জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী

শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে ভাষণ দেন ছবি: বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে শান্তি। শান্তির সংস্কৃতি প্রস্তাবনার প্রধান প্রবক্তা হিসেবে আমরা শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সন্ত্রাসবাদ সহিংস উগ্রবাদের করাল থাবায় বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে শান্তি নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। তাই আমরা সন্ত্রাসবাদ সহিংসতার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রেখেছি। স্থানীয় সময় শুক্রবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ প্রদানকালে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংবিধানের আলোকে আমরা সর্বদা সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণের অবিচল সমর্থক। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, পারমাণবিক অন্যান্য গণবিধ্বংসী অস্ত্রের সম্পূর্ণ নির্মূলের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শান্তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব। প্রত্যয় থেকেই আমরা পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ চুক্তি অনুস্বাক্ষর করেছি। বছরের শুরুতে চুক্তিটি কার্যকর হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা একটি শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল সমৃদ্ধ দক্ষিণ এশিয়ার স্বপ্ন দেখি। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আফগানিস্তানের বিনির্মাণ এবং ভবিষ্যতের গতিপথ নির্ধারণ আফগানিস্তানের জনগণের ওপরই নির্ভর করে। আফগানিস্তানের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য দেশটির জনগণ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করে যেতে বাংলাদেশ সদা প্রস্তুত।

দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের অপূর্ণ স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল পাঁচটি অর্থনীতির মধ্যে অন্যতম। জিডিপিতে আমরা বিশ্বের ৪১তম। গত এক দশকে আমরা দারিদ্র্যের হার ৩১ দশমিক থেকে ২০ দশমিক শতাংশে নামিয়ে এনেছি। সময় আমাদের মাথাপিছু আয় তিনগুণ বেড়ে হাজার ২২৭ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ সর্বকালের সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বছর আমরা স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের মাইলফলক অর্জন করেছি। এখন আমাদের স্বপ্ন বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি জ্ঞানভিত্তিক উন্নত দেশ ২১০০ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ টেকসই বদ্বীপে রূপান্তর করা।

কভিড পরিস্থিতিতে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার সার্বিক চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কভিড-১৯ মহামারীর প্রকোপ আশঙ্কার চেয়ে অনেক কম হয়েছে। তৃণমূল পর্যায় থেকে আমাদের শক্তিশালী স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া মহামারী মোকাবেলায় আমাদের সময়োচিত, সমন্বিত বহুমুখী উদ্যোগ কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। জীবন জীবিকার ভারসাম্য রক্ষা করতে শুরুতে আমাদের বেশকিছু কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল। অর্থনীতিকে সচল রাখতে বিভিন্ন সময়ে আমরা ২৮টি প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে প্রায় হাজার ৪৬০ কোটি মার্কিন ডলার বরাদ্দ দিয়েছি, যা মোট দেশজ উৎপাদনের দশমিক ৪৪ শতাংশ। নভেল করোনাভাইরাসের টিকা সংগ্রহের জন্য চলতি অর্থবছরে বাজেটে ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের সংস্থান রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, অতি দরিদ্র, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, বিদেশ-ফেরত প্রবাসী অসহায় নারীদের মতো সমাজের দুর্বলতর জনগোষ্ঠীর জন্য পর্যাপ্ত উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। গত বছর মহামারীর প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে আমরা প্রায় চার কোটি মানুষকে নগদ অর্থসহ অন্যান্য সহায়তা দিয়েছি। সময়োচিত পদক্ষেপ আমাদের জনগণের বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবেলার সক্ষমতার কারণে ২০২০ সালেও আমরা শতাংশের বেশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি।

চলমান বৈশ্বিক মহামারী মোকাবেলায় আধুনিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক বৈশ্বিক পরিকল্পনা গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে ছয়টি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। প্রথম প্রস্তাবে তিনি বলেন, কভিডমুক্ত একটি বিশ্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে টিকার সর্বজনীন সাশ্রয়ী মূল্যে প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা ধনী দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে টিকা বৈষম্য বাড়তে দেখেছি। বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে, যাবৎ উৎপাদিত টিকার ৮৪ শতাংশ উচ্চ উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশগুলোর মানুষের কাছে পৌঁছেছে। অন্যদিকে নিম্ন আয়ের দেশগুলো শতাংশেরও কম টিকা পেয়েছে। জরুরিভিত্তিতে টিকা বৈষম্য দূর করতে হবে। লাখ লাখ মানুষকে টিকা থেকে দূরে রেখে কখনই টেকসই পুনরুদ্ধার সম্ভব নয়। আমরা পুরোপুরি নিরাপদও থাকতে পারব না।

সবার জন্য ন্যায়সংগত সাশ্রয়ী মূল্যে টিকার প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবিলম্বে টিকা প্রযুক্তি হস্তান্তর টিকার সমতা নিশ্চিত করার একটি উপায় হতে পারে। প্রযুক্তি সহায়তা মেধাস্বত্বে ছাড় পেলে বাংলাদেশও ব্যাপক পরিমাণে টিকা তৈরি করতে সক্ষম।

দ্বিতীয় প্রস্তাবে শেখ হাসিনা বলেন, মহামারী জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোকে অধিকমাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ-এর ওয়ার্কিং গ্রুপ--এর প্রতিবেদনে আমাদের গ্রহের ভবিষ্যতের এক ভয়াল চিত্র ফুটে উঠেছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে জলবায়ু পরিবর্তনের ধ্বংসাত্মক প্রভাব কাটিয়ে ওঠা কঠিন হবে। ধনী অথবা দরিদ্র কোনো দেশই এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া থেকে নিরাপদ নয়। তাই আমি ধনী শিল্পোন্নত দেশগুলোকে কার্বন নিঃসরণ হ্রাস, নিঃসরণের জন্য ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং টেকসই অভিযোজনের জন্য অর্থায়ন প্রযুক্তির অবাধ হস্তান্তরের আহ্বান জানাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী তার তৃতীয় প্রস্তাবে বলেন, মহামারীর প্রকোপে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা চরমভাবে বিপর্যস্ত। জাতিসংঘ শিশু তহবিলের তথ্য অনুযায়ী, করোনাকালে আংশিক বা পুরোপুরি বিদ্যালয় বন্ধের কারণে বিশ্বের প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিম্ন আয়ের দেশগুলোর লাখ লাখ ছাত্র-ছাত্রীর দূরশিক্ষণে অংশগ্রহণের সক্ষমতা প্রযুক্তি না থাকায় ভর্তি, সাক্ষরতার হার ইত্যাদি অর্জনগুলো হুমকির মুখে পড়েছে। তাই ডিজিটাল সরঞ্জামাদি সেবা, ইন্টারনেটের সুযোগ-সুবিধার সহজলভ্যতা শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিনিয়োগ করতে হবে। এজন্য আমরা জাতিসংঘকে অংশীদারিত্ব প্রয়োজনীয় সম্পদ নিশ্চিত করার জন্য আহ্বান জানাই।

চতুর্থ প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কভিড-১৯ অতিমারীর নজিরবিহীন প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে আমরা স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের পথে রয়েছি। তবে মহামারী অনেক দেশের উত্তরণের আকাঙ্ক্ষাকে বিপন্ন করেছে। স্বল্পোন্নত দেশের টেকসই উত্তরণ ত্বরান্বিত করার জন্য উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে আমরা প্রণোদনাভিত্তিক উত্তরণ কাঠামো প্রণয়নে আরো সহায়তা আশা করি। এলডিসি- সম্মেলনের প্রস্তুতিমূলক কমিটির অন্যতম সভাপতি হিসেবে, আমরা আশা করি যে দোহা সম্মেলনের সুনির্দিষ্ট ফলাফল আরো বেশিসংখ্যক দেশকে সক্ষমতা দান করবে, যেন তারা স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে টেকসইভাবে উত্তরণ করতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী পঞ্চম প্রস্তাবে বলেন, মহামারীকালে প্রবাসীরা অপরিহার্য কর্মী হিসেবে স্বাস্থ্য অন্যান্য জরুরি সেবা খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। তারাও সম্মুখসারির যোদ্ধা। তবুও তাদের অনেকে চাকরিচ্যুতি, বেতন কর্তন, স্বাস্থ্য অন্যান্য সামাজিক সেবার সহজলভ্যতার অভাব এবং বাধ্যতামূলক প্রত্যাবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সংকটকালে অভিবাসী গ্রহণকারী দেশগুলোকে অভিবাসীদের সঙ্গে ন্যায়সংগত আচরণ এবং তাদের কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্য এবং কল্যাণকে নিশ্চিত করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

সবশেষ প্রস্তাবে রোহিঙ্গা সংকটের কথা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট এবার পঞ্চম বছরে পড়ল। কিন্তু এখন পর্যন্ত বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের একজনকেও মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি। মিয়ানমারে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে অনিশ্চয়তা তৈরি হলেও সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করতে আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জোরালো ভূমিকা অব্যাহত সহযোগিতা আশা করি। মিয়ানমারকে অবশ্যই তার নাগরিকদের প্রত্যাবর্তনের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সহযোগিতা করতে সদা প্রস্তুত।

তিনি আরো বলেন, আমরা আশা করি আসিয়ানের নেতারা বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিক ইস্যুতে গৃহীত প্রচেষ্টাকে আরো বেগবান করবেন। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ীদের জবাবদিহি নিশ্চিতকরণে গৃহীত সব কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করতে হবে।

এর আগে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সংস্থাটির মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিস্ময়কর উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন জাতিসংঘ মহাসচিব। 

বৈঠকের পর লোটে নিউইয়র্ক প্যালেস হোটেলে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের উন্নয়ন মানবিকতার প্রশংসা করেছেন। তিনি বাংলাদেশে প্রভূত উন্নয়ন অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। সময় প্রধানমন্ত্রী এন্তোনিও গুতেরেসকে বলেন, সাফল্য অর্জনের জন্য বাংলাদেশকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে।

বিভিন্ন সেক্টরে জাতিসংঘের সঙ্গে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার কথা তুলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইউএনডিপির যত প্রকল্প বাংলাদেশে নেয়া হয়েছে, তার সবগুলোই শেষ হয়েছে। ইউএনডিপি সাহায্য করেছে, কারিগরি সহায়তা দিয়েছে। কিন্তু কীভাবে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছতে হয় সে পথ আমরা তাদের দেখিয়েছি।

আব্দুল মোমেন বলেন, এগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্ভাবন। জাতিসংঘ কেবল আমাদের সহায়তা করেছে। তাছাড়া প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পেরে তারা গর্বিত বোধ করেছে। সময় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন তিনি।

জাতিসংঘ বাংলাদেশকে সম্মান করে মন্তব্য করে আব্দুল মোমেন বলেন, জাতিসংঘের বিভিন্ন এজেন্সিতে বাংলাদেশ নেতৃত্ব দেয়। পাশাপাশি বাংলাদেশ জাতিসংঘের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ পাওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের বিভিন্ন উচ্চপদে বাংলাদেশীদের নিয়োগ দেয়ার বিষয়ে এন্তোনিও গুতেরেসের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বলে ব্রিফিংয়ে জানানো হয়। জবাবে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবেন বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব।

একই দিনে নিউইয়র্কে নেদারল্যান্ডসের রানি ম্যাক্সিমা, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট নিউয়েন হুয়ান ফুকের সঙ্গেও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন