিপোর্টটি সাদরে গ্রহণ করে রিপোর্টের সুপারিশ অনুযায়ী একটি বিজ্ঞানমনস্ক, আধুনিক যুগোপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজ শুরু করেন। তবে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর কুদরাত--খুদা শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট আলোর মুখ দেখেনি। তবে এটা সত্য, জাতীয় আন্তর্জাতিক পরিসরে বিভিন্ন পরিবর্তন সত্ত্বেও অদ্যাবধি রিপোর্টটি একটি চমত্কার রিপোর্ট হিসেবে সর্বমহলে স্বীকৃত। বর্তমান সরকার কর্তৃক গঠিত কমিটি পরিবর্তিত বাস্তবতাকে বিবেচনা করে ওই রিপোর্টের কিছু জায়গায় পরিবর্তন, পরিমার্জন সংযোজনপূর্বক জাতীয় শিক্ষা নীতি, ২০১০ প্রণয়ন করেন এবং সে অনুযায়ী বিভিন্ন স্তরের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এরই মধ্যে শিক্ষা আইনের খসড়াটি প্রণীত হয়েছে। আশা করি শিগগিরই শিক্ষা আইনটিও জাতীয় সংসদ কর্তৃক অনুমোদিত হবে।

অন্যদিকে মে ১৯৭২ মে দিবসের অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শ্রমিক ভাইদের উৎপাদন বৃদ্ধির আহ্বানে সাড়া দিলে শ্রমিকরা শিল্প-কারখানায় উৎপাদন বৃদ্ধিতে নিজেদের মনোনিবেশ করেন। সমাজতন্ত্র বাস্তবায়নের পথে শ্রমিক শ্রেণী যেন ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করতে পারেন সেজন্য তিনি জাতীয় পর্যায়ে জাতীয় শ্রমিক লীগ নামে একটি মাত্র সংগঠন গড়ে তোলেন এবং সব শ্রমিক তাদের নিজ নিজ সংগঠন অবলুুপ্ত করে ওই সংগঠনের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হয়। এমনকি ২৬ মার্চ ১৯৭৫ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভায় বঙ্গবন্ধু ঘুণে ধরা বিরাজমান সমাজ ব্যবস্থাকে ভেঙে সাম্যভিত্তিক সমাজতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় ঘোষণা করেন। এতে দেশের উঠতি পুঁজিপতি, স্বাধীনতাবিরোধী শিবির, মধ্যপ্রাচ্যের মৌলবাদী শক্তি বিশ্বসাম্রাজ্যবাদের মোড়ল এবং তাদের দেশীয় সমাজদাররা গভীর য়ড়যন্ত্র চক্রান্ত করে ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা তো দূরের কথা, যেসব মৌলিক অধিকার সাংবিধানিক মৌলনীতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তাও একে একে খর্ব করা হয় এবং দেশ সম্পূর্ণ উল্টোপথে যাত্রা করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম, ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ ধরেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি অর্জন করেছে।

বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শনে সাম্য তথা সমাজতন্ত্র কথাটি বারবার উচ্চারিত হয়েছে। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন, পুঁজিবাদী অর্থনীতি সমাজে বৈষম্য সৃষ্টি করে। তাই তিনি লিখেছেন,

আমি নিজে কমিউনিস্ট নই, তবে সমাজতন্ত্রে বিশ্বাস করি এবং পুঁজিবাদী অর্থনীতিতে বিশ্বাস করি না।

একে আমি শোষণের যন্ত্র হিসেবে মনে করি। পুঁজিপতি সৃষ্টির অর্থনীতি যতদিন দুনিয়ায় থাকবে, ততদিন দুনিয়ার মানুষের ওপর থেকে শোষণ বন্ধ হতে পারে না। [অসমাপ্ত আত্মজীবনী পৃ. ২৩৪]                

তবে বঙ্গবন্ধু রাশিয়া কিংবা চীনের সমাজতন্ত্র হুবহু বাস্তবায়ন না করে দেশের বাস্তবতাকে বিবেচনায় রেখে বাংলার মানুষের জন্য সাম্যভিত্তিক সমাজ তথা সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন, যেখানে কোনো শোষণ সম্পদের বৈষম্য থাকবে না।

বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির মূল কেন্দ্রে ছিল বাংলার সাধারণ মানুষ। তাদের কল্যাণে তিনি আজীবন সংগ্রাম করেছেন। স্বাধীন দেশে প্রণীত শিক্ষানীতি ঘোষিত শ্রমনীতিতে এর প্রতিফলন দেখা যায়। কিন্তু পঁচাত্তর-পরবর্তী দেশ উল্টোপথে যাত্রা করায় সাধারণ মানুষের সার্বিক মুক্তির বিষয়টি পিছিয়ে যায় বহু যোজন দূরে। অথচ বঙ্গবন্ধু সরকার কর্তৃক ঘোষিত শিক্ষানীতি শ্রমনীতির লক্ষ্যগুলো দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য আজও প্রাসঙ্গিক।

আজকের দিনে বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা-শ্রমভাবনা এবং এর প্রাসঙ্গিকতা আরো বেশি কারণে যে এখনো দেশের সাধারণ মানুষের অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা বাসস্থানের সম্পূর্ণ নিশ্চয়তা প্রদান করা সম্ভব হয়নি। জাতির পিতার নির্দেশিত পথ অনুসরণ করেই একটি বিজ্ঞানমনস্ক উৎপাদনমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা মেহনতি মানুষের কল্যাণমুখী শ্রমনীতি গড়ে তোলার জন্য সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু বাংলার মানুষকে নিয়ে যেভাবে ভাবতেন চিন্তা করতেন তা যথাযথ অনুশীলন না হওয়ায় আমাদের অগ্রযাত্রা একসময় থমকে গেলেও বর্তমানে আশায় বুক বেঁধে আছি বিশ্বাসে যে সময়ের সাহসী কাণ্ডারী, উদ্ভাবনী শক্তিতে বলীয়ান, একাগ্রতা-নিষ্ঠা-সততার অনন্য প্রতীক বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একদিন বাংলার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে, তাদের মুখে হাসি ফুটে উঠবে। বঙ্গবন্ধুর দর্শন, নীতি, আদর্শ, শিক্ষা-শ্রমভাবনার যথাযথ বাস্তবায়ন এবং সাধারণ মানুষের সার্বিক মুক্তিই হোক আমাদের আগামীর পথচলার মূল পাথেয়।

 

. মো. আবু তাহের: সদস্য, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন

 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন