ভারতে আরো আড়াই হাজার টন ইলিশ রফতানির অনুমতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন দুর্গা পূজা উপলক্ষে ৬৩ প্রতিষ্ঠানকে নতুন করে আরো হাজার ৫২০ টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। এর আগে গত সোমবার ৫২ প্রতিষ্ঠানকে হাজার ৮০ টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দেয়া হয়েছিল। নিয়ে চারদিনের মধ্যে দুই দফায় ভারতে মোট হাজার ৬০০ টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

গতকাল আমদানি-রফতানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরকে চিঠি দিয়ে নতুন করে ৬৩ প্রতিষ্ঠানকে ৪০ টন করে হাজার ৫২০ টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দেয়ার কথা জানায়। এক টনে এক হাজার কেজি। সেই হিসেবে ইলিশ যাবে মোট ২৫ লাখ ২০ হাজার কেজি। প্রতি কেজি ৯০০ টাকা ধরে হিসাব করলে মোট ২২৬ কোটি ৮০ লাখ টাকার ইলিশ যাবে ভারতে।

বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বণিক বার্তাকে বলেন, গত বছরও দুর্গা পূজা উপলক্ষে শুভেচ্ছামূলক কিছু ইলিশ ভারতে রফতানির অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। এবারো একই উপলক্ষে রফতানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তবে স্বাভাবিকভাবে ইলিশ রফতানিতে যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সেটা বহাল রয়েছে। দুর্গা পূজার বিশেষ সময়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ওপার বাংলার বাঙালিদের জন্য এটি উপহার।

তবে ইলিশ রফতানির ক্ষেত্রে কয়েকটি শর্ত বেঁধে দিয়েছে মন্ত্রণালয়। বলা হয়েছে, বিদ্যমান রফতানি নীতি ২০১৮-২১-এর বিধিবিধান মানতে হবে। শুল্ক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে কায়িক পরীক্ষা করাতে হবে রফতানি করা ইলিশের। প্রতিটি চালান (কনসাইনমেন্ট) শেষে রফতানিসংক্রান্ত কাগজপত্র দাখিল করতে হবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে।

এছাড়া অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে বেশি ইলিশ রফতানি করা যাবে না। অনুমতির মেয়াদ কার্যকর থাকবে আগামী অক্টোবর পর্যন্ত। অনুমতি কোনোভাবেই হস্তান্তরযোগ্য নয়। অনুমোদিত রফতানিকারক ছাড়া ঠিকায় (সাব-কন্ট্রাক্ট) রফতানি করা যাবে না।

আগামী অক্টোবর থেকে ২২ দিন ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মত্স্য অধিদপ্তর। ২৬ অক্টোবর থেকে আবার ইলিশ ধরা যাবে। গত বছর ১৪ অক্টোবর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। এবার তা ১০ দিন এগিয়ে আনা হয়েছে।

২০১২ সালে সরকার ইলিশসহ সব ধরনের মাছ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ২০১৪ সালে ইলিশ রফতানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার অনুরোধ জানায় ভারত।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন