বাজার মূলধন ডিএসইতে আড়াই হাজার ও সিএসইতে ৩০ কোটি টাকা বেড়েছে

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন ১৩ শতাংশ কমেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) কিছুটা উত্থানের মাধ্যমে লেনদেন শেষ হয়েছে। এতে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইর প্রধান প্রধান সূচকের সঙ্গে বাজার মূলধন বেড়েছে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি এবং সিএসইতে কিছুটা উত্থানের কারণে বাজার মূলধন বেড়েছে মাত্র ৩০ কোটি টাকা। এদিকে বাজার মূলধন বাড়লেও গত সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইতে লেনদেন কমেছে প্রায় ১৩ শতাংশ। একই সঙ্গে এক্সচেঞ্জে সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল লাখ ৭৪৪ হাজার ৭৫ কোটি ৩৪ লাখ ৫১ হাজার ১৭৮ টাকা। যা সপ্তাহজুড়ে লেনদেন শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে লাখ ৭৭০ হাজার ৩৬ কোটি ৫৮ লাখ ২৭ হাজার ৬৫৫ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহ শেষে পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে হাজার ৫৬১ কোটি ২৩ লাখ ৭৬ হাজার ৪৭৭ টাকা বা দশমিক ৪৫ শতাংশ।

বাজার মূলধন বাড়লেও গত সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অংকে মোট লেনদেন কমেছে। গত সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইর মোট লেনদেন হয়েছে হাজার ৭০৯ কোটি ৪৯ লাখ ২৮ হাজার ৮১১ টাকা। যেখানে আগের সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১১ হাজার ১২২ কোটি ৩৯ লাখ ৪৫ হাজার ৮০৬ টাকা। সে হিসাবে টাকার অংকে ডিএসইর মোট লেনদেন কমেছে হাজার ৪১২ কোটি ৯০ লাখ ১৬ হাজার ৯৯৫ টাকা বা ১২ দশমিক ৭০ শতাংশ।

এদিকে গত সপ্তাহে টাকার অংকে ডিএসইর গড় লেনদেনও কমেছে। গত সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইর গড় লেনদেন হয়েছে হাজার ৯৪১ কোটি ৮৯ লাখ ৮৫ হাজার ৭৬২ টাকা, যা আগের সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসে ছিল হাজার ২২৪ কোটি ৪৭ লাখ ৮৯ হাজার ১৬১ টাকা। সে হিসাবে গত সপ্তাহে ডিএসইর গড় লেনদেন কমেছে ২৮২ কোটি ৫৮ লাখ হাজার ৩৯৯ টাকা বা ১২ দশমিক ৭০ শতাংশ।

খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৪ দশমিক ২০ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে বস্ত্র খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩ দশমিক ৩০ শতাংশ দখলে নিয়েছে ওষুধ রসায়ন খাত। ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে আর্থিক খাত। ১০ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাত। আর দশমিক ৭০ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে সাধারণ বীমা খাত।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২২ দশমিক ২৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৩১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে হাজার ২৫০ দশমিক ৬০ পয়েন্টে, যা আগের সপ্তাহ শেষে ছিল হাজার ২২৮ দশমিক ৩১ পয়েন্টে। নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ সপ্তাহের ব্যবধানে দশমিক ৯৯ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে হাজার ৬৭৩ দশমিক ৫৬ পয়েন্টে, যা আগের সপ্তাহ শেষে ছিল হাজার ৬৭৪ দশমিক ৫৫ পয়েন্টে। ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস দশমিক ৯৫ পয়েন্ট বা দশমিক ২৫ শতংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে হাজার ৫৮১ দশমিক শূন্য পয়েন্টে, যা আগের সপ্তাহে ছিল হাজার ৫৭৭ দশমিক ১০ পয়েন্টে। গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৮২টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড করপোরেট বন্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৬২টির, কমেছে ১৯৮টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির আর লেনদেন হয়নি ৪টির।

দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেন শুরুর আগে বাজার মূলধন ছিল লাখ ৯৮৬ হাজার ৩৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা, যা সপ্তাহজুড়ে লেনদেন শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে লাখ ৯৮৬ হাজার ৩০ কোটি ৮৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহ শেষে পাঁচ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৩০ কোটি ৫০ লাখ ৭০ হাজার টাকা বা দশমিক ০০৬ শতাংশ।

সিএসইতে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে মোট লেনদেন হয়েছে ৩২৫ কোটি ৮০ লাখ ৪০৭ টাকার। আগের সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪০৬ কোটি ৫০ লাখ ৬১ হাজার ২৪৩ টাকার। সেই হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ৮০ কোটি ৭০ লাখ ৬০ হাজার ৮৩৬ টাকা বা ১৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ।

গত সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই দশমিক ৭১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ১৪৬ দশমিক শূন্য পয়েন্টে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ২১ হাজার ১৪১ দশমিক ৩৫ পয়েন্টে। আলোচ্য সময়ে সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪২টি কোম্পানি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৯টির, কমেছে ১৭৯টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪টির।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন