যুক্তরাষ্ট্রের খানাভিত্তিক মোট সম্পদ রেকর্ড পরিমাণ বেড়ে ১৪১ লাখ ৭০ হাজার ডলারে পৌঁছেছে। জুনের শেষ নাগাদ দেশটির খানাভিত্তিক সম্পদে এ প্রবৃদ্ধি দেখা যায়। পুঁজিবাজার ও মহামারীর কারণে আবাসন খাতে উন্নতি এ প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করেছে। সম্প্রতি ফেডারেল রিজার্ভের দেয়া এক তথ্যে এ চিত্র ফুটে ওঠে। খবর রয়টার্স।
চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান ইকুইটি মার্কেট এ বৃদ্ধিতে আরো ইন্ধন জুগিয়েছে। এ সময়ে খানাভিত্তিক সম্পদে যুক্ত হয়েছে আরো ৩ লাখ ৫০ হাজার কোটি ডলার। অন্যদিকে একই সময়ে এসঅ্যান্ডপি ৫০০ পুনরায় বিনিয়োগকৃত লভ্যাংশে ফ্যাক্টরিং করার পর মোট ৮ দশমিক ৫ শতাংশের মতো রিটার্ন দেখতে পেয়েছিল। উদীয়মান আবাসন খাতের মূল্য এ সম্পদে আরো ১ লাখ ২০ হাজার কোটি ডলারের মতো যুক্ত করেছিল। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পারিবারিক সম্পদ, ব্যবসা ও সরকারি আর্থিক হিসাববিষয়ক সর্বশেষ প্রান্তিক প্রতিবেদনে এমনটা দেখা যায়। এতে দেখা যায়, প্রথম প্রান্তিকের চেয়ে দ্বিতীয় প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের মোট খানা সম্পদের পরিমাণ ৫ লাখ ৯০ হাজার কোটি ডলার বেড়েছে।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) গৃহস্থালি সঞ্চয় আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৬০ হাজার কোটি ডলার, প্রথম প্রান্তিকে এটির পরিমাণ ছিল ১০ লাখ ৮০ হাজার কোটি ডলার। একই সময়ে পরিবারগুলোর চেকিং অ্যাকাউন্টে থাকা সম্পদের পরিমাণ দ্বিতীয় প্রান্তিকে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৬০ হাজার কোটি ডলার, প্রথম প্রান্তিকে এর পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি ডলার।
যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ পারিবারিক সম্পদবিষয়ক চিত্র এবং মহামারী চলাকালে সম্পদের প্রবৃদ্ধির পরিমাণ প্রমাণ করে যে, কতটা মন্দাবস্থার মধ্য দিয়ে তা অতিবাহিত হয়েছে। অস্বাভাবিক মুদ্রা ও আর্থিক নীতির সাহায্যে ব্যক্তিগত সম্পদ ও সম্পদের মূল্য শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। ফলে খানাভিত্তিক সম্পদের পরিমাণ দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পায়। ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় তা ২৮ শতাংশ বেড়ে ৩১ লাখ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা অনেকটাই অপ্রত্যাশিত বৃদ্ধি ছিল।