সেমিনারে বক্তারা

কৃষি সম্প্রসারণ সেবায় অধিক পিপিপি প্রয়োজন

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফার্মগেট বিএআরসি মিলনায়তনে গতকাল বিএইএন এর সেমিনারে অতিথিরা ছবি: সংগৃহীত

পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় গত কয়েক বছরের ব্যবধানে প্রায় ৭৯টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এসব প্রকল্পে প্রায় ২৯ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হয়েছে। কিন্তু দেশের সার্বিক কৃষি খাতের উন্নয়নে সম্প্রসারণ সেবার উন্নয়ন প্রয়োজন। গত কয়েক বছরে খাতে প্রায় দেড় লাখ বেসরকারি সম্প্রসারণ কর্মী যুক্ত হয়েছেন। তাই এখন সময় এসেছে কৃষির সম্প্রসারণ সেবায় অধিক পরিমাণে পিপিপি।

গতকাল রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) পলিসি অ্যান্ড ইটস রোল ইন এগ্রিকালচার এক্সটেনশন শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা। সেমিনারটি বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন নেটওয়ার্ক (বিএইএন) আয়োজন করে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা পুলের সদস্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম। এছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান . শেখ মো. বখতিয়ার। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এসিআই এগ্রিবিজনেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা . ফা আনসারী।

বক্তারা বলেন, দেশে সম্প্রসারণ সেবায় সরকারিভাবে প্রায় ৫০ হাজারের বেশি কর্মী নিয়োজিত রয়েছেন। কিন্তু বেসরকারিভাবে সম্প্রসারণ সেবা দিচ্ছে প্রায় দেড় লাখ জনবল। এরা অনেক ক্ষেত্রেই অনভিজ্ঞ কিংবা ব্যবসায়িক মোটিভে পরিচালিত হয়ে থাকেন। ফলে সব ধরনের সম্প্রসারণ কর্মীদের একই ছাতার নিচে নিয়ে আসতে উদ্যোগ প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সম্প্রসারণ কর্তৃপক্ষ গঠন কিংবা আলাদা তদারকি প্রতিষ্ঠান গঠন করা যেতে পারে। দেশের গবেষণা বাদে প্রায় সবকিছুই এখন বেসরকারি খাতের ওপর নির্ভরশীল। সেখানে যেমন সরকারি খাতের অংশগ্রহণ থাকতে হবে তেমনি গবেষণাতেও বেসরকারি খাতের এগিয়ে আসতে হবে। এর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যৌথ উদ্যোগে প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন