ক্রুজ শিপের ব্যবসা শুরুর সিদ্ধান্ত

সি পার্লের বছরে ৭ কোটি টাকা আয় হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ভ্রমণ অবকাশ খাতের কোম্পানি সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ যাত্রী পরিবহনে ক্রুজ শিপ ট্যুরের ব্যবসা শুরু করবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে তথ্য জানা যায়।

তথ্যমতে, নতুন ব্যবসার জন্য কোম্পানিটি প্রাথমিকভাবে দুটি ক্রুজ শিপ কিনবে। ক্রুজ শিপ খুলনা-সুন্দরবন-খুলনা নৌরুটে যাত্রীদের জন্য ট্যুর প্যাকেজ পরিচালনায় ব্যবহার করা হবে। এজন্য কোম্পানিটির সাড়ে কোটি টাকা দিয়ে দুটি ক্রুজ শিপ কেনা হবে। সি পার্লের নতুন ব্যবসা বছরের অক্টোবর থেকে শুরু করবে কোম্পানিটি। ব্যবসার ফলে কোম্পানিটির বার্ষিক কোটি ১৫ লাখ টাকা আয় হবে বলে ধারণা করা হয়েছে।

কোম্পানিটির সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, সমাপ্ত ২০২০-২১ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে সি পার্লের পরিচালন রাজস্ব আয় এর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৪২ শতাংশ বেড়েছে। আর রাজস্ব আয় বাড়ার কারণে সময়ে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ২৪০ শতাংশ। সমাপ্ত হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির পরিচালন রাজস্ব আয় হয়েছে ৬৩ কোটি টাকা। যেখানে এর আগের বছরের একই সময়ে রাজস্ব আয় ছিল ৪৪ কোটি টাকা। আর তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা। যেখানে এর আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল কোটি ২৮ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে টাকা ২০ পয়সা, যা এর আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩৫ পয়সা।

এদিকে সমাপ্ত হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির পরিচালন রাজস্ব আয় হয়েছে ২৫ কোটি টাকা। যেখানে এর আগের বছরের একই সময়ে রাজস্ব আয় ছিল ১৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা। আর আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে কোটি টাকা, যা এর আগের বছরের একই সময়ে ছিল কোটি টাকা। চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৬০ পয়সা, যা এর আগের বছরের একই সময়ে ছিল পয়সা। বছরের ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ২১ পয়সা।

সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের জন্য উদ্যোক্তা পরিচালক বাদে শুধু সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে সি পার্ল বিচ রিসোর্টস অ্যান্ড স্পার পর্ষদ। সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে পয়সা, যেখানে এর আগের হিসাব বছরে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছিল ৪১ পয়সা।

২০১৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১২০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৭০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১২ কোটি লাখ ৫০ হাজার। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৪৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৭ দশমিক শূন্য শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে বাকি ২৬ দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন