মালয়েশিয়ার পাম অয়েল রফতানি ১৭ শতাংশ কমেছে

বণিক বার্তা ডেস্ক

টানা দুই মাসের মতো কমেছে মালয়েশিয়ার পাম অয়েল রফতানি। দেশটির পাম অয়েলের মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় রফতানিতে এমন নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা দিয়েছে। আগস্টে পণ্যটির রফতানি ১৭ দশমিক শতাংশ কমে যায় বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়ান পাম অয়েল বোর্ড (এমপিওবি) খবর এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল প্ল্যাটস।

এমপিওবি জানায়, আগস্টে মালয়েশিয়া সব মিলিয়ে ১১ লাখ ৬২ হাজার টন পাম অয়েল রফতানি করে। জুলাইয়ে রফতানির পরিমাণ ছিল ১৪ লাখ ১০ হাজার টন। পণ্যটির দাম বাড়তে থাকায় জুলাই থেকেই আন্তর্জাতিক ক্রেতারা ক্রয়ের পরিমাণ কমিয়ে দেন। বিপরীতে আগস্টে রফতানি শুল্ক কমিয়ে দেয়ায় ইন্দোনেশিয়ার বাজারে ঝুঁকছেন তারা।

এদিকে পণ্যবাহী জাহাজের তথ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এমসপ্যাক ইন্টারটেক জানায়, চলতি মাসে রফতানিতে মন্দাভাব কাটবে। মাসের প্রথম ১০ দিনেই মালয়েশিয়ার পাম অয়েল রফতানি ৫৫-৬৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। সময় রফতানি করা হয় লাখ ৯০ হাজার টন।

মুম্বাইভিত্তিক ভোজ্যতেল ব্রোকারেজ সানভিন গ্রুপের গবেষণা বিভাগের প্রধান অনিল কুমার বাগানি বলেন, চলতি মাসের প্রথমার্ধে রফতানিতে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি আসবে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে প্রবৃদ্ধির ধারা কিছুটা ব্যাহত হতে পারে। যদিও মাস শেষে মোট রফতানি বাড়বে।

এমপিওবির তথ্য বলছে, আগস্টে রফতানি কমলেও মালয়েশিয়ার পাম অয়েল উৎপাদন ১১ দশমিক শতাংশ বেড়েছে। সময় দেশটি ১৭ লাখ হাজার টন পাম অয়েল উৎপাদন করে। চলতি মাসে দেশটিতে পাম অয়েলের চাহিদা ১৫ শতাংশ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে উৎপাদন - শতাংশ হারে বাড়তে পারে।

এমপিওবি জানায়, উৎপাদন বৃদ্ধি রফতানি কমে যাওয়ায় মালয়েশিয়ায় পাম অয়েলের মজুদ বেড়েছে। মালয়েশিয়া বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ পাম অয়েল উৎপাদক। গত মাসে দেশটিতে পণ্যটির মজুদ ২৫ দশমিক শতাংশ বেড়ে ১৮ লাখ ৭৪ হাজার টনে উন্নীত হয়।

এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল প্ল্যাটস জানায়, আগস্টের শেষে ১৭ লাখ ৪১ হাজার টন মজুদের সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু মজুদ প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গেছে। চলতি মাসেও মজুদ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। কুয়ালালামপুরভিত্তিক ফিলিপ ফিউচারস জানায়, সেপ্টেম্বরে মালয়েশিয়ায় পাম অয়েলের মজুদ দশমিক শতাংশ বাড়তে পারে।

এদিকে ইন্দোনেশিয়ায়ও পাম অয়েলের মজুদ বাড়ছে। অনিল কুমার বাগানি জানান, জুলাইয়ে ইন্দোনেশিয়া মালয়েশিয়ার সম্মিলিত পাম অয়েলের মজুদ ছিল ৬০ লাখ টন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন