পিপলস লিজিংয়ের লেনদেন বন্ধের মেয়াদ আরো বাড়ল

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন বন্ধের মেয়াদ আরো এক দফা অর্থাৎ ৪৮ দফায় বাড়ানো হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে তথ্য জানা গেছে। ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন আরো ১৫ দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হিসেবে ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন বন্ধ থাকবে।

এর আগে আরো ৪৭ দফা কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন বন্ধের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। এর মধ্যে প্রথম দফায় ২০১৯ সালের ১৩-২৭ আগস্ট পর্যন্ত, দ্বিতীয় দফায় ২৮ আগস্ট থেকে ১১ সেপ্টেম্বর, তৃতীয় দফায় ১২-২৬ সেপ্টেম্বর, চতুর্থ দফায় ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১১ অক্টোবর, পঞ্চম দফায় ১৩-২৭ অক্টোবর পর্যন্ত এবং সর্বশেষ ৪৭ দফায় ১০ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ পর্যন্ত কোম্পানিটির লেনদেন বন্ধ ছিল।

২০১৯ সালের ১৪ জুন প্রথম পিপলস লিজিংয়ের শেয়ার লেনদেন স্থগিত করে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) লিস্টিং রেগুলেশনের ধারা ৫০() অনুসারে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন স্থগিত করা হয়। পরবর্তী সময়ে ১৫ দিন পরপর স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।

লিস্টিং রেগুলেশনের ধারা ৫০() অনুসারে, তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানি লিস্টিং রেগুলেশনের বিধান লঙ্ঘন করলে কিংবা কোম্পানির শেয়ারদরে প্রভাব পড়তে পারে, এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্যে ঘাটতি থাকলে স্টক এক্সচেঞ্জ সেই কোম্পানির শেয়ার লেনদেন স্থগিত করতে পারবে।

 আর লিস্টিং রেগুলেশনের ধারা ৫০() অনুসারে, প্রথম দফায় ৩০ কার্যদিবস পর্যন্ত কোম্পানির শেয়ার লেনদেন স্থগিত থাকবে। পরবর্তী সময়ে স্টক এক্সচেঞ্জ চাইলে আরো ১৫ কার্যদিবসের জন্য স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়াতে পারবে।

প্রসঙ্গত, ক্রমাগত লোকসানের মুখে থাকা পিপলস লিজিংকে অবসায়নের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রস্তাব পাঠায় বাংলাদেশ ব্যাংক। মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর কোম্পানিটিকে অবসায়নের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। অবসায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে একজন অবসায়কও নিয়োগ দেয়া হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন