রাজবাড়ীর পদ্মায় জেলের জালে ৩৫ কেজির বাগাড় ও ১২ কেজির চিতল

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, রাজবাড়ী

পদ্মা নদীতে জেলের জালে ৩৫ কেজি ওজনের  বিশাল এক বাগাড় মাছ ধরা পড়েছে। শনিবার বিকেলে জেলে দুলাল মোল্লার জালে মাছটি ধরা পড়ে। এ সময় মাছটি নদীর পাড়ে নিয়ে এলে দেখতে ভিড় করেন স্থানীয়রা।

দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের সাদিয়া মত্স আড়তের মালিক মো. মহম্মদ আলী মন্ডল জানান, শনিবার বিকেলে পদ্মা ও যমুনার মোহনায় জাল ফেলে জেলে দুলাল মোল্লা। এ সময় তার জালে বিশাল আকৃতির এই বাগাড় মাছটি ধরা পরে। পরে মাছটিকে স্থানীয় খালেক মোল্লার আড়তে নিয়ে এলে ১২৫০ টাকা কেজি দরে মোট ৪৩ হাজার ৭৫০ টাকায় কিনে নেয়া হয়। মাছটিকে বেশি দামে বিক্রির জন্য দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে বেধে রাখা হয়েছে, সেসঙ্গে ঢাকার ব্যাবসায়ীদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এর আগে ভোরে পদ্মা-যমুনার মোহনায় জেলের জালে ১২ কেজি ওজনের একটি চিতল মাছ ধরা পড়ে। শনিবার ভোর রাতে স্থানীয় জেলে রতন হালদারের জালে মাছটি ধরা পড়ে।

শনিবার সকালে বিক্রির উদ্দেশে দৌলতদিয়া ঘাটে আনলে মাছ ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ ১৫৫০ টাকা কেজি দরে ১৮ হাজার ৬০০ টাকায় মাছটি কিনে নেন।

জেলে রতন হালদার জানান, প্রতিদিনের মত গত শুক্রবার দিবাগত রাতে সঙ্গীদের দিনে পদ্মায় মাছ শিকারে যাই। সারা রাত তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো মাছ না পেয়ে অনেকটা হতাশই ছিলাম। এর মধ্যে জালের টান দেখেই বুঝতে পারি জালে বড় সাইজের কোনো মাছ আটকা পড়েছে। খুব সাবধানতার সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ চেষ্টা করে মাছটি নৌকায় তুলি।

এ প্রসঙ্গে মাছ ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ বলেন, পদ্মা নদীর চিতল মাছের প্রচুর চাহিদা থাকায় এর দামও বেশী। মাছটি কিনে লাভের আশায় দেশের বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করে গাজীপুরের এক ব্যক্তির কাছে ১৬০০ টাকা কেজি দরে মোট ১৯ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করেছি।

গোয়ালন্দ উপজেলা মত্স্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল শরিফ জানান, পদ্মা নদীর পানি কমে যাওয়ায় এখন মাঝে মধ্যেই এমন বড় বড় আকৃতির মাছ ধরা পরছে। এতে স্থানীয় জেলে ও মাছ ব্যাবসায়ীরা সবাই লাভবান হচ্ছে। তাছাড়া পদ্মা নদীর মাছের বেশ চাহিদা থাকায় জেলে ও মাছ ব্যাবসায়ীদের বিক্রি করতেও বেগ পেতে হচ্ছে না।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন