টিকাদানে সাফল্য, এনজিওর ভূমিকা ও ভবিষ্যৎ চিন্তা

ড. আহমদ মোশতাক রাজা চৌধুরী

একটি দেশের আলোকে ৫০ বছর খুব একটা দীর্ঘ সময় নয়, জাতি গঠনের জন্য তো নয়ই। বাংলাদেশের জন্য এটা ছিল সুখ-দুঃখের সংমিশ্রণে একটা লম্বা পথ পাড়ি দেয়া, বাধা-বিপত্তি, সাফল্য আশা-নিরাশায় পরিপূর্ণ। বাংলাদেশ তার জন্মের পরপর প্রাপ্ত তলাবিহীন ঝুড়ি বদনাম ঘুচিয়েছে এবং অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে মানবিক উন্নয়নের অধিক উচ্চতায় যাওয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছে।

আর্থসামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকে গত কয়েক দশকে বাংলাদেশের প্রভূত অগ্রগতি হয়েছে, যা কিনা একটি বৈশ্বিক আলোচনার বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়েছে। বিষয় নিয়ে ভারতের প্রভাবশালী ইংরেজি দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফ একটি সম্পাদকীয় ছেপেছিল। দুই বাংলা  শিরোনামের ওই প্রবন্ধে সম্পাদক রামচন্দ্র গুহ বাংলাদেশের নব্য ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখিয়েছিলেন কীভাবে এই দেশ তার বাধা-বিপত্তিগুলো কাটিয়ে উঠে উন্নত ভবিষ্যতের পানে গর্বিত পদচারণ করছে। তার ভাষায়

এই দেশ সম্পর্কে জনপ্রিয় ধারণা হচ্ছে যে মোল্লাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে সামরিক জেনারেলরাই দেশটি চালান। যাই হোক, আস্তে আস্তে এই ধারণা বদলাতে শুরু করে। কোনো খরা ছিল না, দেশে চালের উৎপাদন ক্রমান্বয়ে বাড়ছিল। শিল্প ক্ষেত্রেও অগ্রগতি সাধিত হচ্ছিল। বাংলাদেশ বস্ত্র শিল্পের একটি বড় রফতানিকারকে পরিণত হয়েছে। জেনারেলরা ব্যারাকে ফিরে গিয়েছে এবং বেসামরিক সরকার তার জায়গা নিয়েছে। বাঙালির সাধারণ অনুভূতির আলোকে ইসলাম ধর্ম তার জায়গায় পুনরায় অধিষ্ঠিত হয়েছে এবং জিহাদিরা পিছু হটেছে।

গুহ বাংলাদেশের অর্জনগুলো তার নিজ প্রদেশ পশ্চিম বাংলার সঙ্গে তুলনা করে দেখান, তারা কতটা পিছিয়ে। শুধু এই সম্পাদকীয়টিই নয়, সাফল্যের ধারা নিয়ে বিশ্বের বাদবাকি দেশগুলোর থেকে কী শিক্ষণীয় তার ওপর ক্রমাগত বেশকিছু লেখা ছাপা হয়েছে। ব্রিটিশ উন্নয়ন নৃতত্ত্ববিদ ডেভিড লুইস তার একটি সাম্প্রতিক বইয়ে বাংলাদেশ পাকিস্তানের অর্জন নিয়ে একটি তুলনামূলক আলোচনা করেছেন। লুইসকে উদ্ধৃত করে গুহ লিখেছেন, একদা তলাবিহীন ঝুড়ি নামে অভিহিত বাংলাদেশকে এখন নতুন ধারা প্রবর্তনের ঝুড়ি বলা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের ওপর প্রখ্যাত প্রভাবশালী সাময়িকী ল্যানসেট অনেক প্রবন্ধ এবং মতামত প্রকাশ করেছে। প্রাক-কথায় সম্পাদকরা বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের সাম্প্রতিক অর্জনকে বিশ্ব স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে একটি বড় ধরনের রহস্য বলে উল্লেখ করেছেন। ধরনের প্রশংসা এখনো আসছে। সাম্প্রতিক এক প্রবন্ধে নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকার কলামিস্ট নিকোলাস ক্রিসটফ বাইডেন প্রশাসনকে উপদেশ দিয়ে বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচিত হবে শিশু দারিদ্র্য দূরীকরণে বাংলাদেশ থেকে দীক্ষা নেয়া।  ক্রিসটফ বাংলাদেশের উন্নয়নের ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখিয়েছেন, কীভাবে দেশটি হতাশাকে জয় করে দারিদ্র্য হ্রাসকরণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য নারীদের ক্ষমতায়নে বিস্ময়কর সাফল্য অর্জনের দিকে এগিয়ে গেছে।

দারিদ্র্য আয়বৈষম্য থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ আসলেই অসাধারণ সাফল্য লাভ করেছে। কিন্তু বাংলাদেশ অসাধ্য সাধন করল কীভাবে? সাফল্যগাথার পেছনের ইতিহাসটাই বা কী? বিষয়ে ল্যানসেটসহ অনেক সারগর্ভ আলোচনা সম্পর্কে আমরা অবহিত। অনেক ফ্যাক্টরের দিকেই চোখ পড়ে। তার মধ্যে আজ দুটি বিষয় নিয়ে সংক্ষেপে আলোকপাত করার চেষ্টা করব।

টিকা ক্ষেত্রে অলৌকিক ঘটনা: জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশে কিছু অলৌকিক ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে টিকাদান একটি। বাংলাদেশে টিকাদানের এক দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ১৭৯৯ সালে এডওয়ার্ড জেনারের গুটিবসন্তের টিকা আবিষ্কারের বেশ আগে থেকে বাংলাদেশসহ তত্কালীন ভারতের অঞ্চলে টিকাদান প্রথা প্রচলিত ছিল। ঐতিহাসিকরা বলছেন, অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে একদল টিকাদারের আগমন ঘটত যারা টাকার বিনিময়ে বসন্তের টিকা প্রদান করত। যেহেতু বসন্তকালে রোগের আক্রমণ হতো সেজন্য টিকাদাররা তার কিছুদিন আগেই এসে যেত। ১৯৭৮ সালে আলমা আটা ঘোষণার মধ্য দিয়ে বিশ্বব্যাপী টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়, যার নাম দেয়া হয় ইপিআই। কিন্তু বাংলাদেশে তা জোরদার করা হয় আশির দশকের মাঝামাঝি। ১৯৮৬ সালে দেশে ইপিআই কর্মসূচি শুরুর সময় টিকাদানের শতকরা হার ছিল মাত্র দুই। সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকার বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী এবং প্রচারমাধ্যমের পূর্ণ সহযোগিতায় হার মাত্র পাঁচ বছরে বেড়ে ৭০ শতাংশ হয়, যে কারণে ইউনিসেফ এই অর্জনকে প্রায় অলৌকিক ঘটনা বা ‘Near Miracle’ বলে অভিহিত করে। বাংলাদেশ হার শুধু ধরেই রাখেনি, পরবর্তী সময়ে টিকাদানের আওতা আরো বাড়িয়েছে। দেখার বিষয়, কভিডের টিকার ব্যাপারে বাংলাদেশ অভিজ্ঞতা কতটা কাজে লাগায়।

উন্নয়নে এনজিওগুলোর ভূমিকা

বাংলাদেশের উন্নয়নের কথা বলতে গেলে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বা এনজিওর কথা আসবেই। উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এদের উপস্থিতি সর্বত্র দৃশ্যমান। সরকার দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে এনজিওগুলোর সম্পৃক্ত হয়ে কাজ করার উপযুক্ত পরিবেশ সুযোগ মোটামুটি সৃষ্টি করে দিয়েছে। এক্ষেত্রে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য নাম হলো ব্র্যাক, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, গ্রামীণ ব্যাংক, কেয়ার, সেভ দ্য চিলড্রেন, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি ইত্যাদি। নাগরিকের ব্যাপক সম্পৃক্ততার মাধ্যমে তারা চিকিৎসা ক্ষেত্রে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করেছে এবং প্রতিরোধ, প্রতিষেধক চিকিৎসা সেবা দিয়েছে। সম্প্রতি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস বিষয়ে পর্যালোচনামূলক একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে‘Role of NGOs in Health Development শীর্ষক দীর্ঘ নিবন্ধে স্বাস্থ্য উন্নয়নে বাংলাদেশে এনজিওগুলোর পজিটিভ ভূমিকার একটি ফিরিস্তি দেয়া হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্যের সামাজিক নির্ধারকগুলো যেমন শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, ক্ষুদ্রঋণ, কৃষি, দারিদ্র্য বিমোচন অন্যান্য ক্ষেত্রেও তারা ব্যাপক কাজ করছে। এসব ক্ষেত্রে সরকার এনজিওগুলোর বিনিয়োগ স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আশানুরূপ সাফল্য লাভের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রেখেছে। কৃষিতে বিনিয়োগের ফলে দেশে ১৯৭৪-এর পর কোনো ধরনের দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়নি। বরং জনসংখ্যা বেড়ে যখন দ্বিগুণ হয়েছে তখন খাদ্য উৎপাদন তিন গুণ বেড়েছে। শিক্ষার ওপর জোর দেয়ায় ভালো ফল পাওয়া গেছে, বিশেষ করে মেয়েদের স্কুলে আনার ক্ষেত্রে। প্রাথমিক শিক্ষার সুযোগ এখন দেশের সর্বত্র এবং স্কুলে মেয়েদের ভর্তির হার ছেলেদের চেয়ে বেশি। লিঙ্গসমতা অর্জনে সরকার এবং এনজিওগুলোর কিছু বাস্তব পদক্ষেপ বেশ সহায়ক ছিল। এনজিওগুলোর কর্মকাণ্ডের মধ্যে ছিল মেয়ে দরিদ্র পরিবারের শিশুদের জন্য পরিচালিত উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, ব্র্যাকের প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম একাই অর্থনৈতিকভাবে দরিদ্র পরিবারের ১০ লাখ শিশুকে শিক্ষার আওতায় আনতে পেরেছে, যার শতকরা ৬৫ জনই মেয়ে।

বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে সফল কয়েকটি এনজিওর আবাসস্থল। মুক্তিযুদ্ধ কিছু বাংলাদেশীর অন্তরে গরিব   নারীদের উন্নয়নে জীবন উৎসর্গ করার স্পৃহা জাগিয়ে দিয়েছিল। বিভিন্ন সরকারের সৃষ্ট প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধাগুলো দাতাগোষ্ঠী এসব নেতাকে একগুচ্ছ উন্নয়ন কর্মসূচি প্রণয়নে সহায়তা করেছিল, যা বিশেষ করে সমাজের বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে কাজে লেগেছিল। বৈশ্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে এখন গ্রামীণ ব্র্যাকের নাম একটি প্রবাদ বা লোককথায় পরিণত হয়েছে। তারা এমন সব নতুন নতুন কর্মসূচি তৈরি করেছে, যা দারিদ্র্য, বেকারত্ব, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিবেশ ইত্যাদি ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। তাদের কাজের ফলে বিভিন্ন প্রগতিশীল নীতি তৈরি হয়েছিল। বৈপ্লবিক এক ওষুধ নীতির ফলে প্রয়োজনীয় ওষুধগুলোর দাম জনগণের অনেকটা সামর্থ্যের মধ্যে নেমে এসেছিল।

আগামীর বাংলাদেশ

ওপরের আলোচনা গল্পের একটি দিক মাত্র। অন্য দিকটি কিছু আলোকপাত করলে বাস্তব অবস্থার একটি ব্যাখ্যা ভেসে আসবে। উপরোক্ত অর্জন একটি ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি সত্ত্বেও এমন কিছু বিষয় রয়েছে, যা আরো বড় অর্জন থেকে বাংলাদেশের সমাজকে পিছু টেনে রেখেছে। যেকোনো নিরিখে এক-চতুর্থাংশ বাংলাদেশী এখনো আয়ের দিক থেকে দরিদ্র। আয়বৈষম্য অনেক বেশি, যা কমছে না। এটা অনেকাংশেই রাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত। পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি হচ্ছে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য উন্নয়নের অন্য ক্ষেত্রগুলোর ব্যবস্থাপনাগু দুর্বল হওয়ার কারণে জবাবদিহিতাও দুর্বল এবং সম্পদেরও অপচয় হচ্ছে। জাতীয় রাজনীতি দ্বিধাবিভক্ত, চলতি বা ভবিষ্যতের কোনো জরুরি বিষয় নিয়ে তাদের অনাগ্রহ খুবই দৃষ্টিকটু। বাংলাদেশে দ্রুত নগরায়ণ হচ্ছে এর এক-তৃতীয়াংশই বস্তিতে। কিন্তু থেকে কীভাবে পরিত্রাণ পাওয়া যায় তা নিয়ে কর্তৃপক্ষের খুব একটা মাথাব্যথা নেই। এনজিওগুলো শহরের বস্তিতে কাজ করছে, কিন্তু তাদের নিজেদের মধ্যে বা সরকারের সঙ্গে সমন্বয়ের অভাব পরিলক্ষিত হয়। জীবনযাত্রার সঙ্গে জড়িত অছোঁয়াচে ব্যাধিগুলো যেমন উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ক্যান্সার ভবিষ্যতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াবে। পরিবেশ দূষণ জলবায়ুর পরিবর্তনে অবস্থা আরো খারাপের দিকে যাবে বিশেষ করে দরিদ্রদের। দুর্ভাগ্যজনক, আর্সেনিক দূষণের মতো একটি বিষয় আমরা প্রায় ভুলে গেছি।

স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশে সরকারি বিনিয়োগ পৃথিবীতে সর্বনিম্ন, জিডিপির শতকরা এক ভাগেরও কম। কভিড-১৯ অতিমারী আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কতটা ভঙ্গুর বা দুর্বল। কিন্তু দুর্যোগ থেকে শিক্ষা নেয়ার তেমন কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না, এমনকি শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে একটি সর্বজনীন কার্যকর স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিকল্পনাও করা যাচ্ছে না, যা মধ্যম আয়ের আধুনিক বাংলাদেশের প্রয়োজন মেটাতে পারে। অমর্ত্য সেন ল্যানসেটে প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে লিখেছেন, বাংলাদেশের এই প্রশংসনীয় সাফল্যের পেছনে মূল যে বিষয়টি কাজ করেছে তা হলো তারা নিষ্ক্রিয়তা আত্মতুষ্টির মতো দুটি বিপজ্জনক বিষয় পরিহার করতে পেরেছে। ভবিষ্যতে এর চাহিদা আরো বাড়বে।

বর্তমান সরকার সর্বজনীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বা ইউনিভার্সেল হেলথ কভারেজের (ইউএইচসি) প্রতি বারবার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০১৯ সালে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত ইউএইচসি সামিটে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ইউএইচসি বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছিলেন। কভিড পরিস্থিতি আমাদের সেই পথে এগোতে সাহায্য করবে। প্রয়োজন শুধু সরকারের সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা। জাতি এখন একসঙ্গে মুজিব বর্ষ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছে। ইউএইচসি বাস্তবায়নের তাই এখনই মোক্ষম সময়।

 

. আহমদ মোশতাক রাজা চৌধুরী: ব্র্যাকের সাবেক ভাইস চেয়ারপারসন, জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথের প্রতিষ্ঠাতা ডিন, বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচের আহ্বায়ক এবং যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন