সেনা-মিলিশিয়া সংঘাত

মিয়ানমারের হাজার হাজার নাগরিক পালিয়ে ভারতে

বণিক বার্তা অনলাইন

সেনাবাহিনীর সাথে মিলিশিয়াদের তীব্র সংঘর্ষে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে হাজার হাজার মিয়ানমারের নাগরিক ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। সীমান্তবর্তী থান্টল্যাং এলাকা থেকে ৫ হাজারের বেশি বাসিন্দা ভারতের মিজোরাম রাজ্যে পালিয়ে গেছেন। 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, থান্টল্যাং শহরের বেশ কয়েকটি বাড়িতে কামানের গোলা নিক্ষেপ করা হয়েছে। বাস্তুচ্যুতদের সাহায্যকারী সংগঠন থান্টল্যাং প্লেসমেন্ট অ্যাফেয়ার্স কমিটির মুখপাত্র সালাই লিয়ান দাবি করেছেন, সামরিক বাহিনী শহরের বাড়িগুলো লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ছে। প্রায় ২০টি বাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে। একজন খ্রিস্টান যাজককে সেনা সদস্যরা গুলি করে হত্যা করেছে। যে কারণে লোকজন পালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে। সীমান্তবর্তী থান্টল্যাংয়ের ১০ হাজার বাসিন্দার অধিকাংশই ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। 

সালাই লিয়ানের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, সেনাবাহিনী ও গেরিলাদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত চারজন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন।  বাসিন্দারা মারাত্মকভাবে খাদ্য ও আশ্রয়ের সংকটে ভুগছে। যারা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন তারাও ভয়ংকর মানবিক সংকটের মুখে পড়েছেন। 

সামরিক জান্তা বিরোধী মিলিশিয়া বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শহরটিতে ৩০ সেনাকে হত্যা করা হয়েছে। যদিও এ তথ্য যাচাই করা সম্ভব হয়নি। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সামরিক মুখপাত্রও এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি।

দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম মিয়ানমার নাউকে থান্টল্যাং শহরের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, সেখানকার প্রায় সবাই পালিয়ে গেছে। যারা সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে কোনো আন্দোলনে অংশ নেন না শুধু তারা রয়ে গেছেন। 

ভারতের মিজোরাম রাজ্যের নাগরিক সমাজের প্রধান রয়টার্সকে বলেন, গত সপ্তাহে মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী দুটি জেলা থেকে মিজোরামে সাড়ে ৫ হাজার মানুষ এসেছেন। জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক থমাস অ্যান্ড্রুজ চলমান এ পরিস্থতিকে  ‘জীবন্ত নরক’ বলে মন্তব্য করেছেন। 

গত ফেবুয়ারিতে মিয়ানমারে জান্তা সরকারের ঘোষণা দেয়ার পর সারা দেশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। নিরাপত্তা বাহিনী ১ হাজারের বেশি মানুষ হত্যা করেছে। গ্রেপ্তার হয়েছেন ৬ হাজারের বেশি মানুষ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন