আমেরিকান এয়ারলাইনস ও জেটব্লুর মধ্যে অংশীদারিত্বের চুক্তিতে বাদ সেধেছে বিচার বিভাগ। সঙ্গে আছেন ছয় রাজ্যের কর্তাব্যক্তিরাও। প্রতিষ্ঠান দুটির মধ্যে যেন চুক্তি হতে না পারে সেজন্য একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে। বলা হচ্ছে যে, এ চুক্তি সম্পাদন হলে বাজার থেকে প্রতিযোগিতা কমবে ও আকাশপথে যোগাযোগের ভাড়া বাড়বে। খবর এপি।
অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড বলেন, সুষ্ঠু প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ বজায় রাখতেই এ মামলা করা হয়েছে। মার্কিনরা যেন সাশ্রয়ী দামে আকাশপথে ভ্রমণ করতে পারেন সেটি নিশ্চিত করতে চান তারা।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এটা এমন একটি খাত যেখানে চারটি উড়োজাহাজ পরিষেবা প্রতিষ্ঠান দেশের অভ্যন্তরীণ আকাশপথে যোগাযোগের ৮০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে। জেটব্লুর সঙ্গে আমেরিকান এয়ারলাইনসের এ চুক্তি খাতটিকে আরো সংকুচিত করবে। ফলে টিকিটের দাম বেড়ে যাবে। যাত্রীদের সামনে বিকল্প কমে যাবে এবং নিম্নমানের পরিষেবা দেয়া হলেও কিছু করার থাকবে না।
তবে অংশীদারিত্ব চুক্তির বিষয়ে অটল আমেরিকান এয়ারলাইনস ও জেটব্লু। তারা এ মামলার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালাতে প্রস্তুত রয়েছে। কেবল আদালতের আদেশ দিলেই চুক্তি স্থগিত করা হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠান দুটি।
গত বছরই এ চুক্তির ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। সে অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ফ্লাইটগুলো সমন্বয়ও করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠান দুটির দাবি, এ চুক্তি ভোক্তাদের জন্যই সুবিধাজনক হবে। প্রতিষ্ঠান দুটি একসঙ্গে কাজ করার ফলে নতুন নতুন পথে উড়োজাহাজ পরিচালনা করা যাচ্ছে। নতুন আন্তর্জাতিক পথের বিষয়েও পরিকল্পনা চলছে। নিউইয়র্ক ও বোস্টনের চারটি বিমানবন্দর থেকে ৫৮টি নতুন রুটে এখন পরিষেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক ঘোষণায় সরকারি সংস্থাগুলোকে গ্রাহকদের সুবিধা-অসুবিধার দিকে লক্ষ রাখতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি উড়োজাহাজ পরিষেবা খাতে প্রতিযোগিতা বজায় রাখার কথাও বলেন। সে ঘোষণার দুই মাস পর এ মামলা করা হলো।