সাপ্লাই চেইন সমস্যার কারণে পণ্যের ঘাটতি এবং গ্রাহকদের কাছে পণ্য সরবরাহে বিলম্ব হচ্ছে ক্রীড়া সামগ্রী বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান নাইকি ও যুক্তরাষ্ট্রের খুচরা বিক্রয় প্রতিষ্ঠান কোস্টকোর।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠান দুটিকে এশিয়ায় পণ্য পরিবহন এবং কর্মী সঙ্কটের মতো সমস্যার সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে।
নাইকি বলেছে, চলমান পরিস্থিতি আগামী বসন্ত পর্যন্ত তাদের জুতা উৎপাদন ও ডেলিভরিতে বিরুপ প্রভাব ফেলবে। গত বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, এ পরিস্থিতিতে তাদের বিক্রি হ্রাস পেয়েছে।
নাইকির প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাথিউ ফ্রেন্ড বলেন, বিশ্বব্যাপী সাপ্লাই চেইনের হেডওয়াইন্ডস থেকে আমরা মুক্ত নই। যে কারণে এটি বিশ্বজুড়ে উৎপাদন ও বিপণন ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। আমরা মনে করি, এটি সর্বস্তরেই প্রভাব ফেলবে।
সঙ্কটসময় পরিস্থিতিতে টয়লেট পেপারের মতো কিছু পণ্যের উৎপাদন সীমিত করেছে কোস্টকো। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, করোনার ভয়ে গ্রাহকরা পণ্য মজুদ করে রেখেছে। দোকানগুলোতে পণ্য পাঠাতে তাদের রীতিমতো সংগ্রাম করতে হচ্ছে।
নাইকির ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার কারখানাগুলোতে মোট উৎপাদনের তিন চতুর্থাংশ জুতা তৈরি হয়। করোনার কারণে জারি করা লকডাউনে কারখানাগুলোর উৎপাদন ব্যাহত হয়। চলতি বছর ভিয়েতনামে কেবল ৭০ দিন জুতা উৎপাদন করতে পেরেছে নাইকি।
লকডাউনের কারণে এশিয়া থেকে উত্তর আমেরিকাতে পণ্য যেতে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ (৪০ থেকে ৮০ দিন) সময় লাগছে।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান কোস্টকো জানিয়েছে, টয়লেট রোল, বোতলজাত পানি ও কিছু পরিচ্ছন্নতা সামগ্রীর মতো মূল পণ্যসামগ্রী বিক্রি পুনরায় সীমিত করেছে তারা। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়, এই সীমিতকরণের পেছনে বিক্রয় প্রবণতা ভয়ঙ্করভাবে পুনঃবৃদ্ধি এর আংশিক কারণ ছিল। এ ছাড়া দোকানগুলোতে পণ্য পাঠাতে ট্রাক, ড্রাইভার ও শিপিং কন্টেইনার পেতে সংগ্রাম করতে হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটিকে।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা রিচার্ড গ্যালান্টি বলেন, কোভিড পরিস্থিতি, বন্দরে বিলম্ব হওয়া, কন্টেইনার সংকট, কাঁচামাল ও উপাদানের ঘাটতি, শ্রমিকের মজুরি এবং ট্রাক ও চালকের অভাব- এগুলোই মূলত সরবরাহ এবং মুদ্রাস্ফীতির কারণ। বড় বড় ব্র্যান্ডগুলোও দীর্ঘ সময় নিয়েছে। পণ্য সরবরাহ করতে অল্প সময়ে ট্রাক ও চালক খুঁজে পেতেও সমস্যায় পড়তে হয়েছে।