জ্ঞাননির্ভর অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দু হবে ‘ভিশন ২০২১ টাওয়ার’ —আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক

তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, উদ্ভাবনই হচ্ছে এগিয়ে যাওয়ার মূলমন্ত্র। আর দেশের আগামী দিনের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হবে স্টার্টআপ। তাদের জন্য সরকার ইনোভেশন ইকোসিস্টেম গড়ে তুলবে। ইনোভেশন ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার জন্য আমাদের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে ভিশন ২০২১ টাওয়ার টাওয়ার হবে  বাংলাদেশের জ্ঞাননির্ভর অর্থনীতির  কেন্দ্রবিন্দু। এর সঙ্গে যুক্ত থাকবে দেশের আরো ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়।

গতকাল বিকালে কারওয়ান বাজার সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের সভা কক্ষে ভিশন ২০২১ টাওয়ার- তৈরির জন্য গৃহায়ন গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের কাছে জমি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। কারওয়ান বাজারে ১২ তলাবিশিষ্ট গ্রিন বিল্ডিং তৈরিতে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা ব্যয় হবে।

তিনি বলেন, গত ছয় বছরে স্টার্টআপে অনেক বিদেশী বিনিয়োগ আসছে। গত এক মাসে ১০ কোটি ডলার বিদেশী বিনিয়োগ এসেছে। প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে দেশে ৩৯টি হাই-টেক পার্ক, ৬৪টি জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। বর্তমানে দেশের হাজার ৮০০ ইউনিয়ন অপটিক্যাল ফাইবার কেবলের সঙ্গে সংযুক্ত। ফলে দেশে বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১২ কোটিতে পৌঁছেছে। আইসিটি উপদেষ্টার নির্দেশে গত এক যুগে যথাযথ অবকাঠামো গড়ে তোলার কারণেই এমনটা সম্ভব হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০১০ সালের আগস্ট প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের প্রথম সভায় কারওয়ান বাজারের ভিশন-২০২১ টাওয়ারটিতে (সাবেক জনতা টাওয়ার) একটি সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক প্রতিষ্ঠার জন্য তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অনুকূলে বরাদ্দ দেয়ার সিদ্ধান্ত দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গৃহায়ন গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ২০১০ সালের ২৪ নভেম্বর ভিশন-২০২১ টাওয়ারটি বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের অনুকূলে বরাদ্দ দেন। বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ জরাজীর্ণ ভবনটির সংস্কার করে একটি সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপন করে এবং ২০১৫ সালের ১৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় আনুষ্ঠানিকভাবে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কটির কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। বর্তমানে পার্কটিতে ১৯টি প্রতিষ্ঠানে প্রায় এক হাজার কর্মসংস্থান হয়েছে। এছাড়াও এখানে ১৫টি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান কাজ করছে।

বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) এএনএম সফিকুল ইসলাম বলেন, দেশের ইনোভেশন কার্যক্রমকে গতিশীল করে একটি ইনোভেশন সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারের অর্থায়নে বিশ্বব্যাংকের ঋণে মোট ৩৫৩ দশমিক কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের আওতায় ডিজিটাল উদ্যোক্তা এবং উদ্ভাবন ইকোসিস্টেম উন্নয়ন নামের একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশে ইনোভেশন ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার মাধ্যমে বেসরকারি বিনিয়োগ উৎসাহিতকরণ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন