লাকসাম-কুমিল্লা ডাবল লাইন রেলপথ চালু হচ্ছে আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

পূর্ণাঙ্গ দুই লাইনের রেলপথের দিকে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ। লাকসাম থেকে কুমিল্লা পর্যন্ত আরো ২৪ কিলোমিটার দুই লাইনের রেলপথ প্রস্তুত হয়ে গেছে। রেলপথটির অংশ আজ উদ্বোধন করবেন রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।

এর মধ্য দিয়ে ৩২১ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথটির ২৭৩ কিলোমিটার দুই লাইনে উন্নীত হলো। আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত বাকি ৪৮ কিলোমিটার দুই লাইনে উন্নীতের কাজ চলমান, যা ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে চালুর লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তারা।

আজ কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে রেলপথটিতে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করবেন রেলমন্ত্রী। কুমিল্লা- আসনের সংসদ সদস্য আবুল হাসেম খান, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ডিএন মজুমদারসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।

হাজার ৫০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথটি ডুয়াল গেজ ডাবল লাইনে উন্নীত করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। নির্মাণাধীন রেলপথটির লাকসাম-কুমিল্লা অংশে আজ থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। এজন্য পুরনো মিটার গেজ লাইনটিকে ডুয়াল গেজে রূপান্তর করা হয়েছে। পাশাপাশি সমান্তরালে নির্মাণ করা হয়েছে আরেকটি ডুয়াল গেজ লাইন। লাকসাম-কুমিল্লা সেকশনের মধ্যে থাকা আলীশহর, লালমাই এবং ময়নামতি স্টেশনের আধুনিকায়নও করা হয়েছে। কম্পিউটার বেজড ইন্টারলকড কালার লাইট সিগন্যালিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, লাকসাম-কুমিল্লা সেকশনে নির্মিত নতুন ভৌত অবকাঠামোর মাধ্যমে আপ এবং ডাউন উভয় দিকে নিরবচ্ছিন্ন ট্রেন চলাচলের সুবিধা পাওয়া যাবে। ফলে আগের মতো কোনো স্টেশনে ট্রেন থামিয়ে সময় ক্ষেপণকারী ক্রসিং করার প্রয়োজন হবে না। এতে লাকসাম-কুমিল্লা সেকশনে প্রায় ১৫-২০ মিনিট সময় সাশ্রয় হবে। প্রকল্পটির বাকি অংশের কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে ঢাকা থেকে টানা চট্টগ্রাম পর্যন্ত দুই লাইন রেলপথের সুবিধা পাবেন যাত্রীরা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন