অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র

‘মুজিব আমার পিতা’ ১ অক্টোবর আসছে প্রেক্ষাগৃহে

ফিচার প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেখা বই শেখ মুজিব আমার পিতা থেকে নির্মিত হয়েছে দেশের পূর্ণদৈর্ঘ্য অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র মুজিব আমার পিতা। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে আগামী অক্টোবর সারা দেশে মুক্তি পাচ্ছে সিনেমাটি। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন ২৮ সেপ্টেম্বরে ঢাকার ধানমন্ডির সীমান্ত স্কয়ারের স্টার  ছবিটির প্রিমিয়ার হবে।

 চলচ্চিত্রটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান প্রোলেনসার স্টুডিওর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ১৬ সেপ্টেম্বর চলচ্চিত্রটি সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছে। ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন সিনেপ্লেক্সে সিনেমা হলে চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাবে। কয়টি সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে, কয়েক দিনের মধ্যে তা জানানো হবে।

চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন সোহেল মোহাম্মদ রানা। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে চলচ্চিত্র বানানোর চেয়ে সম্মানের আর কিছু হতে পারে না। আর আমাদের দেশে বসে টুডি অ্যানিমেশন মাধ্যমে ফিচার লেংথ সিনেমা বানানো তো স্বপ্নের মতো একটি ব্যাপার। থ্রিডির চেয়ে টুডি অ্যানিমেশনে খরচ এবং পরিশ্রম দুটোই অনেক বেশি। তাই উন্নত দেশের স্টুডিওগুলো পর্যন্ত এখন টুডি অ্যানিমেটেড সিনেমা সচরাচর বানায় না। সেখানে আমরা বাংলাদেশে বসেই এমন একটি অসাধ্য সাধন করে ফেলেছি দেশীয় অ্যানিমেটরদের নিয়েই। সিনেমাটা সব বিচারেই আন্তর্জাতিক মানের হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এমন একটি ঐতিহাসিক কাজ করার সুযোগ করে দেয়ার জন্য প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের কাছে আমি এবং আমার টিম অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।

তিনি আরো বলেন, আমরা যখন কাজ শুরু করেছিলাম, অনেকে বিশ্বাসই করতে পারেননি, বাংলাদেশে বসে ফিচার-লেংথ অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র নির্মাণ করা সম্ভব। কিন্তু আমরা বিশ্বাস হারাইনি। সিনেমা নির্মাণ করতে গিয়ে আমাদের অভিজ্ঞতা হলো, এখনই হয়তো বিশ্বমানের অ্যানিমেশন বানানো সম্ভব নয়। তবে যাত্রাটা আমরা শুরু করেছি।

প্রোলেনসার স্টুডিওর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেখা বই শেখ মুজিব আমার পিতা অবলম্বনে তৈরি করা হয়েছে পূর্ণদৈর্ঘ্য দ্বিমাত্রিক (টু-ডি) অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রটি। মূলত প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে হবে এর প্রিমিয়ার। এতে উপস্থিত থাকবেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, চলচ্চিত্রটির পৃষ্ঠপোষক তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী প্রমুখ।

অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রটি নির্মাণে প্রায় দুই বছর সময় লেগেছে। গবেষণা চিত্রনাট্য প্রস্তুতের পর প্রডাকশনের কাজ শুরু হয় গত বছরের জানুয়ারিতে। একশর বেশি কলাকুশলীর শ্রমে নির্মিত হয়েছে মুজিব আমার পিতা। প্রসঙ্গে প্রোলেনসার স্টুডিওর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইব্রাহিম খলিল বলেন, চলচ্চিত্রটি নির্মাণের লক্ষ্যে তরুণদের নিয়ে বিশাল একটা দল গঠন করি। তাদের জন্য কর্মশালার আয়োজন করি। অ্যানিমেশনের সব পর্যায়ের কাজ আমরা স্টুডিওর কর্মীরা নিজেরাই করেছি। উপযুক্ত পরিবেশ সহায়তা পেলে বাংলাদেশে বসেই যে দারুণ অ্যানিমেশন করা যেতে পারে, তার উদাহরণ হতে পারে মুজিব আমার পিতা।

চলচ্চিত্রটিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে অ্যানিমেশন কোঅর্ডিনেটর ক্যারেক্টর ডিজাইনার রাফিউজ্জামান রিদম বলেন, চলচ্চিত্রটির জন্য আমাদের প্রায় ৩০ হাজার ফ্রেম আঁকতে হয়েছে। প্রত্যাশামাফিক না হওয়ায় অনেক দৃশ্য দু-তিনবার করেও আঁকতে হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন